এক প্রতারকের ধর্ষণ মামলাও রাজনৈতিক!- ছিলেন জামায়াতী, হলেন আ'লীগার

 করতেন ছাত্রশিবির, পরে জামায়াত। এখন ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগার। চাকরি করতেন মাদ্রাসায়। পদবি মাদ্রাসা সুপার। নিজ মাদ্রাসার ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
সেই মামলায় ফেঁসে যান। ঘটনাটি ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের। এই মামলা থেকে রা পতে রাতারাতি ভোল্ট পাল্টে আওয়ামী লীগার হয়ে গেলেন বহুবিবাহের নায়ক ফারম্নক হোসেন। ধর্ষণ মামলাটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা হিসেবে অভিহিত করে তা থেকে অব্যাহতি পাবার আবেদন করেছেন। আর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তা সুপারিশ আকারে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে যশোরে।
বহুবিবাহের নায়ক ফারম্নক হোসেন ছাত্রজীবনে করতেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি। পুরো পরিবারকে আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তি হিসেবে জানেন মানুষ। চাকরি করতেন সদরের মাহিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে। তার বাড়িও ওই গ্রামে। ২০০৭ সালের শেষের দিকে মাহিদিয়া গ্রামের জানেব আলীর কন্যা মৌসুমীর ওপর কুনজর পড়ে তার। মৌসুমী তার মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। একদিন মৌসুমীকে মাদ্রাসা সুপার ফারম্নক বলেন, তোমার প্রাইভেট শিক নেই, তুমি পাস করবে কেমন করে? পরে নিজেই প্রাইভেট পড়াতে থাকেন তাকে। এক মাস প্রাইভেট পড়ানোর পর ২০০৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে মৌসুমীকে ধর্ষণ করেন ফারম্নক। তার চিৎকারে পিতামাতা ছুটে এলে সুপার ফারম্নক তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সুপার ফারম্নক বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। এরপর প্রতিদিনই ফারম্নক আসতে থাকেন তার শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু পরে বিয়ে অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করে মৌসুমীর পরিবার। বর্তমানে মামলাটি যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন। তার সা্য চলছে। মামলা থেকে রা পেতে ওই ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হাত করেন সুকৌশলী ফারম্নক। এবার তার মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। গত ২৭ ফেব্রম্নয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তা সুপারিশ আকারে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। ফারম্নক হোসেনের বিরম্নদ্ধে শুধু ধর্ষণ মামলা নয়, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় তাকে সবাই প্রতারক হিসেবে চেনে জানে।

No comments

Powered by Blogger.