সুনির্দিষ্ট ১৩ সেবা খাতে দুর্নীতি দু’বছরে কমেছে ৩০ ভাগ ॥ টিআইবি- স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০.২ ভাগ ॥ খানা জরিপ তথ্য

 দেশের সার্বিক সেবা খাতে দুর্নীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশের সুনির্দিষ্ট ১৩টি সেবা খাতে ২০১০ সালে যেখানে সার্বিক দুর্নীতির পরিমাণ ছিল ৮৪.২ ভাগ, সেখানে এ বছর দুর্নীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৮ ভাগে।
অর্থাৎ ২ বছরের ব্যবধানে এসব খাতে দুর্নীতি কমে এসেছে প্রায় ৩০ ভাগ। তবে সেবা খাতে দুর্নীতি কমে এলেও একমাত্র স্বাস্থ্য খাতে তার উল্টো চিত্র উঠে এসেছে। ২০১০ সালে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির পরিমাণ ছিল ৩৩. ২ ভাগ। ২০১২ সালে এ খাতে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০.২ ভাগে। টিআইবি ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি দু’বছর পরপর সেবা খাতে খানা জরিপের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ করে থাকে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খানা জরিপ ২০১২ সালের গবেষণা ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০১০ সালে একবার খানা জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ বছর শ্রম অভিবাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী সংস্থা, ভূমি প্রশাসন, বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, কৃষি, বিদ্যুত, কর ও শুল্ক, ব্যাংকিং, বীমা, এনজিওসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর দুর্নীতির খানা জরিপ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এতে দেখা যায় এখন পর্যন্ত দেশের অভিবাসন খাতে দুর্নীতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এখাতে দুর্নীতির পরিমাণ ৭৭ ভাগ। এর পরেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার দুর্নীতি। এ খাতে দুর্নীতির পরিমাণ ৭৫ দশমিক ৮ ভাগ। এছাড়া ভূমি প্রশাসন খাতে ৫৯ ভাগ, বিচারিক সেবা খাতে ৫৭ দশমিক ১ ভাগ, স্বাস্থ্য খাতে ৪০ দশমিক ২ ভাগ, শিক্ষা খাতে ৪০ দশমিক ১ ভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুর্নীতির শিকার হওয়ার হার রয়েছে ৩০ দশমিক ৯ ভাগ। খাতওয়ারি হারের ক্ষেত্রে কৃষিতে রয়েছে ২০ ভাগ, বিদ্যুত খাতে ১৮.৩ ভাগ, কর ও শুল্ক খাতে ১৬ দশমিক ৮ ভাগ, ব্যাংকিং সেবায় ৭ দশমিক ১ ভাগ, বীমা খাতে ৬ ভাগ, এনজিও ৫ ভাগ এবং অন্যান্য যেমন বিআরটিএ, ওয়াসা, পাসপোর্ট, বিটিসিএল, ডাক ও নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতিতে দুর্নীতির শিকার হয়েছে ৪১ দশমিক ১ ভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় একমাত্র স্বাস্থ্য খাত ছাড়া উল্লিখিত প্রতিটি খাতেই দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতি কমলেও বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, ভূমি প্রশাসন বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ফলে মানুষের হয়রানির অভিজ্ঞতা এখনও বেশি। গবেষণা রিপোর্টে দেখানও হয় এখনও দেশের ৫৩ ভাগ পরিবার বা খানাকে সেবা গ্রহণের জন্য কোন না কোন খাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ দিতে হয়েছে। আর খানা অনুযায়ী এ অর্থ দেয়ার হার গড়ে ১৩ হাজার ৮৪ টাকা। জাতীয়ভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে দেয়া অর্থের পরিমাণ ২১ হাজার ৯৫৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৬ ভাগ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ ভাগ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বাংলাদেশের ৬৭.৭ ভাগ পরিবার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী খাত বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে গিয়ে কোন না কোনভাবে দুর্নীতির শিকার হয়েছে।
১৯৯৭ সাল থেকে টিআইবি এ পর্যন্ত ৬টি খানা জরিপ পরিচালনা করেছে। ২০১২ সালের জরিপে সেবা নেয়ার সময়কাল ২০১১ সালে মে থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। জরিপের মান নিশ্চিতে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি ছয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়া হয়েছে। এতে গতবারের চেয়ে দুর্নীতি হ্রাস প্রসঙ্গে বলা হয় যেসব কারণে সেবা খাতের দুর্নীতি কমেছে বলে অনুমান করা হয় তার মধ্যে রয়েছে জনগণের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোন সেবা খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণ, কোন কোন স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা, সর্বোপরি নাগারিক সমাজ এনজিও ও গণমাধ্যমের দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচারের ফলে সার্বিকভাবে জনসচেতনতা ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
টিআইবির এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী ভৌগোলিক অবস্থানভেদে দুর্নীতির মাত্রা গ্রামাঞ্চলে বেশি, বাংলাদেশে ঘুষ ও নিয়মবহির্ভূত অর্থের পেছনে খানা প্রতি বার্ষিক গড় ব্যয়ের ৪.৮ ভাগ খরচ হয়। এতে দেখানও হয় নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য দুর্নীতির প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি (মোট ব্যয়ের ৫ দশমিক ৫ ভাগ)। পক্ষান্তরে ধনীদের জন্য তুলনামূলক কম। মোট ব্যয়ের ১ দশমিক ৩ ভাগ। টিআইবির মতে, দুর্নীতির কারণে বিপুল ক্ষতির বোঝা দরিদ্র জনগণের ওপরই বেশি। এতে দেখানও হয় সাক্ষাতকারে অনেকেই বলেছেন টাকা না দিলে সেবা পাওয়া যায় না তাই তারা ঘুষ প্রদান করে থাকে, অনেকে বলেছেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্রুত সেবা পাওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে সেবা পেতে পারে, এছাড়া হয়রানি বা জটিলতা এড়ানোর জন্য এবং প্রভাবিত করতে অনেকে ঘুষ দিয়ে থাকে।
শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে দেখানো হয় বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের অর্ধেকের বেশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তির মাধ্যমে বেশি প্রতারণা শিকার হয়। এদের মাধ্যমে চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে থাকে। টাকা আত্মসাত, চুক্তি অনুযায়ী কাজ না দেয়া, টাকা দিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ, চুক্তি অনুযায়ী বেতন না দেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এ খাতে অতিরিক্ত টাকা দেয়া বা আত্মসাতের শিকার হওয়ার পরিমাণ গড়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৬ টাকা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সংস্থার ক্ষেত্রে ঘুষ দেয়া বা ঘুষ দিতে অনেকে বাধ্য হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানো, অসদাচরণ বা ভয়ভীতির মতো ঘটনা ঘটছে। এছাড়া জিডি বা এফআইআর গ্রহণে অবহেলা মিথ্যা এফআইআর চার্জশীট প্রদানসহ অন্যান্য ধরনের দুর্নীতির শিকার হচ্ছে।
ভূমি প্রশাসনের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা একাধিক ধরনের দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে অযথা সময়ক্ষেপণ, স্বজনপ্রীতি, ভীতি প্রদর্শন অতিরিক্ত অর্থ দাবির মতো দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। বিচারিক সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যারা হয়রানির শিকার হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য করা হয়েছে, আইনজীবী উদ্দেশ্যমূলকভাবে সময়ক্ষেপণ করছে, বিচারকের অনুপস্থিতির কারণে সময়ক্ষেপণ ঘটছে, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করাকে অনেকে হয়রানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আইনজীবী বা মুহুরি অনেক সময় অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। অনেক ক্ষেত্রে বিচারককে টাকা দিতে হবে এমন কথা বলে মক্কেলের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে আইনজীবী। অনেক আইনজীবী মামলা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখে না, আবার অনেকে মামলা সম্পর্কে তার মক্কেলকে অবহিত করে না।
স্বাস্থ্য খাতে এ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের ট্রলি ব্যবহার, প্রসূতি সেবা, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, ব্যান্ডেজ বা ড্রেসিং, ইনজেকশন পুশ, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, শয্যা, টিকেট ক্রয় ও ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রে ঘুষ ও নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এছাড়া এসব ক্ষেত্রে সেবাপ্রার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে পরীক্ষার নিবন্ধনের জন্য অর্থ প্রদান, ভর্তি ও পুনঃভর্তি, বই বিতরণ ও উপবৃত্তির টাকার প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। কৃষি খাতে নিম্নমানের বীজ সরবরাহ, সময় মতো সার বীজ না পাওয়া, ব্লক সুপারভাইজারের সময় মতো পরামর্শ না দেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সরকার প্রশাসনে দায়িত্বে অবহেলা, টাকা আত্মসাত, প্রতারণা, সনদ সংগ্রহ, বিচার সালিশ, ট্রেড লাইন্সেসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন টিআইবি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাড সুলতানা কামাল ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। গবেষণা উপস্থাপন করেন মোঃ রফিকুল হাসান ও শাহজাদা এম আকরাম। এ্যাড. সুলতানা কামাল বলেন, এসব সেবা খাতে দুর্নীতির পাশাপাশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে মানুষ প্রতারণার ভয়ে এসব সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহণ করতে যাচ্ছে না। যেসব খাতে বেশি পরিমাণ সেবা নিতে যায় সেখানে দুর্নীতির পরিমাণও অনেক বেশি।
টিআইবির রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যাখ্যান ॥ এদিকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। মন্ত্রী টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানও করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমীর ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ফেলোশিপ গ্রহণ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে এ দাবি করেন। টিআইবির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী বলেন, অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করছে। নিত্য নতুন অপরাধ দমনে তারা বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
সাইবার ক্রাইম ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো বড় অপরাধ চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিএমএম আদালতের বিচারককে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি দেয়ার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের হুমকি তারাও পাচ্ছেন। হুমকিদাতাদের ধরার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমী ১০ জনকে ফেলোশিপ দিয়েছে। ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হচ্ছেন বিচারে- তোফাজ্জল ইসলাম, চিত্রকলায়- মতুর্জা বশীর, চিকিৎসায়- ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, গ্রন্থ উন্নয়ন ও প্রকাশনায়- মহিউদ্দিন আহমেদ, গবেষণায়- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সঙ্গীতে- রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন ও রাম কানাই দাশ, অর্থ ব্যবস্থাপনায়- এম সাইদুজ্জামান, অর্থ ব্যবস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে- বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গর্বনর ড. আতিউর রহমান।
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ চত্বরে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল খালেক। মন্ত্রী শ্রমিকদের সিলেকশন গ্রেড, গ্র্যাচুয়িটি, পেনশন ভাতা বাড়ানো এবং পোষ্য কোটায় নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।

No comments

Powered by Blogger.