বন্দুক ও এয়ারগান দিয়ে পাখি মারছেন শিকারিরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় পাখিশিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। শিকারিদের হাতে প্রতিদিন পরিযায়ী পাখিসহ নানা প্রজাতির অসংখ্য দেশীয় পাখি মারা পড়ছে।
পাখি শিকারে বন্দুক, এয়ারগান, ফাঁসজাল, ঘরফাঁদ, বড়শি ও জাঁতিকল ছাড়াও বিষ আর ঘুমের ওষুধও ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার কৈখালী, নুরনগর, রমজাননগরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দুক, এয়ারগান নিয়ে এসব শিকারি প্রতিদিন সকাল থেকে চিংড়িঘের ও সুন্দরবনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকার করছেন। রাতে বনসংলগ্ন পাখির বিভিন্ন আবাসস্থলে হানা দিচ্ছেন শিকারিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৫-৩০ শিকারি চক্র দেশি ও পরিযায়ী পাখি শিকারে তৎপর। তাঁরা বন্দুক, এয়ারগান ও চিংড়িঘেরে বিষটোপ ব্যবহারের পাশাপাশি ফাঁসজাল, ঘরফাঁদ, বড়শি ও জাঁতিকল ব্যবহার করে পাখি শিকার করছেন।
জয়াখালী গ্রামের এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে বন্দুক দিয়ে গ্রামের চিংড়িঘের থেকে প্রায় প্রতিদিন পাখি শিকার করেন। নুরনগর ও রতনপুর এলাকায় পাঁচটি শিকারি চক্র ঘেরে ফাঁসজাল ও বিষটোপ ব্যবহার করে প্রতিদিন পানকৌড়ি, বকসহ নানা প্রজাতির পাখি শিকার করেছে। এসব পাখি নুরনগর, রতনপুর, পরানপুর বাজারে বিক্রি করেন চক্রের সদস্যরা। শিকারিরা পরানপুর ও নুরনগর বাজারের বিভিন্ন মুদি, সার-কীটনাশকের দোকান থেকে বিষ কিনে নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে মাছের পেটে ঢুকিয়ে কৌশলে পাখি শিকার করছেন। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাখি শিকারের খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নিই।’
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ‘বন বিভাগ কোনোভাবেই পাখি শিকারের বিষয়টি এড়াতে পারে না। যথাসময়ে পাখি শিকারের বিষয়ে খবর পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments

Powered by Blogger.