খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন

পাঁচ জনের একজন ব্রিটিশ ইংরেজীতে কাঁচা অনেক ব্রিটিশ ইংরেজীতে কাঁচা। সাম্প্রতিক এক জরিপের তথ্যমতে, এদের সংখ্যা ৮০ লাখের মতো। ইংরেজি ভাষায় এরা দুর্বল। ওয়ার্ল্ড লিটারেসি ফাউন্ডেশন নামক এক সংস্থা এ জরিপ চালায়। জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের একজন ব্রিটিশ ঠিকভাবে অর্থাৎ ভাল করে ইংরেজী লিখতে ও পড়তে পারে না।


হিসাবে এদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০ লাখের মতো।
খবরটি ভালই। কেউ কেউ হয়ত এই তথ্যে চমকে যেতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। ব্রিটিশদের মাতৃভাষা ইংরেজী। তাদের দেশের সবাই মাতৃভাষায় কথা বলে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে মাতৃভাষার অক্ষর তথা বর্ণগুলো সবাই ঠিকমতো চেনে বা সেসব অক্ষর সাজিয়ে যে কথা বইতে বা অন্য কোথাও লেখা হয় সেগুলো গড়গড়িয়ে পড়তে পারে সবাইÑএটা ঠিক নয়। পড়াশোনা না করলে বা সামান্য পড়লে পড়াশোনায় পাকা হওয়া সম্ভব নয়।
ব্রিটেনের ওই জরিপের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা ওই রকমই। তাঁরা পড়তে পারেন কোনমতে বানান করে করে বা ধীরে ধীরে থেমে থেমে। একটা লাইন পড়তে তাদের হয়ত সময় লাগে বেশ কিছুক্ষণ।
তাছাড়া সারা ব্রিটেনের সব লোক সব কথা বা শব্দের উচ্চারণ একই রকম করে এমনও তো নয়। এলাকাভিত্তিক আঞ্চলিক উচ্চারণের প্রভাব শেখানেও থাকার কথা।
আদি লন্ডনীয়দের অর্থাৎ খাস লন্ডনের চলতি ইংরেজী, যাকে ‘ককনি’ বলা হয় তার বহু শব্দের উচ্চারণ শুদ্ধ ইংরেজী থেকে পৃথক। যাই হোক, এসব বিষয়ে অবশ্য জরিপে কিছু বলা হয়নি।

রোদ থেকে বাঁচতে কুকুরদের জন্য ছাতা!
কুকুরদের জন্য ছাতা তৈরি হয়েছে। ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে এক ব্যক্তি কুকুরের জন্য ছাতা কিনেছেন। কুকুরটির এখন বেশ আরাম। বাইরে বের হলে গায়ে রোদ লাগে না, গরমে প্রাণ আইঢাই করে না। এবার খুব গরম পড়েছে ব্রিটেনে। বাইরে খুব তাপ। গত জুনে গরম একেবারে চরমে ওঠে। ১৯১০ সালে এমন গরম পড়েছিল। তারপর পড়ল এবার। রোদ বা গরমে মানুষের জন্য ছাতা বহুকাল ধরেই আছে। কিন্তু কুকুরদের জন্য কোন ছাতা নেই। সেটা কি একেবারেই অসম্ভব? না অসম্ভব নয়। ম্যানচেস্টারে কুকুর বিক্রেতা এক প্রতিষ্ঠান ইতালি থেকে অর্ডার দিয়ে ছাতা বানিয়ে এনেছে। সেই ছাতাই কেউ কেউ কিনছে তার পোষা কুকুরের জন্য।
ছাতাটি অবশ্য এমন নয় যে, কুকুর সামনের এক পায়ে ছাতাটি ধরে রোদের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে। ছাতা মেলে ধরার ব্যপারে কুকুরের অবশ্য কোন ভূমিকা নেই। কোন ব্যক্তি তার কুকুরটিকে নিয়ে পথে বেরিয়েছেন তার হাতেই ছাতা। বাঁটের মতো যে জিনিসটি রয়েছে সেটি ধরে রেখেছেন সেটি ওপর থেকে। ছাতা খুলে রয়েছে নিচের দিকে। সেটা কুকুরের পিঠের উপরে ধরা। কুকুরের লম্বা দেহের পুরোটাই রোদ থেকে রক্ষা পায়। ছাতার আকৃতিও সেই ধরনের, মানুষের ব্যবহৃত ছাতার থেকে আলাদা। ওইসব দেশের লোকেরা পোষা প্রাণীদের অনেক যতœ করে সেটা সবাই জানে। কিন্তু পোষা প্রিয় কুকুরটিকে রোদ থেকে বাঁচানোর জন্য ছাতারও ব্যবহার করে তারা, এ তথ্যটি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ।

No comments

Powered by Blogger.