কালান্তরের কড়চা-বিশ্বে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এবং কলকাতায় দুই ইমামের কাজিয়া by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে বহু দেশেই দাবি করা হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অথবা সম্প্রদায়সমূহ সুখে-শান্তিতে আছে। অধিকাংশ দেশেই দাবিটির পেছনে সত্যতা থাকে না। আমাদের উপমহাদেশের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই সত্যতা আরো বেশি থাকে না। ধর্মীয়, জাতিসত্তাগত, বর্ণগত নানা শ্রেণীর সংখ্যালঘু পৃথিবীতে আছে। রাষ্ট্রে ও সমাজে তারা সবসময় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতো সমান অধিকার পান, তা নয়।
সমান অধিকার না পেলেও কথা ছিল না। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বা সংখ্যাগরিষ্ঠদের সরকারের কাছ থেকে যে নির্যাতন ভোগ করে, তা অবর্ণনীয়। 'এথনিক ক্লিনজিং' কথাটি এখন ইউরোপেও রীতিমতো ভীতিকর শিহরণ সৃষ্টি করে। গত শতকের মধ্যভাগে নাৎসি জার্মানিতে ইহুদি দলন (হলোকাস্ট), শেষভাগে বিভক্ত যুগোশ্লাভিয়ায় ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়ায় রক্তক্ষয়ী এথনিক ক্লিনজিংয়ের নিষ্ঠুরতার বিবরণ এখনো বিশ্ববাসীর স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।
আমেরিকায় কালো বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তাতে সেখানকার কালো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো সাদাদের সমান নাগরিক অধিকার নিয়ে সুখে-শান্তিতে বাস করছে ভাবলে ভুল করা হবে। বাংলাদেশে তো সরকারপ্রধান ও বিরোধী দলের প্রধান দুজনই নারী। তাই বলে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন কি কমেছে, না বেড়েছে? হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের নগ্ন চেহারা আমেরিকায় যতটা দেখা যায়, অন্য কোনো দেশে ততটা দেখা যায় না।
ভারত দীর্ঘকাল যাবত একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র। তাতেও এই দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ হয়েছে কি? কয়েক বছর আগে গুজরাটে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং এই দাঙ্গা বাধানোর ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরপিশাচ নরেন্দ্রনাথ মোদির ভূমিকা এখনো দেশটিতে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয়। নরেন্দ্র মোদির মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এক সময় মার্কিন সরকার তাঁকে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা প্রদান করেনি। ভারতের অসম রাজ্যেও (সাবেক আসাম) সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন চলেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারেও (বর্মা) হালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর চলেছে নির্যাতন এবং তাদের এক বিরাট অংশকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
পাকিস্তানে এখন ধর্মীয় সংখ্যালঘু- বিশেষ করে হিন্দু নেই বললেই চলে। খবর প্রকাশিত হয়েছে এই মুষ্টিমেয় হিন্দুর ওপর চলছে নির্যাতন; সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের ওপরও চলছে সমান অত্যাচার। কিছুকাল আগে এক গ্রাম্য খ্রিস্টান মহিলা ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে- এই অতিরঞ্জিত অভিযোগে (ব্লাসফেমি) প্রাণদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তা নিয়ে দেশ-বিদেশে হৈচৈ শুরু হয়। পাঞ্জাবের তৎকালীন গভর্নর এই মহিলার প্রাণরক্ষার উদ্যোগ নেন। ফলে তাঁরই দেহরক্ষী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে এবং দেশটির এক বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে অভিনন্দিত হয়। পাকিস্তানে এখন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদেরও সরকারিভাবে অমুসলমান ঘোষণা করে তাদের ওপর চলছে নির্মম নির্যাতন। শিয়া-সুন্নি দাঙ্গা এখন পাকিস্তানে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
