জিয়ার অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই স্বাধীনতার ঘোষক দাবি না'গঞ্জে এইচটি by ইমাম

 প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, জিয়াউর রহমানের অসত্মিত্ব রার স্বার্থেই বিএনপি তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে তা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষক বলে কিছু ছিল না। দেশ-বিদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামই স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে লেখা রয়েছে। ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতার শত্রম্নরা এখনও দেশের বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। '৭৫-এ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়েছে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশের জন্য সবচেয়ে তিকর হচ্ছে দুঃশাসন ও দুবর্ৃত্তায়ন। সুশাসন না থাকলে দেশে দুর্নীতি হয়। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইসত্মেহার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। একুশের চেতনার পথ ধরেই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা।
সোমবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়া জিয়া হলে অমর একুশে ফেব্রম্নয়ারি ও আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপল েসপ্তাহব্যাপী বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সারাহ্ বেগম কবরী, জেলা প্রশাসক মোঃ সামছুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে প্রথম ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তখন ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়। এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা দেশের বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের ভাল বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে শুধু ভারত নয় নেপাল, ভুটানকেও ট্রানজিটের আওতায় এনে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও যোগাযোগ ত্রে বিসত্মৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইতোমধ্যে দেশের সকল জেলায় ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি মানুষের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেয়ার জন্য কাজ করছে সরকার।
এইচটি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তৃতীয় বিশ্বে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিগত দিনে দুঃশাসন, দুরাচার, দুর্বৃত্তায়ন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান অনত্মরায় ছিল। বর্তমানে বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বাংলাদেশের সামনে বড় ধরনের সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগানো হলে দেশের আরও উন্নয়ন হবে। নারায়ণগঞ্জকে ঢাকার ভেতরে নিয়ে আসা হবে। ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগের েেত্র যুগানত্মকারী পরিবর্তন আনা হবে। পরিবহন েেত্র ভারত বাস সরবরাহ করবে। নেপাল আমাদের ট্রানজিট দেবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণে ভুটান থেকে বিদু্যত আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকতর্া-কর্মচারীদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে তথ্য অধিকার আইন পাস করেছে।
নাসিম ওসমান এমপি জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করে আবারও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন নামকরণের প্রসত্মাব এবং মিলনায়তন ভেঙ্গে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ঐতিহ্যবাহী শিা প্রতিষ্ঠান প্রিপারেটরি স্কুল পরির্দশন করেন।

No comments

Powered by Blogger.