জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি ছাত্রলীগের

'৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিসহ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে এ দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সকল বাধা-বিঘ্ন উপেৰা করে যে কোন মূল্যে '৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিসহ সব ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে দেশবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শহীদ মিনারে ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের পরিচালনায় সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক কবি মু.সামাদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা বক্তৃতা করেন।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের হামলায় যে দুই মেধাবী ছাত্র নিহত হয়েছে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের স্বপ্ন দেখত। জামায়াত-শিবির তাদের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। দেশবিরোধী মৌলবাদী এ শক্তিকে বিতাড়িত করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অন্যান্য বক্তা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে '৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে। এখন জনগণকে দেয়া সে অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। সকল বাধা-বিপত্তি উপেৰা করে '৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিসহ ধর্মভিত্তিক সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এর আগে সবাই সম্মিলিতভাবে দেশবিরোধী এ জামায়াত-শিবির চক্রকে প্রতিরোধ করতে হবে। তাদের নৃশংসতা বর্বরতা মধ্যযুগকেও ছাড়িয়ে গেছে। তারা এখনও শিৰাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিৰার সুষ্ঠু পরিবেশ ও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবির মরিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য পরিকল্পিতভাবে একের পর এক দেশের উচ্চ শিৰাপ্রতিষ্ঠান অশানত্ম করে তুলতে লাশের ঘৃণ্য রাজনীতি শুরম্ন করেছে।
সমাবেশ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত ছাত্র মহিউদ্দীনের হত্যাকারী শিবির ক্যাডারদের দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি দাবি করা হয়। সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.