সম্পাদক সমীপে- হাতিরঝিল প্রকল্প এবং আমাদের দায়িত্ব

নগরজীবন যন্ত্রের মতো। যন্ত্রের যেমন ফুরসত থাকে না, আমাদের অবস্থাও ঠিক তেমনি। কাজ আর কাজ। এই মানবদেহ একটু বিশ্রাম চায়। কিন্তু সে ফুরসত কই, বা সে স্থানও তো নেই। ৩৬০ বর্গ কি.মি.র ঢাকা শহরে দুই কোটি লোকের বাস। প্রতিনিয়ত ঢাকার জনসংখ্যা বাড়ছে।
খালি জায়গা, বাগান, জলাশয় কমছে। দখলে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী-খাল-পুকুর। সব মিলে পরিবেশ হয়ে উঠছে বিষাক্ত। এর মাঝে নগরবাসীর বিনোদনের চাহিদা পূরণের জন্য রাজউক বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল খালে মনোরম একটি লেক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়; যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগির উদ্বোধন করবেন। রাজধানী ঢাকার মধ্যে এক অপরূপ নিসর্গ এই লেক। তাছাড়া বিনোদনের পাশাপাশি তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরাসহ মৌচাক ও মগবাজারের অসহনীয় যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে। এখানে আরও স্থাপিত হচ্ছে দৈনিক ৫ লাখ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন পানি পরিশোধন কেন্দ্র। তবে দৃষ্টিনন্দন এই প্রকল্পের সৌন্দর্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। পরবর্তীতে যাতে অযতœ, অবহেলা আর দখলে এর বিচিত্রতা নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করা সব সরকারের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই হাতিরঝিল প্রকল্পের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সচেতন হই এবং এর পরিচর্যা করি।
নীলিমা মাহমুদ, ঢাকা

ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চাই

বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলাগুলোর জেলা শহরে অথবা এর কাছাকাছি একটা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফলে এক সময় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য যে বিরাট সঙ্কট অনুভব করত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে বিরাট প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতো তা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে, যা সত্যিই আশার আলো। যদিও দেশের জনসংখ্যা ও প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীর তুলনায় এ সংখ্যা এখনও অতীব নগণ্য। এখনও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের প্রায় এক সপ্তমাংশ থেকে এক অষ্টমাংশ ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে যা হতাশাব্যঞ্জক। এতদসত্ত্বেও স্বাধীনতাপূর্ব সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য যেখানে মাত্র ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেখানে বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষের জন্য ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫২টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তা ছোট করে দেখলে চলবে না।
কিন্তু বৃহত্তর জেলা শহরের সদরে অথবা এর সন্নিকটে একমাত্র অতীব পুরনো জেলার শহর ফরিদপুরে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এ শহরের নিকটতর বিশ্ববিদ্যালয়টি ফরিদপুর থেকে ৬০ কি.মি. দূরে গোপালগঞ্জে অবস্থিতি; যেখানে ফরিদপুর থেকে যাওয়ার সহজ কোন রাস্তাও নেই। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা হয়ে সেখানে যেতে হয়। গোপালগঞ্জ একটি অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ রিমোট এলাকা, সেখানকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অবশ্যই একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন ছিল এবং পূর্ববর্তী ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা সে দায়িত্বটি পালন করে গোপালগঞ্জে একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এতে ঐ অঞ্চল ও তার আশপাশের অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিরাট উপকার হবে। তবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়টি ফরিদপুর ও এর আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম নয়। বর্তমান বাংলাদেশ ভূখ-ের সর্বপ্রাচীন স্কুল ফরিদপুর জেলা স্কুল, ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত। এর এক শ’ বছর পরে ১৯২০ সালে ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় এক সময়ের সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি (১৯১১ সালে) বাবু অম্বিকাচরণ মজুমদারের প্রচেষ্টায়। এই রাজেন্দ্র কলেজ এক সময় এই অঞ্চলের একমাত্র কলেজ ছিল। তখন যশোর জেলার মহকুমা মাগুরা, রাজবাড়ী; ঢাকার মানিকগঞ্জ মহকুমা থেকেও ছাত্রছাত্রীরা ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করতে যেত।
বর্তমানেও রাজবাড়ী জেলার, ফরিদপুর জেলার এবং মাদারীপুর জেলার একটা অংশের ছাত্রছাত্রীদের পদ্মা নদী পাড়ি দিতে হয় ঢাকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য, যা সহজসাধ্য তো নয়ই বরং অনেক সময়ক্ষেপণের বিষয়। অতএব সুযোগের অভাবে ও যাতায়াতের প্রতিকূলতার দরুন এতদঞ্চলের বিরাট অংকের ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণে আগ্রহী হয় না। ফলে এতদঞ্চলের মোটা একটা অঙ্কের মেধাবী ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফরিদপুর শহরের সঙ্গে মাদারীপুর, মাগুরা, রাজবাড়ী প্রভৃতি জেলা শহর ও এগুলোর আশপাশের উপজেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত চমৎকার। ফলে ফরিদপুর জেলা শহরে একটা সাধারণ অথবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে উপরোল্লিখিত অঞ্চলের মমেধাবী ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে; যারা দেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সমৃদ্ধ হবে কবি হুমায়ুন কবির, কবি জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন, কবি সুফি মোতাহার হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ, বাবু অম্বিকাচরণ মজুমদার গুণীজনদের জন্মধন্য ফরিদপুর শহর। কথা আসতে পারে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছেই সেখানে আবার নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেন? এ প্রসঙ্গে এখানে উল্লেখ করা অমূলক হবে না যে পুরনো জেলাগুলোর অনেকগুলোতেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেমন, খুলনায় ২টি, রাজশাহীতে ২টি, চট্টগ্রামে ২টি এবং ময়মনসিংহে ৪টি ইত্যাদি।
অতএব ফরিদপুর শহর অথবা এর সন্নিকটে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন জানাচ্ছি।

