জনকণ্ঠের অগ্রযাত্রায় হকার নেতৃবৃন্দের একাত্মতা- এক যুগের শীতল সম্পর্কের অবসান

 অবশেষে এক যুগের শীতল সম্পর্কের বরফ গলেছে। জনকণ্ঠের নবযাত্রায় সংবাদপত্রসেবীদের তিনটি সংগঠনের সদস্যরা পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি, ঢাকা হকার্স কল্যাণ সমিতি ইসহাক/ আলাউদ্দিন এবং ঢাকা হকার্স কল্যাণ সমিতি সারোয়ার/ নূরম্নল হুদার সদস্যরা সব ভেদাভেদ ভুলে জনকণ্ঠের অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানান।
রাজধানীর দৈনিক বাংলা এলাকায় সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে জনকণ্ঠ সম্পাদকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জনকণ্ঠের সঙ্গে হকারদের সম্পর্ক উন্নয়নে মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সংবাদপত্রসেবীরা শোকরানা মোনাজাত করেন।
প্রসঙ্গত জনকণ্ঠকে ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে জনকণ্ঠ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউলস্নাহ খান মাসুদের কাছে আসেন হকার নেতারা। জনকণ্ঠ সম্পাদকের সঙ্গে গত এক সপ্তাহে তাদের সঙ্গে কয়েকবার দীর্ঘ বৈঠকের পর হকার সমিতির মাধ্যমে আবারও জনকণ্ঠ বিক্রির সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়; যার ধারাবাহিকতায় গেস্নাব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের সদস্যরা হকার সমিতির সদস্যদের সঙ্গে শনিবার মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভার শুরম্নতে ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসত্মফা কামাল বলেন, 'আলহামদুলিস্নলাহ' আজ আবার আমাদের পত্রিকা আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ এক যুগ আগে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাদের সঙ্গে জনকণ্ঠের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আজ তিক্ততা অবসানের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়ল জনকণ্ঠ। তিনি বলেন, আজ জনকণ্ঠের সঙ্গে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলো। জনকণ্ঠের অগ্রযাত্রায় তিনি হকার্স সমিতির সদস্যদের সহায়তা কামনা করে বলেন, পত্রিকাটির প্রতি আমাদের যে ভালবাসা ছিল এখন তা দেখাতে হবে।
সভাপতি আবু সিদ্দিক সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, জনকণ্ঠ ফিরে পাওয়াতে আমরা যেমন খুশি তেমনি জনকণ্ঠ কর্তৃপৰও খুশি। আমরা আশা করি, সকলের প্রচেষ্টায় পত্রিকাটি আবারও এগিয়ে যাবে। আশা করি, আপনারা আনত্মরিকভাবে জনকণ্ঠের এই এগিয়ে চলায় শামিল হবেন। পত্রিকা থেকে পৃষ্ঠা খোলাসহ অন্য কোন অপরাধ করলে তার বিরম্নদ্ধে তাৎৰণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।
হকার নেতা আবুল কাশেম বলেন, জনকণ্ঠ শুধু খবরের শীর্ষেই ছিল না, এতে হকারদের কথাও গুরম্নত্বের সঙ্গে ছাপা হতো। প্রায় এক যুগ আগে সে সময় সর্বাধিক প্রচার সংখ্যার এ পত্রিকাটি আমাদের ছেড়ে যাওয়ার সময় যে ব্যথা পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। আবার জনকণ্ঠ ফিরে পেয়ে আজ আমরা আনন্দে আত্মহারা।
আবুল খায়ের বলেন, জনকণ্ঠ না থাকলেও জনকণ্ঠ পরিবারের সঙ্গে আমাদের আনত্মরিকতার ঘাটতি ছিল না, আজ তা আরও দৃঢ় হলো। তিনি বলেন, জনকণ্ঠকে আমরা অতীতেও যেমন আমাদের নিজের পত্রিকা মনে করতাম এখনও তেমনই মনে করি। হকার সমিতির পৰ থেকে বক্তব্য রাখেন সমিতির সম্পাদক মোঃ মুসলিম মিয়া, সাবেক সম্পাদক আব্দুস সোবহান, সহসভাপতি নূর নবী খান, সার্কুলেশন ম্যানেজার আবুল কালাম। মতবিনিময় সভায় শতাধিক হকার উপস্থিত ছিলেন।
গেস্নাব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের জিএম তোফায়েল আহমেদ সম্পাদকের পৰ থেকে হকারদের বলেন, আজ আবার আপনাদের পত্রিকা আপনাদেরই ফিরিয়ে দিলাম। জনকণ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্বন্ধনে হকার বা সমিতি কেউ ঠকবেন না বলে তাদের আশ্বসত্ম করেন।
জিএম জাকির হোসেন বলেন, আজ জনকণ্ঠের সঙ্গে যে সম্পর্ক পুনরম্নদ্ধার হলো, আমরণ তা অটল থাকবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনকণ্ঠ আবারও শীর্ষে পেঁৗছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সভায় জনকণ্ঠের সাকর্ুলেশন ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমানও বক্তৃতা করেন।
এতে গেস্নাব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিনিধি হকার সমিতির সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মতবিনিময় সভা শেষ করেন।

No comments

Powered by Blogger.