শিক্ষাঙ্গনে সংঘর্ষ থামুক by মো. ইসমাইল হোসেন

শিক্ষাঙ্গনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যে তাণ্ডব চলছে তাতে করে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে অভিভাবকরা আতঙ্কিত। গত ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আবারও দেখা গেল অস্ত্রের মহড়া। রক্তে রঞ্জিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ।


অস্ত্রধারীদের কারণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন হয়ে উঠছে অনিশ্চিত ও শঙ্কাময়। সবার মনে প্রশ্ন, শিক্ষাঙ্গনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কেন? কেন শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রধারীদের অবস্থান ও কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যাচ্ছে না? বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন কাউকে আটক না করার কারণে তারা আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে। এতে শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রধারীদের আস্টম্ফালন বেড়েই চলেছে। ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল অতীত ইতিহাস আমরা জানি। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিভিন্ন সময় তারাও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। আজ শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের যে ঝনঝনানি, এসব কাদের স্বার্থে? ক্যাম্পাসে কেন অস্ত্রধারীদের আস্টম্ফালন থাকবে? কেন শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না? ছাত্রলীগ প্রতিটি ক্যাম্পাসে তাদের বিক্ষুব্ধ আচরণ অব্যাহত রাখছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর প্রায়ই চড়াও হয়। তারা উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালায়। ক্যাম্পাসজুড়ে সশস্ত্র মহড়া দেয়। তাদের এমন ঔদ্ধত্যের কারণ কী? সরকারকে এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
বেলাল হোসাইন রাহাত
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সুখী দেশ
সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য একটি আনন্দের খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন। এবারের তালিকা অনুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম। এটি নিংসন্দেহে আমাদের দেশের জন্য গর্বের কথা। কিন্তু আমরা কি আসলেই সুখী? পত্রিকা, টিভি খুললেই দেশের যে অবস্থা তাতে কী করে সুখী দেশের বাসিন্দা আমি হলাম এমন প্রশ্ন জাগে? উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শেয়ারবাজার ধস, সড়ক দুর্ঘটনা, দুর্নীতি, ক্রমবর্ধমান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম_ সব মিলিয়ে দেশের মানুষ এখন চরম সংকটের মধ্যে আছে। সম্প্রতি রামুর ঘটনার যে চিত্র বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসী দেখল তা কখনোই সুখী দেশের মানুষ করে না। কুষ্টিয়ায় অভাবের তাড়নায় পদ্মায় দুই মেয়েকে ফেলে দিল এক অভাবী পিতা, চড়া সুদের ঋণের কারণে বরগুনার দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে এবং জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় অভাবের তাড়নায় মানবদেহের মহামূল্যবান অঙ্গ কিডনি বিক্রি করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এটা কি সুখী দেশের নমুনা? কোনো সুখী দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। জরিপ সঠিক কিনা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ একদিন সত্যিকার সুখী দেশের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করুক এই আশাবাদ করি।
মো. কোরবান আলী
শিক্ষার্থী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ
শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা বণ্টনের নতুন বিধি সম্পর্কে অবগত না থাকায় রূপালী ব্যাংকের আওতায় সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের পূর্ব নিয়মে ২৫% হারে উৎসব ভাতা বণ্টন করা হয়েছে এবং প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের অবশিষ্ট টাকা অব্যয়িত অর্থ হিসেবে রয়ে গেছে। কিন্তু রাজশাহী অঞ্চলের (সোনালী ব্যাংক) ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে পাওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের স্মারকের মাধ্যমে জানতে পারলাম, প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকরা ৫০% হারে উৎসব ভাতা পাবেন। সে অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের আওতায় সংশিল্গষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকরা ৫০% হারে উৎসব ভাতা উত্তোলন করেছেন; কিন্তু রূপালী ব্যাংকের আওতায় প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেননি। ওই স্মারকটি সম্পর্কে অবহিত হয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার রূপালী ব্যাংক বারইখালী শাখা ম্যানেজারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি; কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। পরে তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক জোনাল অফিসে যোগাযোগ করা হয়; কিন্তু ওই স্মারক সম্পর্কে জোনাল অফিস কিছুই জানে না বলে জানানো হয়। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বণ্টনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রূপালী ব্যাংককে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের স্মারকের কপি প্রেরণ করে সংশিল্গষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা ও ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতার বকেয়াসহ উত্তোলনের সুযোগ দিন।
মো. ইসমাইল হোসেন
প্র্রদর্শক, এসএম কলেজ মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

No comments

Powered by Blogger.