চে গুয়েভারা স্মরণ- অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান

আবৃত্তি, গান আর তরুণ সমাজকে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উদ্দীপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে পালিত হলো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের মহান বিপ্লবী চে গুয়েভারার ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর এই বিপ্লবীকে হত্যা করা হয়।


দিনটি পালন করতে গতকাল রবীন্দ্রসরোবরে চে স্মরণ সভার আয়োজন করে চে সংহতি।
অনুষ্ঠানে ‘জেগে ওঠো হে আমার সন্তানেরা চে আসছে’ এবং ‘নূরলদিনের সারা জীবন’ দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন চে। সেই লড়াই ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। যদি আমরা আসলেই চেকে ভালোবাসি, তা হলে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে চে সংহতির সমন্বয়ক শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমরা চাই, তরুণ সমাজ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠুক। তবেই চের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী মানুষের একজন চে। তিনি ছিলেন শোষিত মানুষের বন্ধু। আজকের এই দিনে আমরা চেকে স্মরণ করে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার শপথ নিই।’
সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলনে তরুণেরাই মূল ভূমিকা পালন করেছে। দেশের জন্য তারা নিজের জীবন দিতেও পিছপা হয়নি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ এ দেশের সব ক্রান্তিকালে তরুণেরা ভূমিকা রেখেছে। আজকে আমাদের দেশের সেই তরুণেরা কোথায়?।’
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন পারভেজ চৌধুরী, জাহিদ রেজা নূর। চের জন্ম, মৃত্যু, বিপ্লব ও স্বপ্ন নিয়ে সম্মিলিত আবৃত্তি করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার কাজী মিঠু, তানজিদ মোর্শেদ খান, নূরে জান্নাত, হাসান ইমাম, নাজরীন কাকলী ও হুরে জান্নাত।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে গান গেয়ে শোনায় গানের দল ‘মৃত্তিকা’
এ ছাড়া চে স্মরণে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠানের অয়োজন করে চে গুয়েভারা পরিষদ।

No comments

Powered by Blogger.