ডোমার রেলস্টেশন ভবনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

নীলফামারীর ডোমার রেলস্টেশনের নতুন ভবনের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভেঙে ফেলা শতবর্ষী ভবনের ইট নতুন ভবন নির্মাণে ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী।


সরেজমিনে দেখা গেছে, গার্ডার ও সেপটিক ট্যাংকের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরোনো ভবনের ইট। এ সময় ডোমার উপজেলা রেল যোগাযোগ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আইয়ুব আলী অভিযোগ করেন, বালু, পাথর ও সিমেন্টের মিশ্রণে সিমেন্ট কম দেওয়া হচ্ছে, বেজ ঢালাইয়ের আগে সলিং দেওয়া হয়নি। কাজের মান নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। সিডিউল ও নকশা চাইলেও তাঁরা দেখাচ্ছেন না। রেলের কোনো তদারক কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায় না। আইয়ুব আলী আরও বলেন, স্থানীয় সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকীও সেখানে গিয়ে সিডিউল পাননি।
ডোমার বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ওয়ালিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, কাজের মান যাচাইয়ের জন্য সিডিউল দেখতে চাইলেও তাঁরা দেখান না। কলামে রড কম দেওয়া হয়েছে, ভাঙা পাথরের মাপ ঠিক নেই। এ সময় কথা বলতে চাইলে এলাকা থেকে চলে যান ঠিকাদারের প্রতিনিধি আ. ওয়াহেদ। পরে তাঁর মুঠোফোনে কয়েক দফা ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। কর্মরত প্রধান মিস্ত্রি মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, কাজের মান ঠিকই আছে। যেভাবে মালামাল দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা সেভাবে কাজ করছেন। পুরোনো ইট ব্যবহারের সত্যতা তিনি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (পার্বতীপুর) মো. ফজলুর রহমান বলেন, ঠিকাদার আনোয়ারুল ইসলাম সাত কোটি টাকার ওই কাজ করছেন। অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরোনো ইট দিয়ে কাজ করলে সেটির বিল দেওয়া হবে না। অন্য বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
জাফর ইকবাল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সেখানে গিয়ে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঠিকাদার দাবি করেন, যথাযথভাবে কাজ করা হচ্ছে। তবে তাঁকে সিডিউল দেখানো হয়নি। ঠিকাদার মুঠোফোনে বলেছেন, ঢাকা থেকে সিডিউল পাঠাবেন।

No comments

Powered by Blogger.