আটক ৫ জঙ্গী ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল!

গ্রেফতারকৃত ৫ জঙ্গী আন্তর্জাতিক একাধিক জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এরা একেকজন একেক বিষয়ে পারদর্শী। পাকিসত্মানের জঈশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য রেজোয়ান আহম্মেদ বুকে মাইন বেঁধে ট্যাঙ্ক ও বিমানবিধ্বংসী কামান উড়িয়ে দেয়ার প্রশিৰণপ্রাপ্ত।
সিলেটের বাসিন্দা বিলস্নাল আনত্মর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত। সে আল কায়েদার তালিকাভুক্ত বিমান ছিনতাইকারী স্কোয়াডের সদস্য। একই সঙ্গে বিল্লাল বিমান ছিনতাই ও ছিনতাইকৃত বিমান দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালনায় পারদশর্ী। বাকি ৩ জঙ্গী বিস্ফোরক ও গ্রেনেড হামলায় পারদর্শী। গ্রেফতারকৃত ৫ জঙ্গী মারাত্মক হামলাকারী বিশেষ বিশেষ ৰেত্রে। চলতি মাসেই এই স্কোয়াডটির ভারতে সশরীরে হামলায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। স্কোয়াডটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সমন্বয়ক ও জঙ্গী রিক্রুটের কাজ করছিল।
র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গ্রেফতারকৃত ৫ জঙ্গী মিলে একটি বিশেষ স্কোয়াড। এই স্কোয়াডটির চলতি মাসের ১০ তারিখে ভারতে সশরীরে মারাত্মক হামলায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। স্কোয়াডের সদস্যরা সবাই পিসত্মল, রিভলভার, একে-৪৭ রাইফেল, এলএমজি, এইচএমজি, আরপিজি-৮, স্নাইপার রাইফেল চালনাসহ বিস্ফোরক দিয়ে হামলা পরিচালনায় পারদর্শী। জঈশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী স্কোয়াডের পাকিসত্মানী সদস্য রেজোয়ান আহম্মেদ বহু বিষয়ে পারদশর্ী। সে বোমা, গ্রেনেড, ট্যাঙ্ক ও বিমানবিধ্বংসী কামান ধ্বংস করতে প্রস্তুত। সে বুকে মাইন বেঁধে ট্যাঙ্ক ও বিমানবিধ্বংসী কামান উড়িয়ে দিতে দৰ। বাংলাদেশী জঙ্গীদের মধ্যে আত্মঘাতী স্কোয়াড গঠন করতেই সে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। তার সঙ্গে জেএমবি ও হুজির যোগাযোগ ছিল। এদেশীয় জঙ্গীদের সঙ্গে তার যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেয় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার দু'সহোদর বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ও ছাত্র শিবির নেতা সালাউদ্দিন। এ দু'জনকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। রেজোয়ান আহম্মেদ আনত্মর্জাতিকভাবে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গী। আনত্মর্জাতিক বহু জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.