মানবাধিকারের রাজনীতি-২ by ফরহাদ মজহার

কিছু দিন আগে একটি লেখায় ২০১২ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলছিলাম। মানবাধিকার কর্মীদের কারবার ব্যক্তিকে নিয়ে।
সেখানে বলতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে মানবাধিকার আন্দোলন যদি ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের নির্যাতনের হাত থেকে রা করতে চায় তাহলে এখন একমাত্র কাজ হচ্ছে ব্যক্তির মর্যাদা ও অধিকার অলংঘনীয় এই নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে  নতুন করে গঠন করা। এমন এক গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে যাতে কোন অবস্থাতেই নাগরিক মানবিক অধিকার সংসদের কোন আইন, বিচার বিভাগীয় রায় বা নির্বাহী আদেশে রহিত করা যাবে না। বহু কাটাছেঁড়ায় ছিন্নভিন্ন বর্তমান সংবিধানের জায়গায় দাবি করতে হবে নতুন গঠনতন্ত্রের, বাংলদেশকে নতুন ভাবে গঠন করতে হবে।

এক হোক বা অনেক, যদি ব্যক্তির মানবাধিকার রাষ্ট্র লংঘন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদ জানায়,  দেশে-বিদেশে তার প্রতিকার চায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র বা সরকার মানবাধিকার লংঘন করলে মানবাধিকার কর্মীদের  কাজ হচ্ছে ব্যক্তির পে দাঁড়ানো। ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের হাত থেকে রা করা। সমাজের কোন একটি সম্প্রদায় বা গোষ্ঠি  অন্য সম্প্রদায় বা গোষ্ঠির মানবাধিকার লংঘন করতে পারে, কিম্বা ব্যক্তির অধিকার সমষ্টির চাপে নির্যাতিতও হতে পারে। সে েেত্র মানবাধিকার কর্মীর কাজ হচ্ছে মানবাধিকার রার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতে বাধ্য করা।

যে দিক থেকেই দেখি না কেন, মানবাধিকারের মুখ্য বিষয় বিদ্যমান রাষ্ট্র ও সমাজের বিপরীতে ‘ব্যক্তি’। বাস্তবের সমাজ, সমষ্টি বা রাষ্ট্র  প্রসঙ্গের বাইরে থাকে তা না, কিন্তু তাদের বিচার করা হয় ব্যক্তির জায়গা থেকে। ব্যক্তিকে রার প্রয়োজনেই সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা ওঠে, একই সঙ্গে ওঠে সর্বজনের অধিকারের কথা। কিন্তু কিভাবে ওঠে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ওঠে ব্যক্তির অধিকারকেই সার্বজনীন অধিকার হিশাবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে।

তাহলে প্রথমেই আমাদের বোঝা দরকার যে ‘সার্বজনীন মানবাধিকার’ সর্বজনের সামষ্টিক বা সামাজিক অধিকার নয়, ব্যক্তি হিশাবে তাদের অধিকার, ব্যক্তিরই অধিকার। সোজা কথায় ব্যক্তিই তার কেন্দ্রীয় বিষয়। মানবাধিকারে অন্তর্নিহিত ভেবে যে ‘অধিকার’কে আমরা শনাক্ত করি, তাকে সে কারণে ব্যক্তিতান্ত্রিক অধিকার বলে হয়। রাজনৈতিক ভাবে বোঝার সুবিধার জন্য অনেকে একে ‘বুর্জোয়া’ অধিকার হিশাবে চিহ্নিত করে থাকেন। ব্যক্তিতান্ত্রিকতা এবং ব্যক্তির অধিকারকে সার্বজনীন অধিকার হিশাবে স্বীকৃতি  দিয়ে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ব্যক্তির তুলনায় গৌণ করে ফেলে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ককে অস্পষ্ট ও অপরিচ্ছন্ন করে ফেলে। দর্শন, সমাজবিদ্যা বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মানবাধিকার নিয়ে এ কারণে অনেক অস্বস্তি রয়েছে, এ বিষয়ে মতান্তরও কম নাই। অনেকে দাবি করেন এক এক সমাজে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভেদে অধিকারেরও ভেদ আছে, সার্বজনীন অধিকার বলে কিছু নাই, সবই আপেকি। কিন্তু সেসব নিয়ে তর্ক থাকলেও আমরা অধিকারের সার্বজনীনতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছি তার যুক্তি অন্যত্র। ধর্মীয় বিধান, সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য ও সমাজ ভেদে অধিকারের ধারণা ও চর্চার পার্থক্য আছে বলে সমাজে নিপীড়নের শক্তি, কাঠামো বা অভ্যাস টিকিয়ে রাখবার যে সকল অজুহাত দেওয়া হয়, আমরা সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। আমরা যে অস্বস্তি বা মতান্তরের কথা বলছি সেটা ভিন্ন বিষয়।  নির্যাতনের প্রতিকার বা নির্যাতনের হাত থেকে ব্যক্তিকে রা করার দায় পালন এবং তার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা কঠিন। তার মানে ‘অধিকার’ একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক ধারণা, এটা মেনে নিলেও বাস্তবে অধিকার লঙ্ঘিত হলে মানবাধিকার রার জন্য আমাদের লড়তে হচ্ছে।

