ফুরিয়ে এলো কি তাঁর বেলা-ফিদেল কাস্ত্রোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন

কিউবার অবিসংবাদিত নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন চালু রয়েছে। ভেনিজুয়েলার এক চিকিৎসকের মন্তব্যের পর এর মাত্রা আরো বেড়েছে। হোসে রাফায়েল মারকিনা নামের ওই চিকিৎসক দাবি করেছেন,


মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতার (ম্যাসিভ স্ট্রোক) ফলে ৮৬ বছর বয়সী কাস্ত্রো এখন 'অচেতন' অবস্থায় রয়েছেন। তবে কাস্ত্রোর বোন হুয়ানিতা কাস্ত্রো এ দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এসবই 'নির্ভেজাল গুজব'। এতে সত্যের লেশমাত্র নেই।
হোসে মারকিনা গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার মায়ামি হেরাল্ড পত্রিকাকে বলেন, 'ফিদেল কাস্ত্রোর মস্তিষ্কের ডান পাশের ধমনিতে রক্তসঞ্চালনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা (লাইফ সাপোর্ট) দিয়ে রাখা না হলেও তাঁর অবস্থা মরণাপন্ন। হাভানার পশ্চিমাঞ্চলের একটি বাড়িতে তাঁকে রাখা হয়েছে। তিনি বড়জোর কয়েক সপ্তাহ বাঁচবেন।'
সম্প্রতি কাস্ত্রোর একটি চিঠি কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়। তাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত গুঞ্জন জোরালোভাবে অস্বীকার করা হয়। তা সত্ত্বেও মারকিনার মন্তব্যের পর গুঞ্জন নতুন করে ডালপালা মেলে। এ নিয়ে অন্তত পাঁচ দফা কাস্ত্রোর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি অথবা মৃত্যু সম্পর্কিত গুঞ্জন ছড়াল। গত মার্চের পর আর তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। ফলে গুঞ্জনের মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই।
মারকিনা জানান, সম্প্রতি ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সহযোগীদের নিয়ে হঠাৎ করেই হাভানা সফর করেন। কেন তিনি হাভানায় গেলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। ৭ অক্টোবরের নির্বাচনে শাভেজ জয়লাভ করার পরও কোনো বিবৃতি দেননি ফিদেল কাস্ত্রো। মারকিনার মতে, এসবই কাস্ত্রোর খারাপ শারীরিক অবস্থার ইঙ্গিত বহন করে। প্রসঙ্গত, কিউবার প্রায় পাঁচ দশকের শাসক ফিদেল কাস্ত্রো ২০০৮ সালে দেশের শাসনভার তাঁর ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে তুলে দেন। শারীরিক অবস্থার কারণেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
কাস্ত্রোর পরিবারের দুই সদস্য সম্প্রতি কাস্ত্রোকে ঘিরে নানা গুঞ্জনের কথা প্রত্যাখ্যান করেন। এর আগে কাস্ত্রোর ছেলে আলেঙ্ও জানান, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো। তিনি স্বাভাবিকভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করছেন, ব্যাপক পড়াশোনা করছেন। সূত্র : এএনআই, আইএএনএস, নিউ ইয়র্ক টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.