নতুন প্রজন্মের হাতে সেই পতাকা হস্তান্তর

স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ৪০ বছর পূর্তিতে নতুন প্রজন্মের হাতে সেই পতাকা তুলে দিলেন '৬০-এর দশকের ছাত্রনেতারা। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রায় এবং সকল প্রকার সঙ্কীর্ণতার উর্ধে উঠে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ বাক্যও পাঠ করালেন।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলার পাশে কলা ভবনের প্রধান গেটের ওপর পতাকা উত্তোলন করেন ডাকসুর তৎকালীন সহসভাপতি আ স ম আব্দুর রব। ৪০ বছর পূর্তিতে পতাকা উত্তোলনের সেই স্মৃতিময় স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি মঙ্গলবার আয়োজন করে নানান কর্মসূচীর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ, কোষাধ্য অধ্যাপক ড. মিযানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজ খানম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক জিএস মোরশেদ আলী, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানের শুরম্নতে জয়ধ্বনির কণ্ঠশিল্পীরা গেয়ে শোনান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেই জনপ্রিয় গানগুলো। এর পর নতুন প্রজন্মের কাছে পতাকা তুলে দেন '৬০-এর দশকের ছাত্রনেতারা। নতুন প্রজন্মকে শপথ বাক্য পাঠ করান ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রায় এবং সকল প্রকার সঙ্কীর্ণতার উর্ধে উঠে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শফথ গ্রহণ করেন উপস্থিত সবাই।
সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম তাঁর বক্তব্যে বলেন, যে পতাকা আজ তোমাদের হাতে তুলে দিলাম তোমরা তার মান রাখবে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ল্যে কাজ করে যাবে বলে আমি আশা করি।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জাতি হিসেবে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তারাই সংবিধানের ৪টি মূলনীতি মেনে নিতে চায় না ।

No comments

Powered by Blogger.