জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নাটক তামাশা

ছয় বাই ১/১ জিন্দাবাহার লেন, নয়াবাজার, ঢাকা। এখানে একটি পস্নটে দুটি বাড়ি। একটি বাড়ির মালিক টুন্ডা হাজী। আর্থিক অবস্থা ভালো তাই ঢাকাইয়া রীতি অনুযায়ী যৌবনেই হজ্জ্ব করেছেন।
কেউ কোন অন্যায় করলে তাকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিত বলেই তার নাম টুন্ডা হাজি। তার একমাত্র কন্যার নাম লাইলী। সিনেমা দেখা আর ফ্যাশন করাই লাইলীর পছন্দ। টুন্ডা হাজীর বোন নুরজাহান। আর রয়েছে টুন্ডা হাজীর অদ্ভূত একজন পিএস।
অন্য বাড়ির প্রধান মঞ্জিলা বেগম। স্বভাবে তিনি খুবই রাগী টাইপের মহিলা। তার রয়েছে স্বর্ণের ব্যবসা। মঞ্জিলার স্বামী ঘর জামাইচাঁন মিয়া। ঘর জামাই বলে সংসারে তার কোন সিদ্ধানত্ম দেয়ার অধিকার নেই। মঞ্জিলা বেগমের একমাত্র সনত্মান বাবুল। সারাৰণ বন্ধু বান্ধব আর আড্ডা এই হলো তার প্রধান কাজ। মঞ্জিলা বেগমের ছোট ভাই ইউনুস। মঞ্জিলা বেগমেরও আছে একজন পিএস। টুন্ডা হাজীর সাথে মঞ্জিলা বেগমের দ্বন্দ্ব আর্থিক দিক ছাড়াও রয়েছে ইউনুস আর নূরজাহানের প্রেমের সম্পর্কের কারন। ঘটনাক্রমে ইউনুস সৌদিআরব চলে যায়। সেসময় তাদের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব ঘটে। এদিকে ইউনুস আবার ফিরে আসে দেশে। ইউনুস ফিরে আসলে দেখা হয় নূরজাহানের সঙ্গে। তাদের পুরোনো প্রেম আবার জেগে ওঠে। শুরম্ন হয় নতুন নতুন সমস্যা।
নাটকের এক পর্যায়ে গিয়ে ইউনুস, বাবুল, নূরজাহান, লাইলী মিলে সিদ্ধানত্ম নেয় যে তাদের বাবা-মাকে অপহরণ করবে। অপহৃত টুন্ডা হাজী ও মঞ্জিলা বেগম ঘটনাক্রমে এক হয়ে যায়। তারা সিদ্ধানত্ম নেয় তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে বিয়ে দিবে। কিন্তু বলে না যে তাদের কার সঙ্গে বিয়ে হবে।
এভাবেই টুন্ডা হাজী আর মঞ্জিলা বেগমের দুই পরিবারের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। নাটকে টুন্ডা হাজীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এইচ আর অনিক, লাইলী চরিত্রের জন্য নিপা, নূরজাহান চরিত্রে রয়েছেন ঝর্ণা, পিএস নাসির ও শানত্ম, বাবুল চরিত্রে রূপদান করেছেন ইব্রাহিম।
এছাড়া নাটকের নেপথ্যে সংগীতায়জনে রয়েছে অঙ্গন, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় মনির, পোষাক সরবরাহ করেছেন এজে নাসির, রূপসজ্জায় রয়েছেন সম্রাট ও কাজল।
উলেস্নখ্য এইচ আর অনিকের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি আজ ১১ মার্চ ও কাল ১২ মার্চ পর্যনত্ম চলবে জহির রায়হান সাংস্কিৃতিক কেন্দ্র, সূত্রাপুরে। য়

No comments

Powered by Blogger.