তরুণ প্রজন্মের ঈদ কাটল যেভাবে

ঈদ মানে আনন্দ আর সেই আনন্দ হয় যদি দল বেধে তবে তে কথায় নেই। এবার ঈদে অনেক লম্বা ছুটি হওয়াতে আনন্দটা অনেক বেশী হয়েছে। ঢাকা বলতে আমরা এক কথায় বুঝি ব্যস্ত ও যানজটের নগরী। তবুও আনন্দ থেমে থাকে না তাই এই যানজটের নগরীতেও কিছুটা সময় ও যদি দল বেঁধে আন্দ করা যায় তবে মন্দ কি।


এবার ঈদে লম্বা ছুটি হওয়াতে বলতে গেলে ঢাকায় ভীড় যানজট অনেকটাই কম ছিল। অন্যবারের তুলনায় এবার অনেক বেশী সময় কাটিয়েছেন সবাই তাদের প্রিয়জনদের সংগে এবারের ঈদে। ঢাকায় ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন দেখা গিয়েছে যে শুভেচ্ছা বিনিময় এর মধ্যে দিয়ে সবাই তাদের আনন্দ প্রকাশ করাতেই ব্যস্ত ছিল।
এছাড়াও তরুন তরুনীদের উপচে পড়া ভীড়ে ঢাকার বুকে ছোট খাটো দর্শনীয় স্থান গুলো কম সরব ছিল না।
ঢাকার মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ এ অবস্থানরত জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জিয়া উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু যাদুঘর চত্বর, ধানমন্ডি লেক এর বিভিন্ন স্পট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি চত্বর ও চারুকলা প্রাঙ্গন, রমনা পার্ক, লাল বাগের লালবাগ কেল্লা, বলধা গার্ডেন, নিউ বেইলী রোড চত্বর, বসুন্ধরা সিটিমল, পুরান এয়ারপোর্ট চত্বর, বনানী-গুলশান এর সেতু প্রাঙ্গন, গুলশান এর বিভিন্ন পার্ক, ঢাকার সবকটি ডি,ও,এইচ,এস, এর পার্ক ও শপিং মল এর চত্বর ও মিরপুর ডি,ও,এইচ,এস এর মাটিকাটা উল্লেখযোগ্য।
ঈদের ছুটিতে তরুন, তরুনী দল বেঁধে নানা ফাস্ট ফুডের দোকান, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, আইসক্রিম পার্লার, বিভিন্ন ক্যাফে ও লাউঞ্জ গুলোতেও তাদের উপস্থিতি লক্ষনীয়। প্রতিটি স্থানই তরুন তরুনীদের পছন্দের খাবার পরিবেশন করতে যেমন ব্যস্ত ও সেই সাথে দলবেঁধে যেন মেতে উঠেছে এক অন্য রকম আনন্দে যে আনন্দের যেন কোন শেষ নেই। যেন সীমাহীন বাধভাঙ্গা আনন্দ।
নতুন প্রজন্মের তরুন তরুনীদের মধ্যে বিভিন্ন খেলা হয়ে উঠেছে বেশ জনপ্রিয় তার মধ্যে যেমন চড়ড়ষ। বিভিন্ন ঠরফবড় মধসব ইড়ষিরহম বেশ জনপ্রিয়।
ঈদে নতুন ছবি দেখার ভীড়ও কম নয়। ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দেশী বিদেশী নানা ছবি দেখতে দেখা গেছে এ প্রজন্মের তরুন তরুনীদের । এক তরুনীকে জিজ্ঞাসা করে তার কাছ থেকে জানা গেলো যে আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো ছবি হচ্ছে যেসব ছবি মান-সম্মত এবং সবাইকে নিয়ে উপভোগ করা যায়। আমরা সব সময় এরকম নতুন কোন ছবি প্রেক্ষাগৃহে আসলে দলবেঁধে সবাই একসাথে দেখার চেষ্টা করি। কেন জানিনা সবাই দলবেঁধে ছবি দেখার মজাই আলাদা। সবাইকে ছাড়া ছবি দেখার আনন্দই যেন