সিসিমপুর- টুকটুকির জ্বর

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে।
টুকটুকির জ্বর হয়েছে। আশা তার কপালে জলপট্টি দিচ্ছে। সিসিমপুরের বন্ধুরা ওকে দেখতে এল। সবাই তার শুভকামনা করে চলে গেল।
এমন সময় ডাক্তার এল। ডাক্তার বলল, কার জ্বর?
টুকটুকি বলল, আমার। কিন্তু মনে হচ্ছে এখন আর নেই।
ডাক্তার বলল, না না, সেটা মেপে দেখতে হবে। টুকটুকি জানতে চাইল, জ্বর কীভাবে মাপবে?
ডাক্তার থার্মোমিটার বের করে বলল, এটা হচ্ছে থার্মোমিটার। এটা তোমার শরীরে চেপে ধরলেই সে বলে দেবে জ্বর কত। এরপর ডাক্তার জ্বর মাপল। ডাক্তার বলল, জ্বর কমে গেছে। তবে ডাক্তার ডেকে খুব ভালো করেছ। শরীর খারাপ হলেই ডাক্তার ডাকা দরকার। ডাক্তার টুকটুকির পালস পরীক্ষা করল।
স্টেথিসকোপ দিয়ে বুক ও পিঠে চেপে ধরে ডাক্তার বলল, জোরে জোরে শ্বাস নাও।
টুকটুকি জোরে জোরে শ্বাস নিল। ডাক্তার বলল, সব ঠিক আছে। এখন মজা করো। বিশ্রাম করো আর বেশি বেশি করে পানি খাও, তাহলেই একদম ভালো হয়ে যাবে!
টুকটুকি বলল, খেলতে ও ছুটোছুটি করতে পারব?
ডাক্তার বলল, অবশ্যই পারবে। তুমি যেদিন খেলবে, আমাকে খবর দিয়ো, আমিও তোমার সঙ্গে খেলব।
টুকটুকি খুশি হয়ে বলল, অবশ্যই। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ডাক্তার।
ডাক্তারও ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল।
টুকটুকি বলল, ডাক্তার হওয়াটা দারুণ! আমিও ডাক্তার হব, আশা! তুমি লাইব্রেরি থেকে একটা ডাক্তার হওয়ার বই এনে দাও, বিশ্রাম নিতে নিতে বইটা পড়ে ফেলব। আশা হেসে বলল, অবশ্যই। এখনই এনে দিচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.