বিজয়ী সরফুদ্দীনের কাছে অনেক প্রত্যাশা by আরিফুল হক

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম নগরপিতা (মেয়র) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পদত্যাগী নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে বিপুল ভোটে হারিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটার দিকে রংপুর পুলিশ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল অনুযায়ী, মোট ১৭৮টি ভোটকেন্দ্রে সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন এক লাখ ছয় হাজার ২৫৫ ভোট। মোস্তাফিজার পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট। জাতীয় পার্টির আরেক পদত্যাগী নেতা এ কে এম আবদুর রউফ (মানিক) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট।
প্রথম নগরপিতার কাছে রংপুরবাসীর প্রত্যাশাও অনেক । নগরের কেরানীপাড়ার ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যিনি জয় লাভ করেছেন তিনি যেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নগরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। গৃহিণী রেবেকা সুলতানার প্রত্যাশা, প্রথম নগরপিতা যেন দ্রুত চার লেন প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করেন। শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন চান প্রথম মেয়র যেন নগরের পয়ঃনিষ্কাশন ও যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেন।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দলবিহীন। বিজয়ী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝণ্টু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হলেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সরাসরি কোনো প্রার্থী ছিলেন না।
তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নগরপিতা সরফুদ্দীন ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রংপুরে একসময় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সাংসদ ছিলাম। তখন যতটুকু পেরেছি, উন্নয়ন করেছি। মানুষের ভালোবাসা ছিল বলেই জয়ী হতে পেরেছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
পরাজিত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রথম নগরপিতা সরফুদ্দীনকে। তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা থাকবে তিনি ভালো কাজ করবেন।
রংপুরে আজ উত্সবের আমেজ। নির্বাচন বিধি অনুসারে নির্বাচন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনন্দ বা বিজয় মিছিল করা নিষিদ্ধ। তাই বিজয় মিছিল বের না হলেও একে অন্যের গলায় মালা পরিয়ে, ফুল দিয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ করছেন।

No comments

Powered by Blogger.