হয় না। অনেক তরুন-তরুনী দলবেঁধে খড়হম উৎরাব এ যাওয়াটা পছন্দ করে। সত্যি এই কম যানজট মুক্ত সড়কে একটু খড়হম উৎরাব এ যাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু আনন্দটা যেন আন্দতেই সিমাবদ্ধ থাকে। অসাবধানতায় আনন্দটা যেন দুঃখে পরিনত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছোট একটি ভুলের জন্য হয়ে যেতে পারে সারা জীবনের জন্য অনেক বড় একটি কষ্টের কারন।
তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু প্রাঙ্গনে একদল তরুন তরুনীকে একসঙ্গে পাওয়া গেল। এক তরুনকে জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল যে তারা প্রতি বছরই ঈদে ১৫-২০ জন বন্ধু বান্ধব এক সংগে খড়হম উৎরাব এ বের হয়। এবং এটা ছাড়া যেন তাদের ঈদ আনন্দই হয় না। এ বছরও তারা বাদ দেইনি তাদের আনন্দের পাতা থেকে।
এবার এই ঈদ আমেজে বৃষ্টি থাকাতেও তরুন তরুনীদের ঈদ আনন্দে এতটুকু ভাটা পড়েনি। বরং তরুন-তরুনীদের এই হালকা বৃষ্টি মাথায় করে ছুটতে দেখা গেছে নানা দিকে। কেউ কেউ তার প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে ছুটছে অন্য সবার সাথে আনন্দ ভাগ করার জন্য। এমনই এক তরুন তরুনীকে তাদের ঈদ অনুভূমি জানতে চাইলে তারা বলেন অনেক বেড়ানো হয়েছে ধাওয়া হয়েছে অনেক কিছু । এবার সবাই একসঙ্গে যাওয়া হচ্ছে সারাদিনের জন্য ঢাকার অদুরে অবস্থিত এ্যামিউজমেন্ট পার্কের কোনটিতে। সবাই মিলে মজার জরফব গুলো উপভোগ করব। সত্যি বলতে সব সময় ইচ্ছা থাকলেও হয়ে উঠে না। সবকিছু মিলিয়ে সবাই একসঙ্গে যাওয়া টাই উচিৎ তাদের ভাষায়। তারা মনে করে এই স্থান গুলোতে দলবদ্ধ ভাবে গেলে আনন্দটা বেড়ে যায় তেমিন নিজেদের ঝধভবঃু টাও অটুট থাকে।
অনেক তরুন তরুনীদের কাছে জানা গেলো যে পড়াশুনা ও ব্যস্ততার জন্য খুব একটা টিভি দেখা হয় না, কিন্তু ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান থাকায় সব আনন্দের পাশাপাশি অনেক টিভি অনুষ্ঠান দেখা হয়েছে। প্রচুর টিভি চ্যনেল এর ভিতর থেকে পছন্দনিও কিন্তু অনুষ্ঠান সবাই মিলে দেখেছি ও উপভোগ করেছি।
তরুন-তরুনী কোমল পানীয় + আইসক্রীম এটা যেন এক বাধনে বাধা, এরা যেন একজনকে ছাড়া একজন অচল। একটু তাকালেই চোখে পারবে যে তরুন-তরুনীদের ভীড়ে আইসক্রীম পার্লার গুলো মুখরীত। এই গরমে ঈদের আনন্দে সবাইকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে আইসক্রিম ও কোমল পানীয়। এলাকায় ছোট দোকান থেকে, ঢাকার বড় রেস্তোরাতেও কোমলপানীয় ও আইসক্রীম বিক্রয় লক্ষনীয়।
এবারের ঈদে তরুন-তরুনীরা যে আনন্দে দলবেঁধে উঠেছিল তা যেন পরবর্তী ঈদ গুলোতে আরও বেড়ে হয় শতগুন। এই যানজট ও দূষনের ঢাকায় যেন দূর্ঘটনা মুক্ত ঈদ আনন্দ যেন বারে বারে ফিরে আসে।
য় রুবা রহমান

No comments

Powered by Blogger.