যে অস্বস্তি বা মতান্তরের কথা আমরা বলছি তার বিশেষ তাৎপর্য আছে। সেটা হচ্ছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক সমাজের বিলয় বা রূপান্তর ঘটিয়ে আমরা যদি মানুষকে আরো সামাজিক ও সমষ্টিগত ভাবে ভাবি এবং নতুন ভাবে সমাজ গড়বার চিন্তা করতে চাই, তাহলে মানবাধিকার-সংক্রান্ত ধারণা ও কাজের পর্যালোচনার কোন বিকল্প নাই। সেই েেত্র ‘মানবাধিকার’-সংক্রান্ত ধারণাকে নির্বিচারে গ্রহণ করা যাবে না। মানুষ নিজেকে কেন একজন মুক্ত ও স্বাধীন মানুষ হিশাবে দেখতে ও উপলব্ধি করতে চায় এবং মুক্ত মানুষের মর্যাদা আস্বাদনের জন্য ব্যক্তির অধিকারের দাবি তোলে, তার ঐতিহাসিক কারণ আছে। আমরা দাসব্যবস্থায় বা সামন্ত সমাজে বাস করছি না। পুঁজি নিরন্তর আমাদের পুরানা ও প্রাচীন সম্পর্কগুলোকে নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে ভাঙছে। সমাজ ও প্রকৃতির সঙ্গে দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষের পুরানা প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক সম্পর্ক আর নাই। মানুষকে বারবারই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্নপর্যায়ে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করতে হচ্ছে। কিন্তু একটি অদ্ভুত ব্যাপার আছে। এই সমাজে মানুষ মূলত পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের অধীন, তাকে টিকে থাকতে হলে দাসত্ব করতে হচ্ছে পুঁজির, শৃঙ্খল পরতে হচ্ছে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কে। অথচ এই সমাজে মানুষ নিজেকে মুক্ত ও স্বাধীন সত্তা হিশাবে ভাবতে পছন্দ করে এবং তার ব্যত্যয় ঘটুক সেটা চায় না। ব্যক্তির অধিকার কায়েমের দিক থেকে তর্কটা তখন হয়ে ওঠে ব্যক্তির মর্যাদা ও শক্তিকে  ব্যক্তিতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র আদৌ সুরা করতে চায় কি না এবং আরো পরিপূর্ণ ও বিকশিত করতে সম কি না। এর অর্থ কী? ব্যক্তি তো সমাজে বাস করে, সমাজবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি বলে তো কিছু নাই। তাহলে ঘেরাটোপ ভেঙে ব্যক্তিকে আরো সামাজিক করে তুলবার সামাজিক, রাজনৈতিক শর্ত কী করে তৈরি করা যায় সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। সেটা ব্যক্তিকেও ভাবতে হবে, শুধু সমষ্টির মধ্যে গড়ে হরিবোলে ভাবলে হবে না। ব্যক্তির মুক্তি ও বিকাশের মধ্যে সমাজের মুক্তি ও বিকাশ অনুসন্ধান কিম্বা সমাজের কী ধরনের সামগ্রিক রূপান্তর ও বিকাশ ঘটলে সমাজের মধ্যে ব্যক্তি নিজের বিলয় নিজে ঘটাতে সম হবে, সেই সব নিয়ে ভাববার জন্য ব্যক্তিতান্ত্রিক অধিকারের সীমা ও সম্ভাবনা  নিয়ে এই কালের দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই ভাবছেন। অধিকারকেন্দ্রিক ব্যক্তিসর্বস্বতা ও ব্যক্তিতান্ত্রিকতার পর্যালোচনা বর্তমানকে অতিক্রম করে ভবিষ্যতে যাবার জন্যই দরকার।