ডা. মোঃ ফরহাদ হোসেন
অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ ও প্রো-ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা


বিএনপির দুঃশাসন

আজ ২৯ ডিসেম্বর। ২০০৮ সালের এইদিনে জাতি বিএনপির দুঃশাসনের এবং ওয়ান-ইলেভেন থেকে বাংলার জনগণের মুক্তির দিন। আজকের দিনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলার জনগণ জামায়াত-বিএনপির দুঃশাসনের জবাব প্রদান করেছিলেন। মহাজোট পেয়েছিল ২৬৬টি আসন এবং জামায়াত-বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩৪টি আসন। জামায়াত-বিএনপি আবার রাজপথে গাড়ি ভাংচুর এবং মানুষ খুনের রাজনীতি শুরু করছে। আল্লার কাছে মোনাজাত করি, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলার জনগণ সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাচিত করবে।

মোজাম্মেল হক কাদের
ঈশ্বরদী, পাবনা
সুভাষ দত্তের চলচ্চিত্র সংরক্ষণ জরুরী

কয়েকদিন আগে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রদূত সুভাষ দত্ত। বাংলা চলচ্চিত্রের সূচনালগ্নে সুভাষ দত্তের মতো অগ্রদূতরা এই চলচ্চিত্র শিল্পের হাল ধরেছিলেন। অতি সামান্য থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অসামান্য। বরেণ্য চলচ্চিত্রকার। তাঁর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় নির্মিত হয়েছিল অসাধারণ জননন্দিত কিছু ছায়াছবি যা দর্শককে প্রচুর আনন্দ দিয়েছিল। আলোর ঝলকানির মতো সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেছিলেন তাঁর প্রথম ছবি সুতরাং। পরবর্তী সময়ে অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, আয়না ও অবশিষ্ট, কাগজের নৌকা, ডুমুরের ফুলসহ আরও অনেক শৈল্পিক ছবি নির্মাণ করেছিলেন এই মহান শিল্পী। তারকা সৃষ্টির মহান কারিগর ছিলেন সুভাষ দত্ত। একাধারে চিত্র পরিচালক, সুরকার, অভিনেতা ও প্রযোজক। চিত্রনাট্যকার এবং শিল্প নির্দেশকের গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত নিপুণভাবে পালন করেছিলেন এই প্রয়াত শিল্পী। জীবদ্দশায় এই গুণী শিল্পীর কতটা সম্মান বা মর্যাদা আমরা দিতে পেরেছি তা সময় বলে দেবে। কিন্তু এই গুণী শিল্পীর সব সিনেমা যেন আগামী প্রজন্ম দেখতে পারে সেই জন্য তাঁর সৃষ্ট কর্ম এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এফডিসিসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

