এবার এক নম্বরে চোখ সেরেনার

এটিপির র‌্যাঙ্কিং-পদ্ধতি নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তিনি। ক্ষোভটা সেরেনা উইলিয়ামস প্রকাশও করেছেন অনেকবার। সর্বশেষ ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর যখন ক্যারোলিন ওজনিয়াকির কাছে এক নম্বর আসনটি হাতছাড়া হলো,
মনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সেরেনা, ‘আমি বুঝি না, এটিপি কীভাবে, কিসের ভিত্তিতে এটা করে। ব্যাপারটাকে আমার কাছে স্রেফ ফালতু মনে হয়। সত্যি বলতে কি, এটিপির র‌্যাঙ্কিং-পদ্ধতির ওপর এতটুকু আস্থা নেই আমার।’
কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জিতেই সেরেনাকে টপকে এক নম্বরে উঠে গিয়েছিলেন ওজনিয়াকি। সেরেনার ক্ষোভের কারণও ওটাই। তাঁর কথা, গ্র্যান্ড স্লামই একজন খেলোয়াড়ের সত্যিকারের সামর্থ্য যাচাইয়ের মঞ্চ। সেই পরীক্ষাতেই যদি কেউ পাস না করে, তাহলে কিসের এক নম্বর! র‌্যাঙ্কিং-পদ্ধতি নিয়ে এতই যাঁর ক্ষোভ, সেই সেরেনা এবার কোর্টে নামছেন এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। আজ কাতারের দোহায় শুরু হচ্ছে কাতার টোটাল ওপেন। ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ডলার প্রাইজমানির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেই আড়াই বছর পর ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে টপকে র‌্যাঙ্কিংয়ের একে উঠবেন সেরেনা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী আজারেঙ্কা এক নম্বরে। ২০১০-১১ সালে ধারাবাহিক চোটের কারণে একসময় শীর্ষ ১০০-এরই নিচে নেমে যাওয়া সেরেনা এখন দুইয়ে। দুজনের মধ্যে র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টের ব্যবধান ৩৫৫। কিন্তু কাতার ওপেনে শিরোপাজয়ী পাবেন ৯০০ পয়েন্ট। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে সেরেনা শিরোপাকেই পাখির চোখ করেছেন। কিন্তু ১৫টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ীর একটা সংশয়ও আছে। অস্ট্রেলিয়া ওপেনের মতো আবারও চোট তাঁর স্বপ্ন ভেঙে দেবে না তো? ফেবারিট হিসেবে শুরু করেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেই স্বদেশি স্টিভেন স্লোয়ানের কাছে হেরে যান সেরেনা। ব্যর্থতার মূলে ছিল চোট। প্রথম ম্যাচেই চোট পাওয়া সেরেনা আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে এগিয়ে চললেও কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে আর পেরে ওঠেননি। সেরেনার কাছে ওটা ছিল, ‘বাজে দুটি সপ্তাহ’।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এই প্রথম কোর্টে নামছেন। চোট নিয়ে সংশয় আছেই, পথটাও কঠিন। ড্র অনুযায়ী সেরেনার অর্ধে পড়েছেন গত বছরের রানারআপ সামান্থা স্টোসুর, সভেৎলানা কুজনেৎসভা, ইয়েলেনা ইয়াঙ্কোভিচ, মারিয়া শারাপোভারা। মানে সবকিছু ঠিকঠাক চললে সেমিফাইনালেই শারাপোভার মুখোমুখি হওয়ার কথা। তবে লক্ষ্য যখন এক নম্বর, তখন কি আর এঁদের বাধা ভাবলে চলে! এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.