মানুষ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, সমাজ মানে মানুষেরই সমাজ, ওর মধ্যেই মানুষ ইতিহাসের একপর্যায়ে নিজেকে ব্যক্তি হিশাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও স্বাধীন সত্তা হিশাবে ভাবতে শিখেছে, কিন্তু এটাই তার একমাত্র বা শেষ ভাবনা নয়। সমাজের অন্যায়-অবিচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষ লড়ছে আজ নয়, বহু দিন থেকেই। নিজের অধিকারের কথাও সে আজ বলছে না, বহু আগে থেকেই বলে আসছে। কখনো ধর্মের ভাষায়, কখনো সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনের বয়ানে কিম্বা ভাবের ভাষায় দর্শনের উদ্দেশ্য নির্ণয়ের কর্তব্য হিশাবে। কিন্তু  মুক্তি, স্বাধীনতা ইত্যাদি তার অধিকার হিশাবে মানুষ যখন আওয়াজ তুলেছে, তখন কোন্ বন্ধন বা কী ধরণের শৃঙ্খল থেকে সে মুক্তির অধিকার চায়, সেই বাস্তব কাজটা তার সামনে বাস্তব কর্তব্য হিশাবেই হাজির থেকেছে। সুনির্দিষ্ট ভাবেই সেই অধিকারের কথা তাকে বলতে হয়েছে। দাসব্যবস্থায় দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি চেয়েছে মানুষ, চেয়েছে দাসত্ব থেকে মুক্তির অধিকার, সামন্তব্যবস্থায় সামন্ত শ্রেণির অত্যাচার থেকে মুক্তি চাইতে হয়েছে তাকে। নিপীড়িত জাতি পরাধীনতা থেকে মুক্তি চেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং দাবি করেছে নিপীড়িত জনগোষ্ঠি হিশাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ তার অধিকার। অর্থাৎ ‘স্বাধীনতা’, ‘মুক্তি’, ‘অধিকার’ ইত্যাদি কোন বিমূর্ত ধারণা নয়, যদি ধারণাগুলোকে কখন কোন্ নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে সেই দিকে আমরা নজর রাখি। আসলে মুশকিলটা শুরু হয় যখন সুনির্দিষ্ট অর্থ থেকে খসিয়ে আমরা শব্দগুলোকে বিমূর্ত ধারণা হিশাবে ব্যবহার শুরু করি। কিন্তু আরো কঠিন বিপদ অন্য দিক থেকেও আছে। কারণ ধনী ও সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী দেশগুলো গত কয়েক দশক ধরে বলছে, রাষ্ট্র যদি নিজের নাগরিকদের রা করতে না পারে, তাহলে তারা সেই রাষ্ট্রের নাগরিকদের পে দাঁড়াতে পারবে এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রকে শাস্তিও দিতে পারবে। যেমন, অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা, এমনকি অন্য দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার রার জন্য যুদ্ধ করাও এই ‘সাহায্য’ দেবার অন্তর্ভুক্ত। এই েেত্র রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব কোন বাধা নাই, এটাই কয়েক দশক ধরে জোরেশোরে বলা হচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকদের রা করবার জন্য সেই দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে যুদ্ধ করা যাবে। এর একটা নাম আছে। সেটা হোল, মানবাধিকার রার জন্য সামরিক বা বেসামরিক হস্তপে (Humanitarian Intervention)। বাংলাদেশের মতো দেশে মানবাধিকারের কাজে এই মারাত্মক ঝুঁকিটা সব সময়ই ঝুলে রয়েছে।

বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশে সে কারণে মানবাধিকার আন্দোলন শাঁখের করাতের মতো। যদি অধিকার রার লড়াই আমরা না করি তাহলে রাষ্ট্রের নির্যাতন থেকে ব্যক্তিকে আমরা রা করতে ব্যর্থ হবো। কিন্তু অন্য দিক থেকে তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ মানবাধিকারের বিপর্যয় যত বেশি প্রচার করা হবে ততই শক্তিশালী দেশগুলোর চাপ বাড়বে ও হস্তেেপর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।

বাইরে থেকে চাপ সৃষ্টি ও হস্তেেপর সম্ভাবনা এবং দেশের ভেতরে মানবাধিকারের এই চরম বিপর্যয়ের বাস্তবতা মনে রেখেই মানবাধিকারের কাজ করতে হবে। এই দিক থেকেই বাংলাদেশের বাস্তবতায় কিছু কাজ সামনে চলে এসেছে, তা সম্পন্ন করা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নাই। তা হচ্ছেÑ ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন করে নির্ধারণ করা। ব্যক্তির মর্যাদা ও অধিকার রাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যক্তির জন্য কিছু সুবিধা আদায়ের ব্যাপার না করে তাকে রাষ্ট্রের বিষয়ে পরিণত করতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তির মর্যাদা ও অধিকারকে অলঙ্ঘনীয় গণ্য করে রাষ্ট্রকে নতুন করে গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এটাও আমাদের বুঝতে হবেÑ প্রাণ, পরিবেশ ও জীবিকার নিশ্চয়তা বিধান করতে না পারলে রাষ্ট্র নিজের ন্যায্যতা হারায়। সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাগরিকদের বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত।

খেয়াল করতে হবে আমরা মানবাধিকারকে মানুষের প্রাকৃতিক, স্বাভাবিক বা জন্মসূত্রে লাভ করা কোন বিমূর্ত ‘অধিকার’ গণ্য করে আমাদের আলোচনা করি নি। কারণ এই ধরণের বিমূর্ত ধারণা সম্পর্কে দর্শন, সমাজবিদ্যা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অস্বস্তি ও মতান্তর রয়েছে, আগেই বলেছি। আমরা আলোচনা করছি রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রশ্ন হিশাবে। বলেছি নাগরিক হিশাবে আমরা রাষ্ট্রকে এমন কোন মতা দিতে পারি না যাতে রাষ্ট্র আমার মানবাধিকার হরণ করতে পারে। রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক নির্ণয়ের মীমাংসা মানবাধিকারের দিক থেকে বিপর্যস্ত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আমাদের উত্তরণে সহায়ক  হবে এবং উত্তরণ ঘটাবে।

এটাই একালে বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট ল্য। এই আন্দোলন বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গঠন করবার রাজনৈতিক আন্দোলন। যে আন্দোলন নতুন করে বাংলাদেশকে গঠন করেই শেষ হবে না বরং ব্যক্তিতান্ত্রিক সমাজকে অতিক্রম করে নতুন ধরণের মানুষের সমাজ কায়েম করবার দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।

মানবাধিকার কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি এই সত্য বুঝবেন ততই মানবাধিকার আন্দোলন এই দেশে শক্তিশালী রূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে।

২২ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ মাঘ ১৪১৯ । শ্যামলী।

farhadmazhar@hotmail.com

No comments

Powered by Blogger.