সবজি চাষে আত্মনির্ভরশীল

গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রত্যনত্ম চরাঞ্চল মোল্লারচর ইউনিয়নের চরসিদাই গ্রামের গৃহবধূ পিয়ারা বেগম। বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ও একটি গরু পালন করেই স্বচেষ্টায় একজন স্বাবলম্বী ও সচ্ছল নারী হিসেবে চরাঞ্চলে একজন অনুকরণীয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
হতদরিদ্র পিয়ারা বেগমের স্বামী আজাহার আলী একজন দিনমজুর। ৪ সনত্মানকে নিয়ে স্বামীর স্বল্প আয়ের ওপর অর্ধাহারে অনাহারে তার জীবন কাটছিল। এ সময় তার পরিবার ৪ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়। ফলে তাদের জীবনযাবন আরও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় পিয়ারা বেগম এ হতদরিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরম্ন করে। এ সময় সে বেসরকারী সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের চরজীবিকায়ন কর্মসূচীর আওতায় পরিচালিত সমিতির সদস্যভুক্ত হয়। সমিতির সদস্য হওয়ার পর প্রথমে ১৩ হাজার টাকা সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণ করে ১টি গাভী ক্রয় করে। ভাঙনের শিকার সর্বশেষ সম্বল মাত্র ১০ শতক জমির বসতবাড়িতে ১টি গরম্ন প্রতিপালনের মাধ্যমে তিনি আত্মনির্ভর হওয়ার পথ খুঁজে পান। গরম্ন পালনের পাশাপাশি তিনি বসতবাড়ির আঙ্গিনায় এবং চারপাশে সবজি চাষ করতে শুরম্ন করেন। এখন তার নিজের ৪টি গরম্ন, ৬টি ছাগল। এছাড়া বর্গা নেয়া ৪ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে তিনি তার পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। ২০০৭ সাল থেকে এই নতুন যাত্রাপথের জীবন শুরম্ন করে মাত্র ৩ বছরে সব মিলিয়ে এখন তার অর্ধ লাখ টাকা। স্বামীকে আর দিনমজুরি করতে হয় না। এখন নিজের জমি চাষ করে তার আয় দিয়েই সংসার চলে। পিয়ারা বেগমের লেখাপড়া শেখার স্বপ্ন হতদরিদ্র অবস্থার কারণে পূরণ হয়নি। সেই স্বপ্ন তিনি এখন পূরণ করছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে।
_আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা

No comments

Powered by Blogger.