হরতাল পালনের মাধ্যমে জনগণ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেঃ হামিদুর রহমান আযাদ এমপি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেছেন, বুধবার সর্বাত্মক হরতাল পালনের মাধ্যমে জনগণ আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
লেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন হাজারীবাগ থানা আমির শেখ শরীফ উদ্দীন আহমদ, সেক্রেটারি আব্দুল বাআব্দুল কাদের মোল্লাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে সরকারি দলের বেঁধে দেয়া ছক অনুযায়ী। প্রসিকিউশন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কসাই কাদেরের অপকর্মের দায়ভার আব্দুল কাদের মোল্লার ওপর চাপিয়ে প্রহসনের বিচারের নামে তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দণ্ডাদেশ দিয়েছে। সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা রায় নিয়ে যেভাবে আগাম মন্তব্য করেছেন ঘোষিত রায়ে তার প্রতিফলন ল করা গেছে। তাই এই ফরমায়েসি রায় জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি ঘোষিত রায় বাতিল, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে অবিলম্বে আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন, অন্যথায় লাগাতার হরতাল দিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করা হবে।

তিনি গতকাল জামায়াতে ইসলামী ঢাকা  মহানগরীর উদ্যোগে ফরমায়েশি রায় বাতিল, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে এবং সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের সমর্থনে এক বিােভ-পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বরী আকন্দ, ধানমন্ডি থানা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, শিবির নেতা তুহিন ও রাসেল প্রমুখ।

হামিদ আযাদ এমপি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জাতীয় নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের আয়োজন করেছে। বিচারের প্রতিটি েেত্র জাল-জালিয়াতি প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে সাী হাজির না করেই প্রসিকিউশনের কাছে প্রদত্ত কথিত জবানবন্দীকে সাী হিসেবে গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল নিরপেতা হারিয়েছে। সেফ হাউজ কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে প্রসিকিউশনের দাবির অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। প্রসিকিউশনের সাী ডিফেন্স পে সাফাই সাী দেয়ার মাধ্যমে সরকারের ষড়যন্ত্র দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্কারীর মাধ্যমেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই এই প্রহসনের বিচারের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি ষড়যন্ত্র বন্ধ করে অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন, অন্যথায় এর জন্য সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার গণ-আন্দোলনে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণের ওপর দলন-পীড়ন চালাচ্ছে। জনগণের আন্দোলন দমন করতে সরকার পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়ে গোটা দেশেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ-ছাত্রলীগের যুগপৎ হামলায় সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বগুড়ায় চারজন ও চট্টগ্রামে চারজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে ২০ নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। সরকার গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কারো শেষ রা হয়নি, আওয়ামী লীগেরও শেষ রা হবে না। তিনি জালিম সরকারের পতনের ল্েয হরতালসহ আগামী দিনের যেকোনো কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
       

No comments

Powered by Blogger.