কুয়াশার মধ্যে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এ সময় কয়েক যাত্রী আহত হয়েছে। আদাবরে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ৫ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে তার মা আহত হয়েছে।
উত্তরায় এক গৃহবধূ নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে থেকে ফুটফুটে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পুলিশ শেরে বাংলা নগর থানাধীন উড়োজাহাড় ক্রসিংয়ের সামনের রাস্তা থেকে শিকড় পরিবহনের বাস থেকে আকলিমা আক্তার (২৮) ও সেলিম (৫৫) নামে দুই যাত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। শেরে বাংলা নগর থানার এসআই সাজেদুল ইসলাম জানান, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিজয় স্মরণি মোড়ে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের সামনে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াশার মধ্যে হানিফ পরিবহন ও শিকড় পরিবহন নামে দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শিকড় পরিবহনের আকলিমা আক্তার ও অজ্ঞাত এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে। এ সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। তিনি জানান, নিহত আকলিমা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। নিহতের স্বামীর নাম আলমগীর হোসেন। তিনি রাজধানীর ডেমরা থানাধীন চনপাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকেন। অন্যদিকে নিহত সেলিমকে প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে রাখা হয়। পরে তার চাচাত ভাই আনোয়ার হোসেন মর্গে এসে তার লাশ শনাক্ত করেন। নিহত সেলিমের পিতার নাম আঃ ওহাব। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানা এলাকায়।
এদিকে একইদিন সকাল ৯টায় আদাবর থানাধীন ১০-নম্বর রোডের বালুর মাঠের বাড়ির পেছনে খেলা করছিল ফাতেমা (৫)। সেখানে বাড়ি তৈরির জন্য পিলারের
তৈরির নির্মাণ কাজ চলছিল। নির্মাণস্থানে ফাতেমা খেলার সময় হঠাৎ সে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। এ সময় ফাতেমার চিৎকারে সেখানে ছুটে যান তার মা নাজমা বেগম (৩৫)। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে শিশু ফাতেমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে দুপুর ১২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর শিশু মাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহতের পিতা জুলফিকার আলী একজন রিকশাচালক। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া থানা এলাকায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীররাতে পুলিশ উত্তরা থানাধীন ৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের লেক ডাইভ এলাকার ২৭ নম্বর বাড়ির বাথরুম থেকে শিরিন আফরোজা (৪১) নামে এক গৃহবধূর পোড়া দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বামী মীর মোঃ নূরুল আজম পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধূ শিরিন সিজিফোনিয়া রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। এ কারণে তিনি ডা. এমএ হামিদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শিরিন গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে উত্তরা মডেল থানার এসআই রিজোওয়ান ফকির জানান, শিরিনের মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। নিহতের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালমারী থানার চরনদী গ্রামে। এ ছাড়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের রেস্ট হাউজের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক নবজাতক ছেলের লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, কে বা কারা কোন কুমারী মাতাকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতককে হত্যা করে। পরে তার লাশ এখানে ফেলে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.