গুরু-শিষ্য সমাচারঃ হায় ক্যাম্পাস! by মাহবুব তালুকদার

গুরুদেব যোগাসনে বসিয়া ধ্যান করিতেছিলেন। শিষ্য তাহার মুখের প্রতি একদৃষ্টে তাকাইয়া ছিল। ধ্যাননিমগ্ন অবস্থায় প্রভুর মুখমণ্ডল হইতে অলৌকিক জ্যোতি বিচ্ছুরিত হয়। সেই দৃশ্য অবলোকন করিয়া শিষ্যের ধারণা হইল গুরুদেব যেন জ্ঞানের এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছাইয়াছেন বা তথায় অবস্থান করিতেছেন।
শিষ্য মনে মনে ভাবিল, গুরুদেবের সান্নিধ্যে কোনদিন সে-ও জীবনরহস্য উদঘাটনের চাবিকাঠি আয়ত্ত করিতে পারিবে। এক সময়ে গুরুদেব তাহার দৃষ্টি উন্মোচিত করিলেন। কহিলেন, বত্স! অবধান করো। যথা আজ্ঞা প্রভু। শিষ্য বলিল।
প্রভু জিজ্ঞাসিলেন, তুমি কি আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলির বিষয় পর্যবেক্ষণ করিয়াছ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রহত্যার সংবাদ আমি অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করিয়াছি। ইহা হইতে মর্মান্তিক আর কিছু হইতে পারে না। শিষ্য জানাইল।
যে কোন হত্যাকাণ্ডই মর্মান্তিক। গুরুুদেব বলিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনের হত্যাকাণ্ড অধিকতর মর্মান্তিক এই জন্য যে, তাহাকে হত্যা করিয়া তাহার মৃতদেহটি ম্যানহোলে ঢুকাইয়া রাখা হইয়াছিল। এই নৃশংসতার কোন তুলনা নাই। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডটি অধিকতর মর্মান্তিক এই জন্য যে, গরিব মেধাবী এই ছাত্রটি কোন দলের সহিত বা ছাত্র রাজনীতির সহিত জড়িত ছিলেন না। মৃত্যুর পর তাহার পরীক্ষার যে ফলাফল বাহির হয় তাহাতে দেখা যায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হইয়াছেন।
মহাত্মন! সম্প্রতি যশোরে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই আলোচনায় কি তাহার উল্লেখ করা যাইতে পারে?
রিপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ক্যাম্পাসের বাহিরে ঘটিয়াছে। আমরা ক্যাম্পাসভিত্তিক আলোচনা করিতে মনস্থ করিয়াছিলাম। তবে রিপনের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আলোচনার বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত করিতে কোন দোষ নাই। এই তিনটি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তোমার অভিমত ব্যক্ত করো।
স্যার! উল্লিখিত তিনজনের হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিত একেবারেই ভিন্ন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারুক হোসেন প্রতিপক্ষের নির্মমতার শিকারে পরিণত হইয়াছেন। আবু বকর সিদ্দিক নিহত হইয়াছেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সশস্ত্র সংঘর্ষের মাঝখানে পড়িয়া। অন্যদিকে রিপন হোসেন দাদা ছাত্রলীগের সাংঘর্ষিক সংঘর্ষের জের ধরিয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।
বত্স! আবু বকর সিদ্দিক ও রিপন হোসেন উভয়েই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বলি। তাহা হইলে তাহাদের মৃত্যুর প্রেক্ষিত পৃথক বলিতেছ কেন?
মহাত্মন! আবু বকর সিদ্দিক ছাত্রনেতা নহেন, একজন মেধাবী ছাত্র মাত্র। তাহার মৃত্যুর পশ্চাতে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে বলিয়া মনে হইতেছে না। তিনি ঘটনাচক্রের শিকার বলিয়া প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে রিপন হোসেন যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।
গুরুদেব শিষ্যের উত্তরে কিঞ্চিত্ সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। কহিলেন, এই বিষয়ে তোমার আর কি বক্তব্য আছে?
হুজুর! গোস্তাকি মাফ করিলে আমি নির্ভয়ে বলিতে পারি।
তোমার শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নাই। তুমি নির্ভয়ে বলো।
এই তিনটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের তরফ হইতে তিন ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়াছে।
উহা কি রূপ?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনের হত্যার পর সরকার ইহার বিরুদ্ধে কঠোরতম অবস্থান গ্রহণ করিয়াছে। হত্যাকাণ্ডের হোতা বলিয়া অভিযুক্ত ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হইয়াছে। তাহাদের মধ্যে ৩১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হইয়াছে। শিবির এখন প্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পথে।
কিন্তু শিবির নিষিদ্ধ হইলে উহার পরিণতি কি হইতে পারে?
