ইসলামের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে শান্তি, সম্প্রীতি ও পরমতসহিষ্ণুতার ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করে এই পবিত্র ধর্মের নামে কোনো মহল যাতে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে ওলামা-মাশায়েখদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা কখনো সহ্য করব না।’


গতকাল বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য গ্রন্থ বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ। পরমতসহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির অটুট বন্ধনই হচ্ছে এ দেশের চিরায়ত সাংস্কৃতিক অলংকার। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা ইসলামের আদর্শ সমুন্নত রাখতে এবং ইসলামের ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার একটি কওমি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছে এবং ইসলাম বিষয়ে গবেষণার জন্য একটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ধর্মসচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম আহম্মদ আফজাল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ, কেতাব ও কোরআন বিতরণ করেন।
আবদুল কালামের সাক্ষাৎ: ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব বহুল আকাঙ্ক্ষিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানান।
আবদুল কালামের সঙ্গে বৈঠককালে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর একে অন্যের দেশ সফরের পর এ সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করে।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত পল্লির উন্নয়ন এবং এ ব্যাপারে তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দিন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উপস্থিত ছিলেন।
জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু: জাপানি বৌদ্ধ মানবিক সহায়তা সংস্থা ‘রিশো কোসাই-কি’র একটি প্রতিনিধিদল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন।
সংস্থার চেয়ারম্যান ইয়াসুতাকা ওয়াতানাবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দীন, মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.