বাংলাদেশেও কি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়, এমনকি বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়িয়া জাতি-সম্প্রদায়গুলো সুখে-শান্তিতে আছে? প্রচার করা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না। তারা পরম সুখ-শান্তিতে আছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই এ কথা প্রচার করে। বাস্তব সত্য হলো, বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না, তার মূল কারণ, দাঙ্গা করার মতো ক্ষমতা এখন আর সংখ্যালঘু হিন্দুদের নেই। তারা দাঙ্গার শিকার বা নির্যাতনের শিকার হয়; পাল্টা দাঙ্গা করার ক্ষমতা রাখে না। সাতচলি্লশের দেশভাগের সময়ই বাংলাদেশের উচ্চবিত্তের, উচ্চশ্রেণীর হিন্দুদের অধিকাংশ দেশত্যাগ করে। নিম্নশ্রেণীর ও কায়িক শ্রমজীবী যেসব হিন্দু আছে, যেমন জেলে, চাষি, সুতার, কুমোর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট ভূস্বামী- তাদের ওপর পাকিস্তান আমলের শেষদিক পর্যন্ত চলেছে নির্যাতন। তাদেরও দেশত্যাগে বাধ্য করে তাদের সম্পত্তি দখলপূর্বক শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম ভাড়িয়ে এই সম্পত্তির নাম দেওয়া হয় অর্পিত সম্পত্তি। অনেক হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেল, এই সম্পত্তির অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একশ্রেণীর প্রভাবশালী নেতা অথবা সমর্থকদের দখলে রয়েছে। ফলে দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ কয়েক বছরেও এই সম্পত্তির দখল প্রকৃত মালিকরা ফিরে পাননি। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে চলেছে নানা রকমের টানাহেঁচড়া। বর্তমানে হাসিনা সরকারের দৃঢ়তায় এর একটা সুরাহা হতে চলেছে। তবে প্রকৃত মালিকদের অবস্থা শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে, তা এখনো আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
ফিলিস্তিনে আরবদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতির ব্যাপক বিস্তার চলছে। বাংলাদেশেও তেমনি জিয়াউর রহমানের আমলে পার্বত্য উপজাতি এলাকায় বাঙালি বসতির বিস্তার ঘটিয়ে পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার এবং তাদের সমাজ-সংস্কৃতি ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ফলে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। প্রথম হাসিনা সরকারের কৃতিত্ব এই যে যুদ্ধরত পাহাড়িদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান তিনি ঘটিয়েছেন। এ জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। এ ব্যাপারে আমারও দ্বিধাহীন বক্তব্য এই যে বাংলাদেশে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য শেখ হাসিনারই অগ্রাধিকার লাভ উচিত ছিল।
আসল কথায় আসি। বাংলাদেশে শান্তিচুক্তি হয়েছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বড় কারণ ঔপনিবেশিক আমলের আমলাতন্ত্র ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের একশ্রেণীর প্রভাবশালী ভূমিখোর মানুষের ভূমিকা। এক কথায় এরশাদের আমলের পর থেকে বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রকাশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতন আর হয়নি। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা পরিচালিত প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই দাবি করছে, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এখানে সব সম্প্রদায় মিলেমিশে শান্তি-সুখে আছে।
কথাটা সর্বাংশে সত্য নয়। দেশটিতে প্রকাশ্য দাঙ্গা নেই, প্রকাশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই। কিন্তু অপ্রকাশ্য নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। হিন্দু নারী নিগ্রহ (অবশ্য মুসলমান নারীরাও বাদ যায়নি), নানা কৌশলে হিন্দু সম্পত্তি গ্রাস, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরিবাকরিতে বৈষম্যের ক্ষেত্রে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে বৈ কমছে না। খালেদা-নিজামীর আমল পর্যন্ত দুর্গাপূজাসহ হিন্দুদের পূজা-পার্বণে পুলিশ পাহারা না দিলে চলত না। এখনো সংঘবদ্ধভাবে না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে হিন্দু মন্দিরে হামলা ও দেবদেবীর মূর্তি ভাঙার ঘটনা বিরল নয়। খালেদা-নিজামীর আমলে তো আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদেরও অমুসলমান সংখ্যালঘু ঘোষণা করে তাদের সম্পত্তি ও মসজিদের ওপরও হামলা শুরু হয়েছিল।
