ইফতারে কোন অবসর নেই ট্রাফিক পুলিশদের- রমজানুল মোবারক

পান্থপথ মোড়ে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ। ইফতারের সময় হতেই দেখা গেল এক হাতে ইফতারি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের এভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ইফতারি সারতে হচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালন অবস্থায়।


এক হাতে ইফতারি অন্য হাতে সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাদের। এই ব্যস্ততার মধ্যে ইফতারের সময়টুকু আলাদা করা হয়ে ওঠে না তাদের।
তাদের ইফতারের পরিমাণও বেশি নয়। সামান্য ছোলা মুড়ি খেজুর দিয়েই প্রতিদিনের ইফতারি সারতে হয়। ব্যস্ততার কারণে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ইফতারি করা হয়ে ওঠে না। তবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে যেমন আক্ষেপ আছে, আবার অনেক জরুরী মুহূর্তে জনগণের এ দায়িত্ব পালন করে আনন্দও পেয়ে থাকেন অনেকে।
এভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে ইফতারেও অবসর নেই ট্রাফিক পুলিশদের। সন্ধ্যার আগে সবাই যখন পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ইফতারি করতে ছুটে যায় বাসায়। তখনও দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। বিশেষ করে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে সবাই যখন একসঙ্গে ঘরে ফেরে তখন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে
দেখা যায় প্রচ- যানজট। রোজাদারদের নির্বিঘেœ ঘরে ফিরতে প্রচ- ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় তাদের। ইফতারেও কোন অবসর নেই তাদের।
মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে দায়িত্ব পালনরত এক ট্রাফিক পুলিশ নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের জন্য যে ইফতারি বরাদ্দ থাকে তা চাহিদার তুলনায় একেবারে নগণ্য। সারাদিন রোজা রেখে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সন্ধ্যায় ইফতারের সময়ও তাদের অবসর নেই। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তাদের ইফতারি সারতে হয়। জনগণের নির্বিঘেœ বাসায় ফিরতে সহায়তা করার জন্যই তাদের এই ব্যস্ততা। কিন্তু সারাদিন দায়িত্ব পালন শেষে সামান্য পরিমাণ ইফতারি দিয়ে কিছু হয় না। আবার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ইফতারি করতে না পারার আক্ষেপও রয়েছে। তিনি বলেন, সবাই যখন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ইফতারি সারছে তখন তাদের এভাবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তবে তাদের মনে যে কষ্ট রয়েছে তা অন্যকে কখনও বুঝতে দেন না বলে জানালেন।
এদিকে সদরঘাট এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, ইফতারের সময় যাত্রীরা পথে পথেই তাদের ইফতারি সারছেন। ব্যস্ততার কারণে তাদের দম ফেলার সময় নেই।

No comments

Powered by Blogger.