ঢাকা আর্ট সেন্টারে দ্বিতীয় পর্বের সমকালীন চিত্রকলা প্রদর্শনী- সংস্কৃতি সংবাদ

নিরন্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে সমকালীন চিত্রকলা। এ চলমানতা থেকে পিছিয়ে নেই দেশের চারুশিল্পের আঙ্গিনা। আঁকার কৌশল, রঙের ব্যবহার কিংবা বিন্যাস সব ক্ষেত্রেই এসেছে নতুনত্বের ছাপ। আর এমন সব সমকালীন আঙ্গিকের ছবির সমাহার ঘটেছে কনটেমপ্লেটিং দ্য কনটেম্পোরারি : টু শিরোনামের প্রদর্শনীতে।
সোমবার ঢাকা আর্ট সেন্টারে শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী এ যৌথ চিত্রকলা প্রদর্শনী। এর আগে গত ১০ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সমকালীন ভাবনায় উজ্জীবিত এ যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন একুশ চিত্রশিল্পী। আর দ্বিতীয় পর্বের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের দশ চিত্রশিল্পী। মঙ্গলবার বিকেলে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সমকালীন ভাবনার দ্বিতীয় পর্বের এ চিত্রকলা প্রদর্শনী শুরু হয়।
এ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া তরুণ প্রজন্মের দশ শিল্পী হলেন মোঃ আতিকুল ইসলাম, আজমির হোসেন, ফাহমিদা এনাম কাকলী, হারুন-অর-রশীদ টুটুল, জাফরিন গুলশান, জাভেদ জলিল, নাসিমা হক মিতু, রাহিমা আফরোজ, সৈয়দ আসিফ আহমেদ ও তুশিকুর রহমান।
সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী শিল্পানুরাগীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসবে অংশ নেয়া শিল্পীদের নিজের কাজ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর পর্বের আড্ডার আয়োজন। এ পর্বের সঞ্চালনা করেন শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান ।
দৃক গ্যালারির ২৩ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান আজ
সময়ের বহমানতায় পথ চলার ২৩ বছর পূর্ণ করল ধানম-ির দৃক গ্যালারি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্যালারিটির পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখবেন গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার আলোকচিত্রী শহীদুল আলম। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় গ্যালারির ২০১১ ও ২০১২ সালে কর্মকা-ের স্মরণ করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিত্রশিল্পী ও কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান পথিকৃৎ আলোকচিত্রী গোলাম কাশেম ড্যাডি স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ করবেন। প্রবন্ধের বিষয় থাকবে ‘কিউরেটিং কনটেম্পোরারি আর্ট এ্যান্ড আর্ট প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ।’ আর এ অনুষ্ঠানকে বর্ণময় করে তুলতে উপস্থিত থাকবেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফির আলোকচিত্রী ও মানবহিতৈষী রেজা দেঘাতি। সন্ধ্যা ৭টায় তিনি সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে মেজরিটি ওয়ার্ল্ড উপস্থাপন করবে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ইনসাইডার, আউটসাইডার? এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে উন্নয়নশীল বিশ্বের অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ বা প্রতিবন্ধকতাসমূহ। থাকবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংবাদ উপস্থাপনবিষয়ক পরিবেশনা। এটি পরিবেশন করবে রুরাল ভিজ্যুয়াল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (আরভিজেএন)।
এ ছাড়াও দৃক পিকচার এজেন্সির (ডিপিএ) সংগ্রহশালা থেকে দুর্লভ সব আলোকচিত্র নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে। আর শিল্প সংগ্রাহকরা এই প্রথম এসব দুর্লভ আলোকচিত্র সংগ্রহের সুযোগ পাবেন। কারণ এবারই প্রথম এসব আলোকচিত্র বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বিদেহর বিশেষ প্রদর্শনী
মুক্তিযুদ্ধে নারীর বহুমুখী লড়াইয়েরই ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটক বিদেহ। শাহমান মৈশানের রচনা থেকে শিল্পকলা একাডেমীর এ রেপার্টরি প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন লাকী ইনাম। সোমবার সন্ধ্যায় একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ নাটকের তিনটি চরিত্রে রূপ দিয়েছেন লাকী ইনাম, মোমেনা চৌধুরী ও জ্যোতি সিন্হা। মঞ্চ ও আলোকসজ্জা করেছেন সুদীপ চক্রবর্তী। আবহসঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন কামরুজ্জামান রনি।

৭ সেপ্টেম্বর শুভমুক্তি পাচ্ছে ঘেটুপুত্র কমলা
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পাচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বলাকা, সিনেওয়ার্ল্ড ও স্টার সিনেপ্লেক্সে। ছবিটি পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী মুক্তি পাবে। ছবিটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসারত অবস্থায় শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন গত মে মাসে। তখন তিনি তার শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করেছিলেন।
কাহিনী বিন্যাস- প্রায় দেড় শ’ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সঙ্গীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচগান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, যেখানে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সঙ্গীত ধারায় নারীবেশী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করেন।

No comments

Powered by Blogger.