স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা- ফতুল্লায় আ'লীগ দুই গ্রুপে উত্তেজনা ॥ যুবলীগ নামধারীরা দায়ী_পরিবারের অভিযোগ

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুলস্না থানার দাপা এলাকায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোহেলকে (৩৫)। গুরুতর আহত হয়েছে জসীম (৩৩) নামে একজন।
তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন ফতুল্লা থানার এএসআই আবুল বাসারের সামনেই যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী হিটলারের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত সোহেল ফতুল্লা থানার শেহারচর এলাকার মৃত হানিফের ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে পিলকুনি এলাকায় কাঁদামাখা ইট ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে ফজলু মিয়ার ছেলে মোমেনের সঙ্গে সোহেলের সহযোগী মানিকের বচসা হয়। মানিককে মারধর করে আটকে রাখে যুবলীগ নেতা হিটলার সমর্থকরা। খবর পেয়ে সোহেল ও তার লোকজন মানিককে ছাড়িয়ে নিতে আসে। বিকেলে সোহেল তার লোকজন নিয়ে দাপা আদর্শ স্কুলের সামনে অবস্থান নেয় খবর পেয়ে হিটলার সমর্থকরা সেখানে চড়াও হয়। দু'পৰ মুখোমুখি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপৰ সন্ত্রাসীরা ঘিরে ফেলে সোহেল ও তার সহযোগী জসীমকে। প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় সোহেলকে। গুরম্নতর আহত হয় জসীম (৩৩)। ফতুলস্না থানা পুলিশ খবর পেয়ে সোহেলের লাশ ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় জসীমকে উদ্ধার করে। ময়নাতদনত্মের জন্য সোহেলের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জসীমকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
নিহত সোহেলের ভাই জুয়েল অভিযোগ করেছেন, মানিক দুপুরের ঘটনায় থানায় মামলা করতে যায়। এ কারণে ৰিপ্ত হয়ে যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী হিটলারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার ভাই সোহেলকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ফতুলস্না থানার এএসআই আবুল বাসারের সামনে হত্যা করেছে। এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। হত্যার পর লাশের সামনে রিভলভার ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে এলাকা ত্যাগ করে।
এই হত্যাকা-কে কেন্দ্র করে ফতুলস্না আওয়ামী লীগের দু'গ্রম্নপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সোহেল এলাকায় শূটার সোহেল নামে পরিচিত। তার বিরম্নদ্ধে ৪/৫টি মামলা রয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমান ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেৰ তদনত্ম এবং জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেছেন।
রাত ন'টায় ফতুলস্না থানার ওসি জীবন কানত্মি সরকার বলেন, এখন পর্যনত্ম কোন মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এএসআই বাশার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তার উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। উদ্ধারকৃত দেশে তৈরি রিলভবারটি কার তা খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.