খাসা এই পাখির বাসা

প্রায় সব পাখি বাসা বানায়। কোকিলের মতো কিছু পাখি শুধু বাসা বানাতে জানে না। ডিম পাড়ে অন্য পাখির বাসায়। কিছু পাখি আবার বাসা বানাতে গিয়ে এমন কারিকুরি খাটায়, তা দেখে থ বনে যাবে।
‘হর্নড কুট’ নামের একধরনের জলচর শিঙেল পাখি জলার ভেতর বাসা বানাতে গিয়ে এন্তার আয়োজন করে। শুরুতে অগভীর কোনো জলাশয় বা হ্রদ বেছে নেয় হর্নড কুট। তারপর এর মাঝখানে বাসা বানানোর জায়গা ঠিক করে সেখানে ঠোঁট দিয়ে পাথরের ছোট ছোট টুকরো এনে ফেলতে থাকে ওরা। এসব পাথরের টুকরোর ওজন কোনোটা ৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। জলের উপরিভাগ পর্যন্ত কোনাকৃতির একটি ঢিবি গড়ে ওঠে পাথরের। ঢিবির ওপর খড়কুটো বা শুকনো ডালপালা এনে বাসা বানায় ওরা।
মিসরীয় প্লাভার বা টিট্টিভ পাখি এবং থ্রি ব্র্যান্ডেড কোর্সার পাখি বাসা বানানোর এত ঝুটঝামেলায় যায় না। স্রেফ বালি খুঁড়ে ডিম পেড়ে ঢেকে দেয়।
পাখির মধ্যে মজবুত ও তীক্ষ ঠোঁটের জন্য বিখ্যাত কাঠঠোকরা। ওরা যখন গাছের কাণ্ডে কোটর বানানোর কাজে লেগে পড়ে, ঠক ঠক শব্দে দুনিয়াজুড়ে খবর হয়ে যায়। এ সময় প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২০ বার করে ঠোঁট চালায় তারা। এর মধ্যে রেড কোকাডেড কাঠঠোকরার বাসা আবার অন্য রকম। কোটরের মুখে গাছের ছালের রস দিয়ে এমন এক বাধা তৈরি করে, যার ফলে সাপ গিয়ে ডিম বা ছানা খেতে পারে না।
অস্ট্রেলিয়ার ভূচর পাখি মলিফাউল বনের ভেতর খোলামেলা স্থানে বালির ঢিবি গড়ে এর চূড়ায় বাসা বানায়। এতে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো ও তাপ পাওয়া যায়। দুর্গম পাহাড়ের গায়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায় একধরনের তোতা। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কিছু বাবুই পাখি দলবেঁধে ছোট ছোট বাসার বিশাল এক কলোনি গড়ে তোলে।
 শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া সূত্র: আমাজন ডট কম।

No comments

Powered by Blogger.