‘যত অত্যাচার চালাবে তত তাড়াতাড়ি সরকারের পতন হবে’

 বর্তমান সরকারের আমলে গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সরকার মনে করছে, নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। কিন্তু যত বেশি অত্যাচার হবে, তত তাড়াতাড়ি সরকারের পতন হবে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি দাবি এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ও আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ‘পুলিশী হয়রানির’ প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মৌচাকে শেষ হয়।
সমাবেশে তরিকুল বলেন, এম ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। অত্যাচার ও গুমের জন্য গণতন্ত্র আজ রক্তাক্ত। মানবাধিকারকে হাত-পা বেঁধে শৃঙ্খলিত করে রাখা হয়েছে। সংবিধানকে আজ সরকার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, দেশকে আর নৈরাজ্যকর ও অন্ধকার গহ্বরের দিকে ঠেলে দেবেন না। এই সঙ্কট সমাধানে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়ার পদক্ষেপ নিন। তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন শুরু করে। আওয়ামী লীগও তেমনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন বিরোধী দলসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের উদ্দেশে তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, দেশকে আর নৈরাজ্যকর ও অন্ধকার গহ্বরের দিকে ঠেলে দেবেন না। বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেছে দাবি করে এ সব মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন তরিকুল। তরিকুল বলেন, সরকার ২৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর পরও শেখ হাসিনা স্বস্তি পাচ্ছেন না। তাই অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু ও ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল।

No comments

Powered by Blogger.