পুলিশী অভিযানে সাতক্ষীরা রাজশাহীতে গ্রেফতার ৩৫- নীলফামারীতে ৪ জনকে জেলে

দেশব্যাপী পুলিশের চিরম্ননি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পুলিশ সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনত্মত ৩৫ জামায়াত শিবির কর্মীকে আটক করেছে।
এরা দেশবিরোধী ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনার উদ্দেশে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠক করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে এদের বিরম্নদ্ধে পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে। এ সময় বেশ কিছু জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে সাতৰীরা শহরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে ২২ জনকে। অন্যদিকে, রাজশাহী মহানগর পুলিশ রবিবার দিনগত রাতে জামায়াত-শিবিরের ১৩ নেতাকর্মী ক্যাডারকে আটক করেছে। এ ছাড়া, শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার জামায়াত শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে সোমবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, পটুয়াখালীর বাউফল থানা পুলিশ সোমবার সকালে স্থানীয় নওমালা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ ইউনুস বিশ্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তবে, তাঁর বাসায় সংগঠনের বই ছাড়া অন্যকিছু পাওয়া যায়নি। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো_
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে সাতীরা জেলা শহরে শিবির নিয়ন্ত্রিত রমিজ রাজা ছাত্রাবাস, আগড়দাঁড়ী মাদ্রাসা ছাত্রাবাস, আল আমিন ট্রাস্ট, সুন্দরবন ছাত্রাবাসসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২০ শিবির নেতাকর্মী এবং ২ জামায়াত কর্মী রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ইসলামী বইপত্র ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশবিরোধী চক্রানত্ম করতে গোপন বৈঠক করার খবরে এদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে খায়রম্নল বাশার সাগর (১৮), রফিকুল ইসলাম (২০), মাসুম (১৮), আবু রায়হান (১৭), মশিউর রহমান (২০), মোমনিুর রহমান (২২), আশিক বিলস্নাহ (২১), আসলাম হোসেন (১৭), আব্দুল আলিম (২৬), শফিকুল আলম (২২), আলমগীর হোসেন (২২), ছদরম্নল আলম (৩৫), নাজমুল আলম (৩২), জাহাঙ্গির হোসেন (৫০), মাহামুদ হাসান (১৭), ইমদাদুল হক (১৭), নুরম্নজ্জামান (১৮), মাসুম বিলস্নাহ (১৭), মোঃ গালিব (১৮), আবুল খায়ের (১৯), ইমজামুল হক (১৭) ও হাফিজুর রহমান (৩৮)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গির হোসেন ও হাফিজুর রহমান জামায়াত কর্মী। বাকি ২০ জন শিবির নেতাকর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব, ইসলামী ছাত্রশিবির কি চায়_ কেন চায়_ কিভাবে চায়, জিহাদে হকিকত, ইসলামী বিপস্নবের চেতনাসহ ২৫ খানা ইসলামী বই, লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় এদের বিরম্নদ্ধে ১২০ (ক), ১৪৩ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিল।
এদিকে গত শনিবারের নীলফামারীতে জামায়াত শিবির ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চার জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে সোমবার বিকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পৰে চীফ জুডিশিয়াল মনছুর আলমের আদালতে আসামিদের হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত আসামিদের রিমান্ডের বিষয়টি ২৩ ফেব্রম্নয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলো শাহিনুল (২২), খায়রম্নল (২৫), শেরশাহ (৪৫) ও আব্দুল হামিদ (৬০)। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় আহত হয়ে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এর মধ্যে উলেস্নখ্য চারজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সূত্র মতে জামায়াতের জেলা আমিরসহ এখনও ৫ জন হাসপাতালে চিকিসাৎধীন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.