শিবিরের নেতাকর্মীগণ মানসিকতা বদলাইয়া ছাত্র-রাজনীতিতে ইস্তফা দিয়া নিষ্ক্রিয় হইয়া যাইবেন বলিয়া মনে হয় না। তাহারা গোপনে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখিতে পারেন। সংগঠনটি অন্তরালে গেলে দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হইতে পারে।
যাহা হউক। তুমি তোমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করো।
স্যার! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারুকের হত্যাকাণ্ডটি সরকার যে রূপ গুরুত্বের সহিত গ্রহণ করিয়াছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বকরের হত্যাকাণ্ডটি তেমন গুরুত্বের সহিত গ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না। বিশেষত আবু বকর হত্যা সম্পর্কিত যে দুইটি তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গিয়াছে, নানা কারণে তাহা প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগ আছে আবু বকরের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈয়ারি হইয়াছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের চাপের মুখে। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একেকবার একেকরকম বক্তব্য দিয়েছেন ডাক্তারগণ। অভিযোগ আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ হইতে আবু বকরের নিহত হওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হইয়াছে। প্রক্টরের ভূমিকা লইয়াও কয়েকজন সাক্ষী তদন্ত কমিটিতে সাক্ষ্য প্রদান করিলেও রিপোর্টে উহার উল্লেখ নাই। প্রক্টর ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব। আবার তিনি একজন সাক্ষীও। রিপোর্টে পরিলক্ষিত হয়, তিনি এই ঘটনায় একজন অভিযুক্ত। এমতাবস্থায় তদন্ত কমিটি কি রূপ রিপোর্ট প্রসব করিবে, তাহা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
শিষ্য এই পর্যন্ত বলিয়া থামিল। পার্শ্বে রক্ষিত গ্লাসের পানি পান করিতে থাকিল।
গুরুদেব জিজ্ঞাসিলেন, যশোরের রিপন হত্যার পরবর্তী অবস্থা কি?
শিষ্য কহিল, উহাও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিহত রিপন ছিলেন ছাত্রলীগের শাহীন চাকলাদারপন্থী। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর অনুসারীরা তাহাকে খুন করিয়াছে বলিয়া অভিযোগ আছে। অন্যদিকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য এমপি খালেদুর রহমান টিটো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও তাহার অনুসারীদের দায়ী করেন। রিপন হত্যার সহিত কুখ্যাত শাহরুল বাহিনী জড়িত বলিয়া জানা যায়। বন্দুকসহ ধরা পড়ার পর হত্যাকারীকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াইয়া আনিয়াছেন শাহীন চাকলাদার। পুলিশের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।
গুরুদেব জানিতে চাহিলেন, ছাত্র হত্যাকারী অপরাধীদের খুঁজিয়া বাহির করিবার ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা কেন সঠিক নহে?
মহাত্মন! পুলিশ নিজেরাই বুঝিতে পারে না কোন্টা সঠিক আর কোন্টা সঠিক নহে। তাহারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের আজ্ঞাবহ। তবে যেখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের কোন্দল থাকে, সেইখানে পুলিশ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়ে। তবে এইরূপ হওয়া উচিত নহে।
কিরূপ হওয়া উচিত?
পুলিশের উচিত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করিয়া সকল হত্যাকারীকে শাস্তির আওতায় আনা। যে তিনটি হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করা হইয়াছে উহাতে পুলিশ একেক ক্ষেত্রে একেক ভূমিকা পালন করিয়াছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এহেন আচরণ সহায়ক নহে। দেশের শিক্ষায়তনগুলিতে আরও যাহা ঘটিতেছে, তাহাতে বিবেকবান মানুষের লজ্জায় মাথা কাটা যায়।
বত্স! তুমি কি ইডেন কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিতেছ?
