নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ

নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে দেড় বছরের রোডম্যাপ (কর্মপরিকল্পনা) চূড়ান্ত করেছে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে।


সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশে নির্বাচন কমিশনের এই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। বস্তুত নির্বাচন কমিশন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়; স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সংশ্লিষ্ট সকল নির্বাচন তাদের তদারকিতে হয়ে থাকে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায় ব্যবস্থা নানা প্রশ্নের সন্মুখীন হয়। বস্তুত ওই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। সে সময় দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীকে কারারুদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া অনেক নেতা-কর্মী তখন নির্যাতনের শিকার হয়। বিএনপি আজ সেসব কথা বিস্মৃত হয়ে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে আসছে।
তবে সরকার ও বিরোধী দলের উচিত নির্বাচন কমিশনকে সব দিক দিয়ে শক্তিশালী করা। দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন কমিশনের কর্মকা-ে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করেÑতা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সবার। এবার বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে; সংশ্লিষ্ট সবার উচিত তার যথাযথ বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা।
জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেবে। এ ছাড়া দেশে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এগুলো শুভ উদ্যোগ। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের আলোকেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করবে। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি ইতোমধ্যে ইভিএম পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.