আবার সংসদে 'এ্যাই চুপ'

 জিয়ার লাশ নিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্যে সমর্থন করার প্রতিবাদে আবারও সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেছে বিরোধী দল। এ নিয়ে তীব্র হৈ চৈ, চিৎকারে সংসদ অধিবেশন কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
অবশ্য পাঁচ মিনিট পরেই সংসদে ফিরে আসে বিরোধী দল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার মাঝপথে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তাঁর বক্তব্যে জিয়ার লাশ নিয়ে শেখ সেলিমের বক্তব্যে সমর্থন করে বলেন, শেখ সেলিমের কথা অসত্য হলে প্রমাণ করম্নন। আসুন, দেখি সেখানে কী আছে? লাশ আছে কী-না। এ সময় বিরোধী দলের সদস্যরা হৈ চৈ ও নিজ নিজ আসনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। সরকারী দলের সদস্যরা পাল্টা ৰোভে ফেটে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন।
তীব্র প্রতিবাদের মুখে আরও বলেন, বিএনপির একটি জনসভায় হামিদুলস্নাহ খান বলেছেন, নবীজীর পরিচয় দিতে ছবির প্রয়োজন হয় না। জিয়াউর রহমানের গুণাবলী, চরিত্র ও আচরণ নবীজীর মতোই ছিল। তাই তাঁর পরিচয়ে কোন ছবির দরকার নেই। বিএনপি ইসলামের নামে কথা বলে জিয়াউর রহমানকে নবীজীর সঙ্গে তুলনা করে ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন।
এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের সদস্যরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। চিৎকার, চেঁচামেচি, আঙ্গুল উঁচিয়ে শাসানো এবং ফাইল ছুড়ে ৰোভ প্রকাশ করেন। ডেপুটি স্পীকার বারংবার বিরোধী দলকে নিজ আসনে বসার অনুরোধ জানালেও তাঁরা শোনেনি। এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দাঁড়িয়ে একটি কাগজ উঁচু করে স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ওয়াক আউট করে ৫ মিনিটের মধ্যেই অধিবেশনে ফিরে আসে।
পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ২০ মিনিট সময় দেয়া হলে বিরোধী দলের সদস্যরা আবারও প্রতিবাদ জানায়। এ সময় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক কেন সময় কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে সরকারী দলের সদস্যরা প্রতিবাদ জানান। এ সময় ৰিপ্ত হয়ে জয়নুল আবদীন ফারম্নক ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সরকারী দলের সদস্যদের উদ্দেশে 'এ্যাই চুপ' বলে শাসাতে দেখা যায়। তাঁদের এমন আচরণ দেখে ডেপুটি স্পীকারকেও ৰোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বক্তব্য রাখতে গেলে বারবারই বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাঁকে বক্তব্যে রাখতে বাধা দেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নৌ পরিবহন মন্ত্রীর মনত্মব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, শহীদ জিয়া রাজনৈতিক সঙ্কট এবং শূন্যতার সময় সাহসী হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটা ঐতিহাসিক সত্য। জিয়াকে খাটো করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকেই খাটো করা হচ্ছে। কারণ বঙ্গবন্ধুর স্থান অনেক উঁচুতে। কিছু বুদ্ধিজীবী ও আওয়ামী লীগের নেতারা অতিউৎসাহী হয়ে এসব করছেন।
উলেস্নখ্য, কিছুদিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ আদৌ আছে কী-না, তা প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের দাবি জানানোর পাশাপাশি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিরোধী দলকে বিষয়টি প্রমাণে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.