হ্যাঁ প্রভু! উহা হইতে ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কি হইতে পারে? ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দল ও আধিপত্যের লড়াইয়ে থলের বিড়াল বাহির হইয়া আসিয়াছে। তানিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাহারা ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি করে। অভিযোগে প্রকাশ, তাহারা নবাগত ছাত্রীদের বিভিন্ন নেতার মনোরঞ্জনের নিমিত্ত তাহাদের বাসায় কিংবা আবাসিক হোটেলে পাঠায়। অপরদিকে তানিয়া অভিযোগ তুলিয়াছেন হ্যাপী-শর্মী গ্রুপের বিরুদ্ধে। তাহার বক্তব্য হইতেছে, হ্যাপী-শর্মীদের দুইটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। তাহারা একাধিক মহিলা হোস্টেল চালায়। তাহারা ওই স্থানে বিভিন্ন ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করিয়া নেতাদের নিকট হইতে কাজ বাগাইয়া নেয়। এই সকল ছাত্রী নেত্রীর সহিত কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যাডামের যোগসাজশ আছে বলিয়া অভিযোগ আছে। পত্রিকায় উহা ছাপা হইয়াছে।
গুরুদেব জানিতে চাহিলেন, এই সকল মারাত্মক ঘটনার পর উহার কি কোন প্রতিক্রিয়া নাই?
ইহাতে দ্বিবিধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়াছে। প্রথমত, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সাধারণ ছাত্রীদের হল ছাড়িয়া চলিয়া যাইতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন নেতাদের বাসায় জুনিয়র কর্মীদের পাঠানোর ঘটনায় এবং ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত থাকার কারণে চার ছাত্র নেত্রীকে বহিষ্কার করেন। এই চার নেত্রী হইতেছে ইডেন কলেজের সহ-সভাপতি চম্পা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী, শারমিন সুলতানা শর্মী এবং সহ-সম্পাদক কানিজ ফাতেমা। তাহাদিগের বিরুদ্ধে সংগঠন বহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়। অবশ্য এই বহিষ্কার সম্পর্কেও অভিযোগ আছে।
বত্স! একদিন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ ছিল আমাদের গর্বের ধন। এক্ষণে সেই অহংকার বিলীন হওয়ার পথে। গুরুদব কহিলেন, ইডেন কলেজের এই ঘটনায় আমি আতঙ্কিত। বদরুন্নেসা কলেজেও এইরূপ অনৈতিক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হত্যাকাণ্ড এবং কলেজগুলিতে অনৈতিক কাজ—ইহার শেষ কোথায়? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এইরূপ অরাজকতা হইতে কেন বাহির হইয়া আসিতে পারিতেছে না?
প্রভু! ইডেন কলেজের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত ছিল। কিন্তু বহিষ্কার ছাড়া আর কিছু করা হয় নাই।
গুরুদেব জিজ্ঞাসিলেন, কেন করা হয় নাই?
উহা করিলে যে সকল ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্যাদি বাহির হইয়া আসিবে, তাহাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে। এতদ্ব্যতীত যে সকল প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট ছাত্রীগণকে পাঠানো হইয়াছে, তাহাদের নামও বাহির হইয়া পড়িবে। ইহাতে ছাত্রলীগের ভরাডুবি হইতে পারে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদ হতে পদত্যাগ করিয়াছেন। তিনি ছাত্রলীগের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করিয়াছেন। তাহাতে কাজ হয় নাই কেন?
স্যার! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারির পর উহার কোন ফলোআপ করা হয় নাই। ইডেন কলেজের ঘটনার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ হইতে কোন প্রতিক্রিয়া নাই। আওয়ামী লীগও এই বিষয়ে মুখ খোলে নাই। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকবৃন্দ বিব্রত ও বিরক্ত হইলেও এইসবের কোন অ্যাকশন হয় নাই।
কেন? ঢাকা কলেজের অরাজক ঘটনায় ৫৩ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হইয়াছে। তাহাদিগকে জামিনও দেওয়া হয় নাই। ইহা একটি শুভ উদ্যোগ বলা যাইতে পারে নাকি?
মহাত্মন! আমি পূর্বে বলিয়াছিলাম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করিতে দেওয়া উচিত। তাহা না হইলে ক্যাম্পাসের অশুভ ঘটনা বন্ধ করা যাইবে না।
তাহা হয় না কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তো এই বিষয়ে আন্তরিকতার অভাব নাই।
প্রভু! আন্তরিকতা বড় বিষয় নহে। একমাত্র কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাই ক্যাম্পাসের পরিস্থিতির উন্নতি বিধান করিতে পারে।
হায় ক্যাম্পাস! গুরুদেব এইরূপ স্বগতোক্তি করিয়া পুনরায় ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন। শিষ্য অবলোকন করিল, গুরুদেব চক্ষুদ্বয় মুদ্রিত করার পরক্ষণেই তাহার মুখমণ্ডল হইতে এক জোর্তিময় আভা চতুষ্পার্শ্বে ছড়াইয়া পড়িতেছে।
লেখক : কবি ও কথাসাহিত্যিক
ই-মেইল: mahbub_talukdar@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.