শিক্ষাঙ্গন-ছাত্র আন্দোলন, সন্ত্রাস ও বিভ্রান্ত কর্তৃপক্ষ by আবু সাঈদ খান

বর্তমান সরকারের সাফল্যের বয়ান যখন করা হয়, তাতে এক বা দু'নম্বরে থাকে শিক্ষা খাত। বছরের শুরুতে সময়মতো স্কুলে বই বিতরণ, শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে কিছু যৌক্তিক পদক্ষেপসহ সরকারের সাফল্য রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সজ্জন ব্যক্তি।


শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য তিনি সদাতৎপর। তার এই আন্তরিক প্রচেষ্টাও প্রশংসনীয়। কিন্তু আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একের পর এক যা ঘটছে তা শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা খাতে সরকারের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ কতিপয় দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ছিল তাদের প্রতিবাদ সমাবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের দিন প্রশাসনিক ভবনের সামনে, করিডোরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা সেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে মিছিল করে। তখন সৃষ্ট পরিস্থিতি এরূপ_ 'ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দল বেঁধে হামলা চালায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর। লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে, কিল-ঘুষি-লাথি মেরে ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয় অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে। আন্দোলনকারীদের টেনেহিঁচড়ে করিডোরে ফেলে বেদম প্রহার করা হয়। হামলাকারীদের কারও কারও হাতে ছিল রামদা। এ হামলায় রেহাই পাননি উপস্থিত ছাত্রীরাও। অনেকেই চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন হামলাকারীদের হাতে। হামলাকারীদের কেউ কেউ অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ ছাত্রীদের জামা-ওড়না ধরে টানাটানি করে মাটিতে ফেলে মারতে থাকে' (কালের কণ্ঠ, ১১ অক্টোবর, ২০১২)। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর গত মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগের হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে তাদের কেউ ভূমিকা নেননি। বরং তারা হামলাকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছেন। এমনকি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাতও তোলেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এমএ সালাম এক ছাত্রীর দিকে তেড়ে আসছেন। কিল-ঘুষি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি এখানে থেমে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে আন্দোলনকারী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ৯ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে।
এবার দৃশ্যপট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোট মিছিল বের করে সেখানে। বিনা উস্কানিতে মিছিলের ওপর চড়াও হয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশ। অথচ এর ৭ দিন আগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ছাত্রশিবিরের ওপর যখন হামলা করে, পুলিশের ভূমিকা তখন ছিল নীরব দর্শকের। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পিস্তলে গুলি ভরছে, গুলি ছুড়ছে। ভাবখানা এমন যে, ওরা একই বাহিনীর সদস্য। পার্থক্য একাংশ ইউনিফরম ছাড়া, আর একাংশ ইউনিফরম পরিহিত।
১১ অক্টোবরের খবরে জানা যায়, সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়েছে। এভাবে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অঘটন ঘটে চলেছে। বেপরোয়াভাবে চলছে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপকর্ম।
এই ঘটনাগুলোকে আমরা কীভাবে দেখব? সমস্যা কেবল ছাত্রলীগ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক স্বেচ্ছাচারমূলক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক। তারা প্রজ্ঞা, যুক্তি দিয়ে নয়, জবরদস্তিমূলকভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে কখনও পুলিশ, কখনও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষকদের মধ্যে যে মর্যাদাবোধ থাকা দরকার, তা অনেকেরই নেই। এর কারণ, তাদের অনেকেই যোগ্যতায় নয়, সরকারের অনুকম্পায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। ফলে প্রতিদান হিসেবে ক্ষমতাসীনদের তুষ্ট করতে সদা ব্যস্ত। যে কারণে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের প্রতি তারা খৰহস্ত, আর অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ ক্যাডারদের প্রতি তাদের অপার স্নেহ। পাকিস্তান আমলেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে কলুষিত হয়নি, যা সাম্প্রতিক সময় দেখছি। যখন দেশে ঔপনিবেশিক, স্বৈরাচারী শাসন ছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল আশার আলো। ছাত্রসমাজ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, '৬২-৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ষাটের দশকজুড়ে স্বাধিকার আন্দোলন, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। তখনও বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকদের ওপর সরকারের চাপ ছিল, কিন্তু দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া তারা ছাত্রসমাজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। বরং ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অভয়বাণী শুনিয়েছেন। এ জন্য অনেক শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে এনএসএফের গুণ্ডাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন। তখন শিক্ষকদের মধ্যে সরকারের দয়াদাক্ষিণ্য পেতে নীতিবোধ বিসর্জন দিতে দেখা যায়নি।
