আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ- বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে

বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ানত্ম প্রসত্মাবনা তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পেশ করার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিদু্যত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, তহবিল গঠিন এবং অর্থ ব্যয় নিয়ে এতে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীর (বীরবিক্রম) সভাপতিত্বে এতে কমিটির প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, বিদু্যত সচিব আবুল কালাম আজাদ, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুরসহ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রমতে, বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে (পিপিপি) তহবিলটি গঠন করা হবে। একটি কোম্পানির মাধ্যমে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। এ জন্য বাংলাদেশ এনার্জি এ্যান্ড পাওয়ার ইনভেস্ট ফান্ড (বিইপিআইএফ) নামের একটি কোম্পানি গঠনের প্রসত্মাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তহবিলের আড়াই হাজার কোটি টাকার মধ্যে সরকারী অংশিদারিত্ব দেড় হাজার কোটি টাকা এবং বেসরকারী অংশীদারিত্ব এক হাজার কোটি টাকা করার প্রসত্মাব করা হয়েছে। বেসরকারী খাত হিসেবে প্রসত্মাবে শেয়ার বাজার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনাবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে সংগ্রহে গুরম্নত্ব দেয়া হচ্ছে। বেসরকারী বিনিয়োগকারী বা কোম্পানির মধ্যে যেসব কোম্পানির বার্ষিক মুনাফা মোট মূলধনের ১৫ শতাংশ শুধু সে কোম্পানি এ তহবিলের অংশীদার হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। চাইলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে।
সাধারণত বড় বিনিয়োগে না গিয়ে ছোট ছোট বিদু্যত কেন্দ্র নির্মাণে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। এৰেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদু্যত উৎপাদনের ওপর গুরম্নত্বারোপ করা হচ্ছে। সৌর, বায়ু, জল বিদু্যত উৎপাদনকে উৎসাহী করতে তহবিলের অর্থ খরচের প্রসত্মাব করা হয়েছে। এছাড়া বায়োগ্যাস ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে অর্থ ব্যয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।
কোম্পানিটি একটি পরিচালনা বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। মূলধন ও বিনিয়োগের ভিত্তিতে এর পরিচালনা বোর্ড এবং ভোটাধিকার মতা প্রদান করা হবে। কোম্পানিটির মেয়াদ হবে ১২ বছর। তবে চাইলে পরবর্তীতে কোম্পানির মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.