রণজিত মজুমদার
আছদগঞ্জ, চট্টগ্রাম

অবহেলায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অবহেলার ধুলো জমছে। এদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনার সৌন্দর্য বিনষ্ট করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। আধা পাকা বাড়ির পাশাপাশি এখানে গ্যারেজও গড়ে তোলা হয়েছে। সারা বছর অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা স্মৃতিসৌধের এই সৌন্দর্যহানি দেখার কেউ নেই। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধের নির্মাণকালে এর পেছনে ও দুই পাশে সবুজ বাগানের জন্য তিন একর এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালা ও মিলনায়তনের জন্য আরও চার একর জায়গা রাখার কথা ছিল। কিন্তু পরে এগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। এসব স্থানেই গড়ে উঠেছে সব অবৈধ স্থাপনা। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিবস সামনে রেখে এটি প্রতিবছরের মতো এবারও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তা কেবল এরই মাঝে সীমাবদ্ধ। সারা বছর এটি অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকে। এখানে সব বখাটে যুবকের বিচরণ। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। স্মৃতিসৌধের সুরক্ষা ও পবিত্রতা নিশ্চিত করা সরকারসহ সবার দায়িত্ব। এই স্থাপনা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক।

জেড. রহমান
পুরানা পল্টন, ঢাকা

বীরশ্রেষ্ঠ জাদুঘর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার রুহুল আমিননগরে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’। নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০০৭ সালে এটি নির্মিত হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। তাই দিন দিন এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমছে। কারণ এখনও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো করে এটি গড়ে তোলা হয়নি। বীরশ্রেষ্ঠের এই স্মৃতি জাদুঘরটি সমৃদ্ধ করা খুবই জরুরী। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রসহ নানা তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার পর প্রতিদিন লোক সমাগম হতো। দূর-দূরান্ত থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন এখানে আসতেন। কিন্তু জাদুঘর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিশেষ কিছু না থাকায় দর্শনার্থীর সংখ্যা এখন অনেকটায় কমে গেছে। তাই বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি রক্ষার্থে গ্রন্থাগার ও স্মৃতিজাদুঘর সমৃদ্ধ করা হোক।

ছালামত প্রধান
মহাখালী নিউডিওএইচএস, ঢাকা

বাগমারা-রাজশাহী পথের বিড়ম্বনা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা প্রধানত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। কৃষিভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য এ অঞ্চলের প্রাণ। মোট কথা রাজশাহীর বাগমারা, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ ও মাদারীগঞ্জসহ চারপাশের অঞ্চল মিলে একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের বলয় গড়ে উঠেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাগমারাসহ অন্যান্য অঞ্চলের অগণিত লোকজন প্রতিদিন রাজশাহীতে যাতায়াত করে। কিন্তু এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। রাজশাহী থেকে বাগমারা পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বাসের পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশার ওপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সিএনজি ব্যবহার করে থাকে। সময় বাঁচাতে, দ্রুত গমনের সুবিধার্থে বা সময়-অসময়ে, রাতবিরাতে, জরুরী প্রয়োজনে সিএনজি-অটোরিকসাই ভরসা। কেননা যখনতখন, যেখানেসেখানে তো আর বাসে যাতায়াতের সুবিধা নেই। কিন্তু বর্তমানে রাজশাহী থেকে সরাসরি সিএনজিতে বাগমারা যাবার সুযোগ নেই। বাস মালিক সমিতি বা সিএনজি মালিক সমিতির অন্তর্কোন্দলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাজশাহী থেকে সিএনজিতে চড়লেও মোহনগঞ্জ গিয়ে তা বদল করে অন্য সিএনজিতে চড়তে হচ্ছে; যা অত্যন্ত বিরক্তকর। সবার অভিযোগ, উপর মহলের কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাধারণ যাত্রীর এমন হয়রানি। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ দূর করতে রাজশাহী থেকে বাগমারা পর্যন্ত সরাসরি সিএনজি চলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সাধারণ মানুষের সুবিধার বিষয়টি সব সময় গুরুত্ব পাবে, এই আমাদের প্রত্যাশা।

