বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, ব্যান্সডক ও বায়োটেকনোলজি বিল পাস

 ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মোট তিনটি বিল পাশ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে_ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিল ২০১০, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি বিল ২০১০ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এ্যান্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টার (ব্যান্সডক) বিল ২০১০।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিল তিনটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিল পাসের বিরোধিতা করে বিএনপির জাফরম্নল ইসলাম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, নাজিমউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মাহবুবউদ্দিন খোকন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মোছাম্মত শাম্মি আখতার, রাশিদা বেগম হীরা, রেহানা আখতার রানু, জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের আনীত জনমত যাচাই ও বিশেষ কমিটিতে পাঠানোর প্রসত্মাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিরোধী দলের প্রসত্মাব নাকচ করে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তেই এ বিলটি আনা হয়েছে। বিলগুলো আগেই পাস করা উচিত ছিল। আজ যারা বিরোধিতা করছেন তারা দীর্ঘদিন ৰমতায় থাকলেও বিলগুলো পাসের কোন উদ্যোগ নেননি। বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধী দলের সদস্যরা যেভাষায় কথা বলছে, এ জন্য নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ১০টি ধাপ পার করে বর্তমান সরকার এক বছরের মধ্যে বিলগুলো আইনে পরিণত করছে। এ জন্য বিরোধী দলের উচিত ছিল সরকারকে সাধুবাদ জানানো।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ জাদুঘরের জন্য কোন আইন না থাকায় ১৯৬৫ সালের সরকারী নির্বাহী আদেশে প্রতিষ্ঠিত ওই জাদুঘরকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনার েেত্র এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়নে জটিলতা ও অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব অসুবিধা নিরসনকল্পে এবং জাদুঘরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে এটাকে আইনের মাধ্যমে একটি স্বশাসিত বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সমীচীন।

No comments

Powered by Blogger.