নিজামীর কুশপুতুল দাহ ॥ জুমা নামাজ শেষে বিক্ষোভ- জামায়াত নেতাদের ধৃষ্টতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে তুলনা করায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর কুশপুতুল দাহ করেছে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ সংহতি পরিষদ।
এ সময় শত শত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলিমও নিজামীর কুশপুতুল দাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। কুশপুতুল দাহ শেষে বিৰোভকারীরা এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর জন্য জামায়াত নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাসত্মি দাবি করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সাধারণ মুসলিম ও বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ সংহতি পরিষদ এক মিছিল বের করে। মিছিলটি জাতীয় প্রেসকাবে গিয়ে থামে। এরপর মিছিলকারীরা নিজামীকে মহানবীর সঙ্গে তুলনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে মিছিলকারীরা বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে নিজামীর কুশপুতুল দাহ করেন। এ সময় শত শত মুসলিস্ন স্বতস্ফ্থর্তভাবে নিজামীর কুশপুতুল দাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে এক বিৰোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিৰোভ থেকে নিজামীকে মহানবীর সঙ্গে তুলনাকারী জামায়াত নেতাদের দ্রম্নত গ্রেফতার করে দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মির দাবি করা হয়। সংগঠনের পৰে ফরিদ উদ্দিন মাসুদ এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর জন্য জামায়াতকে দেশবাসীর কাছে ৰমা চাওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি নিজামীকে মহানবীর সঙ্গে তুলনাকারী জামায়াত নেতাদের দ্রম্নত গ্রেফতার করে দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মিও দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার ছাত্রশিবিরের মহানগর (দৰিণ) শাখার উদ্যোগে রাজধানীর বড় মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে সীরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলৰে এক আলোচনা সভায় জামায়াতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) -এর সঙ্গে নিজামীকে তুলনা করেন। তিনি বলেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মতো বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা নিজামীর বিরম্নদ্ধেও মিথ্যাচার, অপপ্রচার চলছে। নবুয়্যত প্রাপ্তির আগে মহানবীকে (সা.) মক্কার সকলে আলামিন স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাঁর কাছেই মক্কাবাসীরা নিজেদের সম্পদ গচ্ছিত রেখে নিশ্চিনত্ম থাকতেন। আর যেই তিনি নবুয়্যত পেলেন, তাঁর নানা সমালোচনা শুরম্ন হলো। একইভাবে মাওলানা নিজামী সাহেব জামায়াতের আমির না হওয়া পর্যনত্ম তার কোন সমালোচনা ছিল না। যেই তিনি জামায়াতের আমির হলেন, তখনি সাঁথিয়া থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়-গোড় বের করে তাকে হত্যাকারী হিসেবে অপ-প্রচার শুরম্ন হলো। প্রায় একই রকমের কথা বলেন, শিবিরের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। বৃহস্পতিবার মেইল ও টেলিফোনে কল করে বিদ্রোহীরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেন, এই ঘটনা সুইডেন ও বাংলাদেশের পত্রিকায় মহানবীকে নিয়ে যে কার্টুন করা হয়েছিল তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ন্যক্কারজনক। এই অপরাধের জন্য তাদের দেশবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ৰমা চাইতে হবে। সেভ শিবিরে'র ব্যানারে আন্দোলনরত বিদ্রোহীরা আরও বলেন, এই রফিকুল ইসলাম খান ও মাসুদই শিবিরের সঙ্কটের জন্য দায়ীদের অন্যতম।

No comments

Powered by Blogger.