থিয়েটার স্কুলের কোর্স সমাপনী ও সনদ বিতরণ- সংস্কৃতি সংবাদ

আবদুল্লাহ আল-মামুন থিয়েটার স্কুলের এক বছরমেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্সের ২২তম ব্যাচের সমাপনী প্রযোজনা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায়। এ দিন তাদের পরিবেশনায় মঞ্চায়িত হয় শহীদ মুনীর চৌধুরী রচিত দুটি একাঙ্কিকা ‘দ-’ ও ‘দ-ধর’। এর নির্দেশনায় ছিলেন গোলাম সারোয়ার।


একাঙ্কিকা দুটি মঞ্চায়নের পূর্বে ২২তম ব্যাচের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন।
সার্টিফিকেট কোর্সের সমাপনী ব্যাচের উদ্দেশে আরও বক্তব্য রাখেন থিয়েটার স্কুলের অধ্যক্ষ ও আইটিআই সভাপতি রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, এ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে এবারই আমরা থিয়েটার স্কুলের কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠান করছি। গত ২১ বছর ধরে তিনি প্রত্যেক ব্যাচের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন। মর্ত্যলোকের সব কাজ সম্পন্ন করে তিনি চলে গেছেন অমর্ত্যলোকে, যেখান থেকে তিনি আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না। তবে থিয়েটার স্কুল তাঁর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্নে আমাদের উদ্দেশ ছিল নাটকের দলের জন্য প্রাথমিক জ্ঞানসম্পন্ন নাট্যকর্মী তৈরি করা। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস করে এক বছরে নাটকে কাউকে পারদর্শী বানানো যায় না। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাটক নিয়ে আরও পড়াশোনা এবং চর্চায় আগ্রহ সৃষ্টি করতে। সে দিক দিয়ে আমরা কিছুটা সাফল্যের দাবি করতে পারি। তবে থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হতে আসা তরুণদের মধ্যে আমরা একটা প্রবণতা লক্ষ্য করি। প্রথমে অনেক উৎসাহ থাকে, কিন্তু পরে যখন তত্ত্বীয় বিষয়াদি পড়তে হয়, তখন এই প্রবণতা অনেক কমে আসে।
গত ২১ বছর ধরে যারা থিয়েটার স্কুল থেকে পাস করে বেরিয়েছে তারা সবাই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত নেই, কিন্ত সিংহভাগই মঞ্চ নাটকের সঙ্গে যুক্ত আছে। অনেকে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে যুক্ত আছেন। যেটা আমাদের স্কুলের শিক্ষার একটি অর্থবহ দিক বলে আমরা মনে করি। মঞ্চ নাটক করে আমাদের দেশে জীবিকানির্বাহ করা যায় না, কিন্তু নাটকের শিক্ষা যদি পেশাগত জীবনে কাজে লাগে, তবে তা আনন্দের কথা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রথমেই মঞ্চায়িত হয় ‘দ-’। এ নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। নাটকে দেখা যায় স্বামী একজন এ্যাডভোকেট। মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে একজন সুন্দরী মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। এ পরিচয়টা কিছুটা গভীর হয়। এ্যাডভোকেটের স্ত্রীর গলায় কাঁটা বিঁধে যাওয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার চিকিৎসা করতে এসে তার নিজের ডায়েরি ভুলে ফেলে রেখে যায়। এ্যাডভোকেট সেই ডায়েরি দেখে। ডায়েরির লেখা পড়ে তার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ হয়। শুরু হয় তাদের মধ্যে বিবাদ। এদিকে স্বামীর ব্যাগে একজন মহিলার ছবি দেখে স্ত্রী সন্দেহ করে। এভাবে চলতে থাকে উভয়ের মধ্যে সন্দেহের বিবাদ। কোন এক রাতে চোর এসে তাদের বাড়িতে ঢোকে। চোরে একটি বাঁশের দ- দিয়ে ছবিসহ ব্যাগ ও পকেটের ডায়েরি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে দেখা যায় তাদের মধ্যের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আব্বাস কবির চৌধুরী, জীবন নাহার জাকিয়া ও নুরুজ্জামান উজ্জ্বল। এরপর মঞ্চায়িত হয় নাটক ‘দ-ধর’।
ঈদ বই উৎসব আজিজ মার্কেটে শুরু ॥ বই প্রকাশনা ও বিপণন সমবায় সমিতির উদ্যোগে আজিজ সুপার মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদ বই উৎসব। দেশের ২০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ৪০০ বই নিয়ে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। উৎসবে ৪০ ভাগ মূল্য ছাড়ে বই বিক্রি হচ্ছে। বুধবার দুপুরে মার্কেটের নিচতলার ৩৩ নম্বর কক্ষে ঈদ বই উৎসব উদ্বোধন করেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।

No comments

Powered by Blogger.