মামলাজট- উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন by বিকাশ দত্ত

 উচ্চ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে চার বছরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এখন সবার নজর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে। সেখানে বেশ কিছু মামলার অগ্রগতি হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য দুটি মামলা সিএভিতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় রিট্রায়ালের শুনানি চলছে। বর্তমানে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা জট কমাতে শীঘ্রই হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে আরও বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে ৯৭ জন এবং আপীল বিভাগে ৬জন বিচারপতি রয়েছেন। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবীগণ বলেছেন, পদ্ধতিগত কারণে মামলা দীর্ঘ জটযুক্ত হচ্ছে। সনাতনি পদ্ধতিগত কারণে মামলা জট বেড়েই যাচ্ছে। অনেক মামলার সংশ্লিষ্ট পক্ষদের নোটিস জারি হয় বছরের বছর বিলম্বে।
আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রীমকোর্ট রোজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, মামলার তুলনায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে সে পরিমাণ বিচারক না থাকায় প্রতিদিন নতুন করে সোয়া দশ হাজার মামলা জটে যুক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে নিম্ন আদালতে প্রায় ১৬শ’ জন বিচারক রয়েছেন। যা মামলার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হাইকোর্টে এক জন বিাচরপতির হাতে গড়ে ১৪শ’ এবং নিম্ন আদালতে এক জন বিচারকের হাতে গড়ে ৩১শ’ মামলা থাকে। কোনভাবেই তা একজন বিচারপতির পক্ষে নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর নয়। তা সত্ত্বে¡ও বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আরও কিছু মামলার শুনানি চলছে। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্র এ সমস্ত মামলার রায়ও ঘোষণা করা হবে।
চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রায় ঘোষণা করা হয়েছে আবার কিছু মামলার শুনানি চলছে। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকা-ের বিচার, ৫ম সংশোধনী, ৭ম সংশোধনী, স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক, কর্নেল তাহের হত্যা তথাকথিত বিচারের নামে ফাঁসি, সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানের অংশে পরিণত হয়েছিল তা বাতিল। সংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলাই বর্তমান সরকার আমলে সুপ্রীমকোর্ট নিষ্পত্তি করেছে।
এ ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবৈধভাবে বাড়ি বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলাসহ উদীচী হত্যাকা-ের বিচার, জেল হত্যা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মনিটরিং সেল গঠন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দায়েরকৃত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কমিটি গঠন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ, নিম্ন আদালত পর্যায়ে আদালত ও পদ সৃজন। এ ছাড়াও নিবন্ধন অধিদফতর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বিনিয়োগ প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত মামলাগুলো রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে ২জন বিএনপি আর ১২ জন জামায়াতে ইসলামীর নেতা। ১৪টি মামলার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আরেক নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী, হাজী মোবারক ও পটুয়াখালীর রুস্তম আলী।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচার চলছে, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপি নেতা এমএ আলীমের। এছাড়া তদন্তকারী সংস্থা ১১ অক্টোবর পলাতক দুই জামায়াত নেতা মোঃ আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে। প্রসিকিউশন সুত্রে জানা গেছে, এ মাসের মধ্যেই এই তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করে ফরমাল চার্জ হিসেবে জমা দেয়া হবে।
এদিকে বিচারক সঙ্কট, সাক্ষীদের গড়হাজির, কিছু আইনজীবীর ভূমিকার কারণে দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে মামলার সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তির হার অনেকাংশে কম। ফলে প্রতিদিন নতুন করে মামলা জটে যুক্ত হচ্ছে সিংহ ভাগ মামলা। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে বিচারকের স্বল্পতা, আইনজীবীদের ভূমিকা, সর্বোপরি মান্ধাতা আমলে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা চলা। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ বলেছেন, মামলা জট দূর করতে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার কার্যবিধি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেছেন, মামলার জট আদিকাল থেকেই চলে আসছে। কোন কোন মামলা ৮০/৯০ সালের আবার কিছু মামলা আছে ১৯৭০ সালেরও। পাশাপাশি মার্ডার মামলার বড় ধরনের কথা হলো ময়নাতদন্ত। এর রিপোর্ট ছাড়া মামলা হয়না। এটা দিতেও অনেক সময় দেরি হয়।

কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরুর সুপারিশ

ডেভেলপার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করারও তাগিদ সংসদীয় কমিটির

ফিরোজ মান্না ॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু করার সুপারিশ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের ওপর জোর দিয়েছে। এ জন্য ডেভেলপার নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতেও তাগিদ দিয়েছে। হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের অফিস খুলবে। এতে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈরে এই হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। পার্কের কাজ শুরু করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কোন গরজ নেই। যদিও আইসিটি (তথ্যপ্রযুক্তি) ক্ষেত্রে এই পার্ক বিরাট অবদান রাখবে। আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে হাইটেক পার্কে। দেশী বিদেশী বহু প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে এখানে। এতে দেশের তরুণ প্রজন্ম আইসিটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। একই সঙ্গে তাদের বেকারত্ব দূর হবে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও হাইটেক পার্ক বড় ভূমিকা পালন করবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এর আগেও সংসদীয় কমিটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি। এখন তো সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ এখনই শুরু না করলে বর্তমান সরকার পার্কের কাজ শেষ করতে পারবে না। এখানে অফিস করবে এমন ৭টি আইটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া গেছে। আমরা আশা করছি বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় আইটি প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। হাইটেক পার্ক নির্মাণ করার জন্য আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের নিয়োগ দেয়া শেষ হলেই হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হবে। হাইটেক পার্কে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতব্যবস্থা প্রয়োজন। সরকার এই বিষয়টি মাথায় রেখে এখানে ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই বিদ্যুত শুধু হাইটেক পার্কেই সরবরাহ দেয়া হবে। হাইটেক পার্কে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সুবিধা থাকবে পর্যাপ্ত।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ৪৪ দশমিক ৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেশে আসছে। কেবলটি আপগ্রেড করার কাজ শেষ হলে আরও ৯৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। আগামী জুনে বাড়তি ৯৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেশে আসবে। তখন দেশে ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪০ দশমিক ৬ গিগাবাইট। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত কি পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হতে পারে তার উপর একটি জরিপ করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ০৭৫ গিগাবাইট পারসেকেন্ড (জিবিপিএস)। এরপরও উদ্ধৃত্ত থাকবে ৭ দশমিক ৫২৫ জিবিপিএস। ব্যবহারযোগ্য ব্যান্ডউইথ দাঁড়াবে ৯৬ জিবিপিএস।
সরকার বহু মূল্যবান ব্যান্ডউইথ ফেলে না রেখে বাড়তি ব্যান্ডউইথ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেবে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। তবে হাইটেক পার্কে যদি ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন তত পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এ হাইটেক পার্ক কাজ করবে। এ পার্ক প্রতিষ্ঠার ফলে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। দেশের মেধাবী বিশেষজ্ঞরা যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাঁরা এমন পার্ক হলে নিজের দেশে ফেরত আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
হাইটেক পার্ক দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে। আইটি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটালের বিষয়টি কল্পনাও করা যায় না। দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, কত ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগটি শহর কেন্দ্রিকই রয়ে গেছে। গ্রাম পর্যায়ে এখনও এর ব্যবহার পৌঁছেনি। গ্রামের মানুষের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দিতে না পারলে দেশের জন সংখ্যার বেশির ভাগই বঞ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক করা হলে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন শহর কেন্দ্রিকই থেকে যাবে। গ্রামের তরুণ প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে না। তাছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দামের কারণেও অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষমতা রাখেন না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ব্যান্ডউইথের দাম কমাতেই হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করা। সেই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সরকার ভিশন ২০২১ রূপকল্প নির্ধারণ করেছে। এই রূপকল্পকে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার এবং পরবর্তীতে এ হারকে টেকসই করে দেশেকে এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অংশীদারিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে দেশে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। দারিদ্র্য অনেকাংশে কমে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.