মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস by মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বিজয়ের আনন্দে দুঃখের হাহাকার পাকিস্তানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করার পর
বিজয়ের অবিশ্বাস্য আনন্দ উপভোগ করার আগেই একটি ভয়ঙ্কর তথ্য বাংলাদেশের
সকলকে সত্মম্ভিত করে দিল।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যখন
সবাই বুঝে গেছে এই যুদ্ধে পাকিসত্মান সেনাবাহিনীর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী, সত্যি
সত্যি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে
নিজের স্থান করে নিচ্ছে, তখন এই দেশের বিশ্বাসঘাতকের দল আলবদর বাহিনী দেশের
প্রায় তিন শ' শিৰক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, শিল্পী, কবি,
সাহিত্যিক, বিজ্ঞানীকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য দেশের মানুষ
যখন পাগলের মতো হন্যে হয়ে খুঁজছে তখন তাদের ৰতবিৰত মৃতদেহ রায়েরবাজার
বধ্যভূমি এবং অন্য জায়গায় খুঁজে পাওয়া যেতে থাকল। দেশটি যদি সত্যি সত্যি
স্বাধীন হয়ে যায় তারপরেও যেন কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেই
ব্যাপারটি এই বিশ্বাসঘাতকের দল নিশ্চিত করে যাওয়ার জন্য এই দেশের সোনার
সনত্মানদের ঠা-া মাথায় হত্যা করেছে।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলবদর বাহিনীতে ছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চৌধুরী মইনুদ্দিন, আশরাফুজ্জামান খান, মতিউর রহমান নিজামী (পূর্ব পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (পূর্ব পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর কেন্দ্রীয় সংগঠক)।
(চলবে)
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলবদর বাহিনীতে ছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চৌধুরী মইনুদ্দিন, আশরাফুজ্জামান খান, মতিউর রহমান নিজামী (পূর্ব পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (পূর্ব পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর কেন্দ্রীয় সংগঠক)।
(চলবে)
No comments