‘শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের ভিক্ষুক বানিয়েছেন’ by মাহমুদ মেনন

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তিনি শিক্ষকদের ভিক্ষুক বানিয়েছেন।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে এ মন্তব্য করেছেন। সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ সমাবেশে অংশ নেন।
এমপিওভুক্ত (মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ঢাকায় মহা-অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায়।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘‘৫০০ টাকা ভাতা বাড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের ভিক্ষা দিয়েছেন। তার এই ভিক্ষা আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। জাতীয়করণ ছাড়া আর কিছুই আমরা মানি না।এই দাবি মানার আগে আমরা ঢাকা ছেড়ে যাবো না।’’

বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ব্যানারে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। 

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার দুপুরে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার ঘোষণা দেন।  শিক্ষামন্ত্রী বর্ধিত এই ভাতা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ার পরই সব শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠন তা প্রত্যাখ্যান করে চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট মন্ত্রীর ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মহা-অবস্থান কর্মসূচি বহাল রাখার ঘোষণা দেয়। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘোষণাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

চাকরি জাতীয়করণের এক দফা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণসহ ১৭ দফা দাবিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো গত ১০ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করে আসছে।

আন্দোলনরত সব শিক্ষক সংগঠন শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলেও আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাকে শিক্ষক ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলো বলেছে, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষকেরা সব ধরনের সহায়তা দেবেন পরীক্ষা গ্রহণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে।

No comments

Powered by Blogger.