পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের নেপথ্য কারণ by হারুন আর রশীদ

ভোগ্যপণ্য মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ, ঠিক একইভাবে সরকার ব্যর্থ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে। ১ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রথম শ্রেণীর ২/১টি পত্রিকার হেড লাইন দেখলেই বোঝা যাবে পুঁজিবাজারের বর্তমান চালচিত্র।
কয়েকটি সংবাদচিত্র নমুনা এখানে উদ্ধৃত করছি : শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, ডিএসইতে লেনদেন বছরের সর্বনিম্ন, শেয়ারবাজারে অশুভ সঙ্কেত, যেভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন ইয়াকুব আলী খন্দকার, শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে
শুনানিতে ডেকেছে এসইসি, শেয়ারবাজারকে অস্থিরতার দিকে নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেই, পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা, মুনাফার লোভে নিয়ম ভেঙে ৮ ব্যাংক শেয়ারবাজারে। ১২ মার্চ ২০১০ প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান হেড লাইনে এ সংবাদ এসেছে প্রথম আলোতে, চাঁদাবাজি বাড়ছে— টার্গেটে শেয়ার ব্যবসায়ীরা, টেলিফোন বাজলেই আতঙ্ক, পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় নিজেই চিন্তিত, ডিএসই’র পর্ষদ নির্বাচন—বাদপড়া দু’জনকে সুযোগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ। গত সপ্তাহে ডিএসই’র সব সূচকে পতন, পুঁজিবাজারে লেনদেনের অংক হ্রাস, ব্যাংকগুলোর শেয়ার ব্যবসা এবং অপেক্ষাধীন বিপদ, শেয়ারবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন।
প্রতিদিনই পুঁজিবাজার নিয়ে ভয় উত্পাদক সংবাদ প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদ যদি অর্ধেকও সঠিক হয় তাহলেও বলব সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত এসইসি’র চরম গাফিলতি এর জন্য দায়ী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেছেন, অতি মূল্যায়ন ও ভুল সূচকের বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে দেশের শেয়ারবাজার। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রীও জানেন। অর্থমন্ত্রণালয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের পর্যালোচনা শীর্ষক এক প্রতিবেদন পুঁজিবাজারের মূল্য সূচকের হ্রাস বৃদ্ধি নিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের মতো বর্তমানেও শেয়ারবাজারকে শৃঙ্খলাহীন অবস্থায় নিয়ে গেছে, দেশের প্রথম শ্রেণীর কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউসের কতিপয় অতিলোভীচক্র। পত্রিকায় উঠেছে, বাজিকর ও জুয়াড়িরা ঢুকে পড়েছে পুঁজিবাজারে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে। এদের সহযোগী পার্টনার মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জের অসত্ কর্মকর্তা এবং তাদের মনোনীত কতিপয় ব্রোকার হাউস। সরকারের ব্যর্থতা যেটা, সেটা হলো—সরকার নিয়ন্ত্রিত এসইসি’র ভূমিকা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুষ্ঠু তদারকির অভাব।
বহুদিন ধরে একজন মধ্যবিত্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আমাকে প্রায়ই বলতেন, ভাই আপনি তো লেখালেখি করেন আমাদের নিয়ে কিছু লেখেন। উচ্চমূল্যের বাজারে সংসার যে আর চালাতে পারছি না। বিষয়টি জানতে চাওয়ার পর সত্তরোর্ধ্ব বয়সী ভদ্রলোক আমাকে বললেন, বহু বছর আগে (এরশাদ সরকারের আমলে) প্রাইমারি কিছু শেয়ার পেয়েছিলাম—তার মধ্যে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও কিছু শেয়ার ছিল। ঢাকা ভেজিটেবল শেয়ারও পেয়েছিলাম। সেটা এখন শুধু মূল্যহীন কাগজে পরিণত হয়েছে। স্টক মার্কেটের বর্তমান তালিকায় এই কোম্পানিটির নাম নেই। মালিক শেয়ার হোল্ডারদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে গেছেন। তিনি আরও বললেন, শেয়ারের লভ্যাংশ এবং সঞ্চয়পত্রের টাকা দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে সংসারের হাল টিকিয়ে রেখেছি। কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশের টাকা পাইনি। আইসিবিতে টেলিফোন করলে বলে এসইসিতে গিয়ে খবর নেন। আমি ভদ্রলোকটিকে আশ্বস্ত করলাম, এসইসিতে গিয়ে বিষয়টি আমি জানতে চেষ্টা করব। একদিন দুপুরবেলা জীবন বীমা ভবনের ২৪ তলা ভবনের এসইসির অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যানের পিএসেএর কাছে গিয়ে বললাম, চেয়ারম্যান আছেন কিনা। পিএস ভদ্রভাবেই একটি স্লিপ দিল এবং বলল স্লিপে আপনার পরিচয় এবং কেন সাক্ষাত্ করবেন ইত্যাদি বিষয় লিখুন। আমি নিজেকে একজন লেখক হিসেবে পরিচয় দিলাম এবং সাক্ষাতের বিষয়টিও উল্লেখ করলাম। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা বসে থাকার পর চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সংবাদ এলো তিনি সাক্ষাত্ প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ওই অফিসের নির্বাহী পরিচালকরাও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চায়নি। এই হলো সরকারি সেবাখাতে তথ্য-প্রযুক্তির ডিজিটাল বাংলাদেশের নমুনা। আইসিবি সরকারের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। শত শত কোটি টাকা জনগণ থেকে শেয়ারের নামে নিয়ে শেষ অবধি আইনি আদালতের প্যাঁচে ফেলে সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বছরের পর বছর। সম্প্রতি মিউচ্যুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার পরও এখনও লভাংশ পেতে আরও দুই/তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে নিরীহ গরিব অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীটির মতো আরও অনেককে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দেখভাল দেখাশোনার দায়িত্ব যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের উদাসীনতা ও তাচ্ছিল্য মনোভাব দেখে ভাবলাম—সরকারি সেবাখাতে যখন এই অবস্থা, তখন প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন, স্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে। তথ্য-প্রযুক্তির আইনি কাঠামোকে যদি দ্রুত কর্মসাধনে সক্রিয় করতে না পারেন তাহলে হতদরিদ্র মানুষগুলোর ভোগান্তির অবসান হবে না। ডিজিটালের মূলগত অর্থ হলো তথ্য-প্রযুক্তির সেবাখাতকে দ্রুত মানুষের দোরগড়ায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ডিজিটাল ব্যক্তিত্বের অভাবজনিত কারণে। হাজার হাজার মাইলের দূরত্ব ঘুচে যায় এক লহমায়। একটি মাত্র স্পর্শে। ইন্টারনেট সমুদ্রের মতো অতল। শব্দকে সঙ্গী করে ঢুকে পড়া যায় সেখানে। তারপরও যেন ভাঙা কাচের সামনে আমরা। বহু পরিচয় স্পিল্গট—এই আমাদের ডিজিটাল পার্সোনালিটি। শেয়ার সংক্রান্ত আরেকটি গল্প বলি। আমারই এক বন্ধু দুই বছর হয়ে গেছে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। এককালীন টাকা দিয়ে এক হাজার স্কয়ার ফিটের একটি ফ্লাট কিনেছেন। বাকি ৪/৫ লাখ টাকা যা ছিল হালাল ব্যবসা, শেয়ারে খাটালেন মতিঝিলের একটি ব্রোকার হাউসে। বর্তমান পুঁজিবাজারে হঠাত্ দরপতনে পুরো টাকাটাই তার লোকসান হয়েছে। উচ্চ দামে কেনা কম দামে বেচা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আর বিদেশের পুঁজিবাজার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সব টাকা খুইয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এখন তার। আমাদের পণ্যের বাজার যেমন অস্থির, ঠিক তেমনি পুঁজিবাজারও অস্থির। এই দুই জায়গায় স্থিতিশীলতা ভবিষ্যতে আসবে কিনা আল্লাহ মালুম। সরকার জনগণকে বহু আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে। ব্যাংকে আমানতের ওপর সুদ কমিয়ে দিয়েছে, এখন সঞ্চয়পত্রের ওপর সুদ কমানোর চিন্তা প্রায় চূড়ান্ত। কারণ পেছনে খবরদারির ভূমিকায় আছে আইএমএফ। সরকার শ্লোক বাক্য আওড়াচ্ছে—ব্যাংকে টাকা না রেখে পুঁজিবাজারে টাকা খাটাও, ব্যবসায়ী হও। তাড়াতাড়ি বড়লোক হয়ে যাবে। এভাবেই ’৯৬-তে ধরা খেয়েছিল নিরীহ মানুষ, বাড়িঘর জমিজমা বেঁচে মতিঝিলে কার্ব মার্কেটে শেয়ারের কাগজ বিক্রি করতে নেমে সবকিছুই খুয়েছেন—এমন মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি। চতুর মানুষ যাদের সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ইন্টারনেটের সংযোগ রয়েছে, একশ্রেণীর বাজিকর বা জুয়াড়িদের মাধ্যমে অসাধু পথে বাজার দর ওঠানামা করানো হয়, এমন লোকদের যারা সহযোগী হতে পেরেছেন তারাই কামিয়ে নিচ্ছেন পুঁজিবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে—পত্রিকায় উঠেছে যেভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন ইয়াকুব আলী খন্দকার, যিনি এক সময় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। পত্রিকায় উঠেছে ইয়াকুব আলী খন্দকার ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ার লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথমদিন থেকেই কেনা শুরু করেছিলেন। