ঘন কুয়াশায় দুপচাঁচিয়ায় সাড়ে ছয় শ চাতাল বন্ধ



ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রায় ৬৫০টি চাতাল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন চাল উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে। একই কারণে এসব চাতালের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৬৫০টি চাতালে শুষ্ক মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন চাল প্রক্রিয়াজাত করা হয়। দুই সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে সূর্যের মুখ সেভাবে দেখা যায়নি। বিকেলে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাতে তাপ ছিল না। এ কারণে সেদ্ধ করা ধান শুকানো যাচ্ছে না। এতে বাজারে আমদানি কমে যাওয়ায় চালের দাম বেড়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চালের মোকামে গিয়ে জানা যায়, আমদানি কম থাকায় বাজারে বিভিন্ন জাতের চালের দাম মণপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে বেড়েছে। মেসার্স খাজা রাইস মিলের মালিক নাজমুল আরেফিন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে চাতালের সেদ্ধ করা ধান শুকানো যাচ্ছে না। আবার ভিজিয়ে রাখা ধান সেদ্ধ করতে না পারায় ধানে চারা গজিয়েছে।
মেসার্স গৌতম রাইচ এজেন্সির মালিক রমেন বসাক বলেন, আবহাওয়ার কারণে চালের কোনো আমদানি নেই। ফলে বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম মণপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে বেড়েছে। দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার মেসার্স খাজা রাইস মিলের চাতালশ্রমিক আবদুল গোফ্ফার বলেন, ‘আজ ১৪ দিন আকাশত কোনো রোদের চিকাষ (আলো) ন্যাই। শ্যাষ রাতত থ্যাকা কুয়াশা পড়া শুরু হয়, চলে দিনতামান। মাঝেমধ্যে দুপুরবেলা রোদের চিকাষ দেকা গেলেও তাও আবার খানিকক্ষণ পর অন্ধকার ন্যামা আসে। ধান সিদ্ধ, শুকান না থাকায় মহাজনত থ্যাকা ধার-দেনা কর্যা সংসার চলান লাগিচ্ছে।’

No comments

Powered by Blogger.