এখন বাংলাদেশেরই এককালের অর্ধাংশ এবং বর্তমানে ভারতের অন্তর্ভুক্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অবস্থার দিকে তাকানো যাক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া এবং পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজ্যটিতে ছোট-বড় আর কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। কিন্তু বিস্ময়ের কথা, ত্রিশোর্ধ্ব বছরের বামফ্রন্ট শাসনামলেও পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি অপ্রকাশ্য বা নীরব নিপীড়ন এবং তাদের স্বার্থ ও অধিকারের সংকোচন কমেনি, বরং বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসি শাসনামলে, বিশেষ করে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের আমলে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলমানদের যেটুকু অধিকার ছিল, বামফ্রন্টের আমলে তা ব্যাপকভাবে কমেছে। মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও অবিচার দূর করবে- এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের সমর্থন ও ভোট আদায় করেছে। কিন্তু ক্ষমতায় বসে সাবেক বামফ্রন্টের সরকারের মতো মুসলমানদের স্বার্থ ও অধিকারের হানিকর একই নীতি অনুসরণ করে চলেছে।
এই সত্যটি বেরিয়ে এসেছে গত ঈদুল ফিতরের দিন কলকাতার রেড রোডে ঈদের নামাজের বিশাল জমায়েতে ইমাম-ই-ইদায়েন ক্বারী মওলানা ফজলুর রহমানের বক্তব্যে। কলকাতার দৈনিক স্টেটসম্যানের (২৩.৮.১২) খবর অনুযায়ী ইমাম মওলানা ফজলুর রহমান ঈদের জামাতে বলেন, 'মমতা সরকারের আমলে মুসলিম উন্নয়নের যে দাবি করা হচ্ছে, তার কোনো সত্যতা নেই। বরং মুসলিম উন্নয়ন নিয়ে এই রাজ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বেশি।' ইমাম-ই-ইদায়েনের এই সমালোচনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঈদগাহে ছুটে আসেন এবং মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকার কী করছে তার ফিরিস্তি দেন।
এখানেই তৃণমূল সরকার থামেনি। মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে তারা তাদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমাম মওলানা নুরুর রহমান বরকতিকে দিয়ে এক বিবৃতি দেওয়ায়। এই বিবৃতিতে মওলানা বরকতি এই বলে মওলানা ফজলুর রহমানের ওপর আক্রমণ চালান যে '৩৪ বছর ধরে সিপিএমের দালালি করেছেন মওলানা ফজলুর রহমান এবং এখনো তিনি তা করে চলেছেন। সিপিএম আমলে মুসলমানদের উন্নতির কোনো কাজই হয়নি।'
মওলানা নূরুর রহমান বরকতির সমালোচনা শুনে মওলানা ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে ঈষৎ হেসে সংযতভাবে বলেছেন, 'বরকতি সাহেব আমাকে সিপিএমের দালাল বলেছেন। কিন্তু বিগত ৩৪ বছরের বাম শাসনের কোনোদিন আমি সিপিএমের রাজনৈতিক মঞ্চে উঠে সিপিএমকে ভোট দেওয়ার আবেদন করিনি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক মঞ্চে হরহামেশাই দেখা গেছে বরকতি সাহেবকে। তিনি তৃণমূলকে ভোটদানেরও আবেদন জানিয়েছেন।
এই বক্তব্য রাখার পর মওলানা ফজলুর রহমান পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলমানদের চরম দুঃখ-দুর্দশায় একটি করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, 'সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানাতেও সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত কোটা ছিল ৭ শতাংশ। বর্তমানে তা নেমে ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুসলমানদের ভোট কুড়ানোর জন্য কিছু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া ছাড়া সিপিএম বা বামফ্রন্ট সরকার কিছু করেনি, বর্তমান তৃণমূল সরকারও কিছু করছে না।' এ ব্যাপারে তিনি একটি উদাহরণ দেখিয়েছেন। বলেছেন, 'সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে পুলিশে ৫৫০ জন চাকরি পেয়েছে। তাদের মধ্যে মুসলমান হলো সাকল্যে ৪২ জন। অথচ রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যার হার হলো ৩০ শতাংশ। সেই অনুপাতে অন্তত ১৫০ জন মুসলমানের চাকরি হওয়ার কথা ছিল। মমতা সরকারের আমলেই এটা ঘটল।'
কলকাতায় এই দুই ইমামের কাজিয়া থেকে এটা স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গেও সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নীরব নিপীড়ন অথবা তাদের অধিকারের ক্রমশ সংকোচন বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েই চলেছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের নিপীড়ন বেড়ে চলছে। এক ধনী মাড়োয়ারি কন্যার সঙ্গে প্রেম ও তাকে বিয়ে করায় এক হতভাগ্য শিক্ষিত মুসলমান যুবককে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এই হত্যা তদন্তে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ধরা পড়েছে। এটা সিপিএমের আমলের ঘটনা।
সার কথা, বিশ্বের সর্বত্রই সংখ্যালঘুদের বেলায় বিচারের বাণী এখনো নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
লন্ডন, ৩ আগস্ট, সোমবার, ২০১২

No comments

Powered by Blogger.