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মাত্র ২ সপ্তাহে কেনেন ৫ লাখ শেয়ার। প্রিমিয়ামসহ ম্যারিকোর শেয়ারের দর ছিল ৯০ টাকা। তিনি প্রথম দাম হাঁকেন ৩২৪ টাকা, কিনতে থাকেন ৪০০ টাকার ওপর পর্যন্ত। ৪০০ টাকার ওপরে দাম নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি বিক্রি শুরু করতে থাকেন। পরিবারের সব সদস্য ও বিভিন্ন লোকের নামে কেনা পুরো শেয়ারই বিক্রি করে দেন পরবর্তী এক মাসে, বেরিয়ে যান ম্যারিকোর শেয়ার থেকে। এই এক মাসেই সেকেন্ডারি মার্কেটে তিনি মুনাফা করেন কয়েক কোটি টাকা। এ কাজেও তার আরও একজন সঙ্গী ছিল, তিনিও প্রায় সমপরিমাণ টাকা মুনাফা অর্জন করেন। একশ্রেণীর অসাধু শেয়ার ব্যবসায়ী ব্রোকার হাউসে সাইবার ক্যাফে ইন্টারনেটে বসে শেয়ারবাজার কৃত্রিমভাবে চাহিদা বাড়িয়ে নিজেদের অনুকূলে ধাবিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শেয়ারবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই-ই আছে। একজনের টাকা আরেকজনের পকেটে চলে যাচ্ছে কারসাজির কারণে। এভাবেই শেয়ারবাজার অতিমূল্যায়িত এবং অবমূল্যায়িত হয়। পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে, ডিএসইকে সরকার দলীয়করণ করছে—এ জন্য ব্যবহার করছে এসইসিকে। ৩ মার্চ ডিএসই’র নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারিত করা হয়। বাদপড়া দু’জনকে সুযোগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয় ডিএসই। ২১ মার্চের নির্বাচনে দলীয় লোকরা যাতে জয়লাভ করতে পারে, সে জন্য ডিএসইকে নিজেদের মতো সাজানোর জন্যই ওই দু’জনকে বাদ দেয়া হয়েছিল। পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
দরপতনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা নানামত প্রকাশ করেছেন। এ জন্য প্রায় সবাই এসইসির অতি বাড়াবাড়িকে দায়ী করেছেন। হঠাত্ করে মার্জিন ব্যাংকের লোন ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া, এইমস ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ দেয়ার নির্দেশ জারি করা, এছাড়া শেয়ার হোল্ডারদের যথাসময় তাদের লভ্যাংশ, রাইট শেয়ার, বোনাস শেয়ার পাওয়ার পথেও মাঝেমধ্যে এসইসি প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে থাকে। ১২-৩-১০ বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এসব কারণে ২০ জানুয়ারি ২০১০ ডিএসই ও মার্চেন্ট ব্যাংকারস সমিতির নেতারা একটি বৈঠকে বসে যে মতামত ব্যক্ত করেন তাহলো, ঘন ঘন পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপের চেয়ে নজরদারি এবং তদারকির ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসইভাবে কাজ করে এমন দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার পরিচালিত হলে দেশের পুঁজিবাজার সার্বিক অগ্রগতিতে তা সময়োচিত ভূমিকা রাখবে। পুঁজিবাজার হলো সংবেদনশীল স্থান, এখানে যে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার যখন-তখন হস্তক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের মনে নানা ধরনের আতঙ্ক ছড়াতে পারে, যা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আলোচনাকালে তারা একথাও বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারের মঙ্গলের জন্য বিধি-নিষেধ প্রয়োগ করবে, কিন্তু যখন-তখন হস্তক্ষেপ কখনও বাজারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কোনো সুফল বয়ে আনবেই না বরং স্থিতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিএসই ও মার্চেন্ট ব্যাংকারস সমিতির নেতারা মনে করেন, বাজার সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত এসইসি’র মাধ্যমে আসা উচিত। তবে একথাও তারা বলেছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যখন পুঁজিবাজার সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন ডিএসই, সিএসই, এসইসিসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিদের সবার মতামত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিলে পুঁজিবাজারে যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে সেটা থাকবে না। বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে আস্থার সঙ্কটে ভুগছে—সেটাও কমে আসবে।
লেখক : গ্রন্থকার, কলামিস্ট, গবেষক
ই-মেইল : harunar17@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.