জাল সনদে ২৭ বছর ধরে চাকরি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার খাজের উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে ২৭ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল গত বছর জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সাংসদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।


লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খাজের উদ্দিন ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর কাটলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে যোগ দেন। এ সময় তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৮২ সালে হাদিস বিভাগে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে কামিল পাস করছেন মর্মে মাদ্রাসায় সনদপত্র জমা দেন।
আলিমুদ্দিন মণ্ডল জানান, তিনি ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হন। কিছুদিন পরে তিনি খাজের উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ পান। ওই সময় তিনি সনদপত্র দেখতে চাইলে খাজের উদ্দিন তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে খাজের উদ্দিনের সনদপত্রের অনুলিপি উত্তোলন করেন। এতে কোনো রোল ও নিবন্ধন নম্বর ছিল না।
আলিমুদ্দিন মণ্ডল আরও জানান, সনদপত্রটি সঠিক কি না, তা যাচাইয়ের জন্য তিনি জামালপুরের দেওয়ারগঞ্জ মাদ্রাসায় যান। দেওয়ানগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোতালিব হোসেন খান তাঁকে জানান, ওই সনদপত্রটি জাল এবং ১৯৮২ সালে তাঁদের মাদ্রাসা থেকে খাজের উদ্দিন নামে কোনো শিক্ষার্থী কামিল পরীক্ষায় অংশ নেননি।
সুপার খাজের উদ্দিন জানান, তাঁর সনদপত্রটি জাল নয়। তাঁর কামিল পরীক্ষার রোল নম্বর ১২৫০। সনদপত্রে রোল নম্বর নেই কেন জানতে চাইলে ১৯৮২ সালের সনদপত্রে কোনো রোল নম্বর ছিল না বলে তিনি (খাজের উদ্দিন) দাবি করেন।
মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আজাবুল ইসলাম জানান, তিনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিন্নাহ জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

No comments

Powered by Blogger.