বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশে বিএনপি শোকাহত ॥ by হানিফ

ফাঁসির দ-প্রাপ্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে থাকলেও তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় সোপর্দ করবে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলের সমালোচনা করে দলটি বলেছে, যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশে বিএনপি শোকাহত।
এ কারণে এখনও পর্যন্ত তারা কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় দেয়ায় বিএনপির আস্থাভাজন ব্যক্তিরা ফেঁসে যাচ্ছেন। তাই তাদের অন্তরে বড়ই ব্যথা। তাদের এ নীরবতা দূরভিসন্ধিমূলক কিনা তা নিয়ে দেশবাসীর মনে আজ সন্দেহ জেগেছে।
সোমবার বিকেলে ধানমণ্ডিস্থ দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাই তিনি বা তাঁর দল কিভাবে আদালতের এই ঐতিহাসিক রায়কে অভিনন্দন জানাবে? বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না বলেই এ বিচার বানচাল করতে বহু রাজনৈতিক কর্মসূচী দিয়েছিল। প্রকাশ্যে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটককৃতদের মুক্তিও চেয়েছেন। তাই বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদ-ের আদেশ হওয়ায় দলটি এখন শোকাহত।
আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে সারাদেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলাসহ সকল পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করতে সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৬ মাস পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের আগের কমিটিই বহাল থাকবে। পূর্বের কমিটি ঢাকা মহানগরের সকল ওয়ার্ড ও থানা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে পুনর্গঠনের পরই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া বৈঠকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে গণশোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে আবারও এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সাধারণ মানুষের দাবি। এটা আওয়ামী লীগের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী নয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে গণজোয়ার এসেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.