আলোচনা সভায় বক্তারা- প্রজ্ঞা ও ত্যাগের জন্য জাতি চিরদিন ফজিলাতুন্নেছাকে স্মরণে রাখবে

রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ত্যাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে। গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় বক্তারা তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।


শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু কারাবাসকালে মৃত্যুর হুমকির মধ্যে ছিলেন, তখন বেগম মুজিব তাঁর সব সৃষ্টিশীলতা ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু কোনো দিন আপস করেননি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঐতিহাসিক ছয় দফা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে মা ছিলেন পুরোপুরি অনমনীয়। তাই আমার বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার মা কখনোই তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান সফর করেননি।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী মমতাজ বেগম।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন আমার মা, কিন্তু মেয়ে হিসেবে আমি তাঁকে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ত্যাগ ও নিষ্ঠাবান নারী হিসেবে দেখেছি। আমার মা সব সময় আমার বাবার আদর্শ লালন করতেন, তাঁর পাশে দাঁড়াতেন এবং তাঁর সব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পর্দার অন্তরালে থেকে ভূমিকা পালন করতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কখনোই আমার মায়ের কোনো ধরনের চাহিদা অথবা প্রত্যাশা দেখিনি। এটা আমাদের সমাজে যেকোনো নারীর ক্ষেত্রে অতিসাধারণ একটি বিষয়।’ শেখ হাসিনা বলেন, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন, তিনি যেকোনো ত্যাগের জন্য প্রস্তুত।
বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক অন্যদের রেখে বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব বেগম মুজিব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.