জাহিদ ইকবাল
বাগমারা, রাজশাহী
যত গর্জে তত বর্ষে না

বিএনপির অস্থায়ী মহাসচিব বার বার বলছেন কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে বিদায় করা হবে। লাগাতার কর্মসূচী দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আসলে জনগণের আন্তরিকতা, ভালবাসা এবং জনসম্পৃক্ততা না থাকলে মানুষকে আন্দোলনের কাতারে শামিল করা যায় না। এরা হয়ত জানে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হলে আগে সাধারণ মানুষের ভালবাসা এবং সমর্থন খুব বেশি প্রয়োজন। হরতাল-ভাঙচুর-লুটপাটের মতো ঘটনা, বাসে ঘুমন্ত ড্রাইভারকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা; এসব আন্দোলনের কর্মসূচী জনগণ অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, যত গর্জে তত বর্ষে না। আমরা সাধারণ মানুষ মনে করি, দুই দলের নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে রাজনীতির কালো মেঘ দূর করতে সমর্থন হবেন।

রণজিত মজুমদার, চট্টগ্রাম

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে বিদেশী বন্ধু দেশগুলোর ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। এখনও বিশ্বের মাঝে গরিব দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশের বয়স খুবই কম। বর্তমানে বাংলাদেশ যে অবস্থানে অবস্থান করছে, সেই অবস্থায় দেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিদেশী বন্ধু দেশগুলোর সহযোগিতা ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে সৎ ও চরিত্রবান হওয়া প্রয়োজন। টাকার কাছে বিক্রি হওয়া যাবে না। পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে টাকা রোজগার করতে হবে। টাকার কাছে বিক্রি হলে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই আসুন প্রত্যেকে আমরা টাকার কাছে বিক্রি না হয়ে পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে টাকা রোজগার করি। দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করি দেশ ও পৃথিবীর সব মানুষের কল্যাণে।

দিপু প্রামাণিক ও মোনালিসা
নবাবগঞ্জ, ঢাকা


নিরাপত্তা নেই কুয়াকাটা সৈকতে


অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সৈকত। এর মনোলোভা দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিবছর দেশী-বিদেশী লাখো পর্যটক এখানে ভিড় করেন। পর্যটনের গুরুত্ব বিবেচনায় এটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবার কথা। এখানে এখনও তেমন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকরা শিকার হচ্ছেন নানা ধরনের হয়রানির। অনেক সময় নারী পর্যটকরা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। পর্যটকদের প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে গিয়ে নানা নির্যাতনের কথা অতীতে শোনা গেছে। যাদের এসব বিষয় প্রতিরোধ করার কথা, সেই পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। এসব ঘটনায় কুয়াকাটা থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। পর্যটন ব্যবস্থা এবং এর সার্বিক চিত্রের ওপর দেশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। আমাদের পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও আমরা তা এখনও ব্যবহার করতে পারিনি। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই শিল্পের প্রভূত উন্নতি সম্ভব। কুয়াকাটা, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক। কোন পর্যটক যেন আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

মো. ইকবাল
তাহেরপুর, রাজশাহী

No comments

Powered by Blogger.