তখন আজকের মতো তদবিরে শিক্ষক হওয়ার ঘটনা ছিল বিরল। শিক্ষকরা যে কতখানি দৃঢ়চেতা হতে পারেন, নিকট অতীতেও তা দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, আহমদ শরীফ, সরদার ফজলুল করিম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করতে হয়। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল, কিন্তু শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রতি কর্তব্যবোধ তাদের অপার মর্যাদা দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে এক সময়ের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের নাম এসে যায়। শুনেছি, ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে আতঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তানের সে সময়ের গভর্নর মোনায়েম খান অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানকে বলেছিলেন, কলেজে আর থার্ড ক্লাস ছাত্র ভর্তি করে সংখ্যা বাড়াবেন না। জবাবে অধ্যক্ষ সাহেব বলেন, থার্ড ক্লাস ভর্তি না করলে কোথা থেকে আগামী দিনের গভর্নর পাব? বলাবাহুল্য, তিনি গভর্নর সাহেবকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছিলেন। সেই সময়ের শিক্ষকদের এমন দৃঢ়তা কি আজ দেখা যায়? স্বৈরাচারী এরশাদ আমলেও শিক্ষকদের সরকারের আজ্ঞাবহ হতে দেখিনি। যা ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আমলে ঘটেছে এবং ঘটছে। আজ উপাচার্য থেকে সাধারণ শিক্ষকদের একাংশ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের আনুগত্য প্রকাশের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। কারণ, আনুগত্যের কারণেই তাদের পদোন্নতি ও প্রাপ্তিযোগ ঘটছে।
এটি স্পষ্ট যে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকার, শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের দায় সর্বাধিক। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সেখানে আজ্ঞাবহ প্রশাসন চাপিয়ে দেবে না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অতীতের লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি হয়, যা পরবর্তী সময় আইনে পরিণত হয়। এই আইনের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলেও অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর বাইরে রয়েছে। আজ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিধান কার্যকর করা যখন জরুরি, তখন তা না করে আইনের ফাঁক গলিয়ে দলীয় সমর্থকদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরিণতিতে সৃষ্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির উল্লেখ নাই-বা করলাম। অথচ বিধি অনুযায়ী ভিসি প্যানেল থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলে অনেক সমস্যারই সমাধান হতো। নির্বাচন হচ্ছে না সিনেট-সিন্ডিকেটসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট গণতান্ত্রিক ফোরামগুলোতেও। আধা-সামরিক বা স্বৈরাচারী আমলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও নির্বাচিত সরকারগুলোর আমলে তা হচ্ছে না। আজ নির্বাচনে ছাত্রদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপার থাকলে ছাত্র সংগঠন এভাবে বেপরোয়া হতো না। বরং ছাত্ররাজনীতির আদর্শবাদী ধারাই হতো বিকাশমান।
এখন বলা হয় যে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে খুনোখুনি হবে! আসলে এটি খোঁড়া যুক্তি। ভিসি প্যানেল, সিনেট, সিন্ডিকেট নির্বাচনে খুনোখুনির আশঙ্কা আছে_ এমনটা কেউ ভাবেন না। তবে এগুলো হচ্ছে না কেন? এর অর্থ সহজেই বোধগম্য। দলীয় প্রভাব বজায় রাখতেই ক্ষমতাসীনরা এসব নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে অতীতে বিএনপি সরকার ছাত্র সংসদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরামগুলোতে নির্বাচনের আয়োজন করেনি। মহাজোট সরকারও করছে না। খুনোখুনির আশঙ্কা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আছে, তাই বলে কি জাতীয় নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচন যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করতে অসমর্থ হয়, তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই দায়িত্ব নিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আদালতের এমন নির্দেশনা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক আবহ না থাকার কারণে যেমনি সেখানে মাস্তানি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি বাড়ছে, তেমনি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অগত্যা রাজনীতি। আজ শিক্ষাঙ্গনে নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় রাজনীতিতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াবহির্ভূত নব্য ধনী, সামরিক-বেসামরিক আমলাদের প্রাধান্য বাড়ছে। সংসদ ও রাজনীতি হচ্ছে সুবিধাবাদীদের কাছে জিম্মি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আরেকটি ভ্রান্তির অবসান হওয়া দরকার। অনেকেই ছাত্র বেতনসহ বিভিন্ন ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রায়ই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। এটি অযৌক্তিক। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারের কারণেই শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। এটি সাংবিধানিক দায়। দেশের সামগ্রিক কল্যাণে শিক্ষার পুরো দায়িত্ব গ্রহণে অবহেলা করা যাবে না। বরং রাষ্ট্রকে শিক্ষার অধিকতর দায়ভার বহন করতে হবে। একটি দারিদ্র্যপীড়িত জাতির জন্য এটির কোনো বিকল্প নেই। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে বেতন-ফি বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের এত উৎসাহী হওয়ার কথা নয়।
কর্তৃপক্ষকে তাদের অবস্থান থেকে নয়, কৃষক-নিম্নবিত্তের অর্থনৈতিক অবস্থান মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণার বাইরে থাকলেও ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসীন হওয়া শিক্ষামন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্যেরই তা বোঝার কথা। শিক্ষামন্ত্রী তা অনুধাবন করেন বলেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডারদের অস্ত্রবাজির খবর শুনে তিনি উত্তেজিত হয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ফোন করে বলেছেন, জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি গুণ্ডামি চলবে? না চলবে না, চলতে দেওয়া যায় না। মন্ত্রী মহোদয়, আপনি উদ্যোগ নিন, ছাত্র-জনতার সমর্থন পাবেন।

আবু সাঈদ খান : সাংবাদিক
ask_bangla71@yahoo.com
www.abusayeedkhan.com

No comments

Powered by Blogger.