পূর্ব এশিয়ায় উর্ধমুখী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা

পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোয় আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে এক প্রতিবেদনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যে, পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাড়বে সাড়ে ৭ শতাংশ, যেখানে চলতি বছরের অক্টোবরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
আগামী বছর তা আরও বেড়ে হবে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছর পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে এ অঞ্চলের অবদান থাকবে ৪০ শতাংশ। তবে বহির্বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতির কারণে এ অঞ্চলের আউটলুক এখনও নেতিবাচক অবস্থানে থাকলেও পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোতে বর্তমান পরিস্থিতির উপযোগী করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতে পারে। প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য মুদ্রানীতি কঠোর না করার সম্ভাবনাই বেশি। ইতোমধ্যে চীন সুদের হার কমিয়েছে এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বেনিগনো একুইনো সরকারের ব্যয় বাড়িয়েছেন। একই পদক্ষেপ নিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক। চীনের উৎপাদন সূচক বাড়ছে। চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত হবে। তবে আগামী বছর এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। চীনের অর্থনীতির ধীরগতির পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসবে। মুদ্রানীতি সম্প্রসারণ, স্থানীয় সরকারের অর্থনৈতিক প্রণোদনা, কেন্দ্রীয় বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসায় আস্থা বেড়ে যাওয়ার সার্বিক প্রভাব পড়বে দেশটির ওপর। আর এর ফলে বৃদ্ধি পাবে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিই মূলত এই অঞ্চলের সামষ্টিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবান্বিত করবে। তাছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে, যা পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। তবে ইউরো অঞ্চলের সংস্কার কর্মসূচী শুরু হতে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় সঙ্কোচন ও করবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর না হওয়ার কারণে এ অঞ্চলে এখনও অনিশ্চয়তা বিরাজমান। তবে আশা করা হচ্ছে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, মুদ্রানীতি শিথিল করা, বাণিজ্যিক প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ আরও নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের যে প্রবণতা এই অঞ্চলগুলোর মাঝে দেখা যাচ্ছে তা আগামী বছর এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উর্ধমুখী রাখবে।
অর্থনীতি ডেস্ক

No comments

Powered by Blogger.