প্রবাসের খবরঃ বহির্বিশ্ব বিএনপির আন্তর্জাতিক টেলিবিক্ষোভে

নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে বহির্বিশ্ব বিএনপির আন্তর্জাতিক টেলিবিক্ষোভে ২৭ জানুয়ারি  রোববার সিডনি সময় রাত ১২টায় এবং নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ৮টায় বহির্বিশ্ব বিএনপির উদ্যোগে ৩১টি (সিডনি-নিউ ইয়র্ক-ইউরোপ-এশিয়া) দেশের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বহির্বিশ্ব বিএনপির সভাপতি আলহাজ আবদুল লতিফ সম্রাটের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: মোসলেহউদ্দিন আরিফের পরিচালনায় টেলিকনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড.আবদুল মঈন খান এবং বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন এবং সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা।

ড.আবদুল মঈন খান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত রায়। আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদই সব মতার অধিকারী। কিন্তু সরকার হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তাদের মতার উৎস মনে করে। তিনি নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে প্রবাসে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আরো বক্তব্য রাখেন, বহির্বিশ্ব বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান জনি, সহসভাপতি দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, ড.আবদুল আজিজ, ইউরোপ বিএনপির সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম মজুমদার, মো: লকিয়তউল্লাহ, আলী সানোয়ার ছিদ্দিক, মো: সালাউদ্দিন, এম মিজানুর রহমান, মো: জাকির হোসেন, ফজলুর রহমান বকুল,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মাহবুব আলম শাহ।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভে

নিউ ইয়র্ক থেকে এনা জানায়, ‘বর্তমান সরকারের চরম জুলুম, নির্যাতন, বিশ্বস্বীকৃত বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল, দেশব্যাপী ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে দেশকে ইসলামশূন্য করতে দেশবরেণ্য আলেম- ওলামাদের ফাঁসির নামে তামাশা এবং আলেম- ওলামাদের মুক্তি এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে গত ৩১ জানুয়ারি সকালে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে ‘কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে এক বিােভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িত ছিলেন এমন প্রবাসীরাই ওই বিােভ-সমাবেশে সপরিবারে অংশ নেন।

অধ্যাপক নুরল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় বিােভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল, আবু ওবায়দা, রাশেদুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, মাওলানা সিহাব, অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, মাওলানা নজরুল, মহিলা কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি শাহানা মাসুম, রাইটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নঈমুদ্দীন, ইসমত আরা, রশিদ আহমেদ প্রমুখ।

প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন এ বিােভ সমাবেশে। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিােভ শেষে কনসাল জেনারেলের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বহাল রাখতে কাজ করবেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং

নিউ ইয়র্ক সংবাদদাতা জানান, সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারসহ জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার ল্েয কাজ করবেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্যা কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। ৩১ জানুয়ারি অপরাহ্নে নিউ ইয়র্কে তার কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট অফিসে আওয়ামী লীগ নেতা এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কংগ্রেসনাল ক্যাম্পেইন কমিটির মেম্বার খোরশেদ খন্দকার, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক নূরনবী কমান্ডার এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীর সমন্বয়ে প্রবাসীদের একটি টিম গ্রেস মেংয়ের সাথে সাাৎ করেন। ৩০ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এ কংগ্রেসওম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্রতিনিধিদলের প থেকে কংগ্রেসওম্যানকে প্রদত্ত এক স্মারকলিপিতে বিরোধী দল-বিএনপির কর্মকাণ্ডকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
       

No comments

Powered by Blogger.