গুলিতে শিশু রাব্বি নিহত হওয়ার ঘটনা- ছাত্রলীগের বাকৃবি শাখা সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৩ নেতাকর্মীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের গুলিতে শিশু রাব্বি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিলুপ্ত ঘোষিত বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমনসহ ১৩ নেতাকর্মীকে এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় ১১/২ ধারায় তাদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন’১৩ পর্যন্ত এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রোক্টর প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বাকৃবির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আমিনুর রহমান চৌধুরী জানান, বুধবার বাকৃবি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এমএস ফিসারি টেকনোলজির শামছুদ্দিন আল আজাদ (সভাপতি), এমএস অ্যানিমেল সায়েন্সের রফিকুজ্জামান ইমন (সাধারণ সম্পাদক), এমএস থেরিওলজির পারভেজ কবির (যুগ্মসম্পাদক), এমএস ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শাহিন মাহমুদ (যুগ্মসম্পাদক), পশুপালন অনুষদের লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এর এস এম রায়হান (গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক), এমএস ফার্মস্ট্রাকচারের আসাদুজ্জামান খোকন (সাংগঠনিক সম্পাদক), পশুপালন অনুষদের লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এর আনোয়ার পারভেজ রিপন (সাংগঠনিক সম্পাদক), এমএস ফিসারি টেকনোলজির নয়ন হাওলাদার (উপ-প্রচার সম্পাদক), এমএস অ্যাগ্রি-বিজনেস মার্কেটিংয়ের রুবেল মিয়া (অর্থ সম্পাদক),  পশুপালন অনুষদের লেভেল-২ সেমিস্টার-২ এর শাকিল মজুমদার (সাংগঠনিক সম্পাদক, সোহরাওয়ার্দী হল), এমএস অ্যাগ্রি-ইকোনমির রুকুনোজ্জামান (ছাত্রলীগ নেতা), কৃষি প্রকৌশল অনুষদের লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এর শাহাবউদ্দিন শিহাব (সভাপতি, সোহরাওয়ার্দী হল), ও পশুপালন অনুষদের লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এর ইয়াহিয়া ইমরান (ক্রীড়া সম্পাদক)।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শামছুদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বয়রা গ্রামের ১২ বছরের মাদরাসাছাত্র রাব্বি নিহত হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। নিহত রাব্বির বাবা টেম্পোচালক দুলাল মিয়া বাদি হয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাকৃবি প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের কাছে ন্যস্ত করেন। এ দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমনকে বহিষ্কার করে।

No comments

Powered by Blogger.